Alapon

ইসলামী রাষ্ট্র কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়?

"ইসলামী রাষ্ট্র কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়?"
লেখক : সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদী (রহঃ)
অনুবাদ : আবদুস শহীদ নাসিম
প্রকাশক : শতাব্দী প্রকাশনী
প্রথম মুদ্রণ : নভেম্বর ১৯৯১ ঈসায়ী
একুশতম মুদ্রণ : মার্চ ২০১৪ ঈসায়ী
মূল্য : ২৪ টাকা মাত্র।
রিভিউ লেখক : জাহেদুল ইসলাম

আমরা (মুসলিমরা) অধিকাংশই প্রত্যাশা করি পৃথিবীতে আবার ইসলাম প্রতিষ্ঠা হোক। হেরার আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে উঠুক গোটা পৃথিবী। এমনকি অনেক অমুসলিমদেরও প্রত্যাশা এটা যে, পৃথিবীতে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা হোক। কারণ ইসলামই একমাত্র সবার ন্যায্য অধিকার প্রদান করে থাকে। এজন্য সবাই চায় ইসলাম প্রতিষ্ঠা হোক।

এই লক্ষ্যে মুসলমানরা অনেক সংগঠনও গড়ে তুলছে পৃথিবীর নানা প্রান্তে। কিন্তু এর সঠিক পদ্ধতি কিংবা কীভাবে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা যায় তা না জানার কারণে অনেক গুলো দল সক্রিয় থাকা সত্ত্বেও ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হচ্ছে না।

এই বিষয়টির দিকে লক্ষ্য রেখে বিশ শতকের প্রভাবশালী ইসলামিক স্কলার, অসংখ্য গ্রন্থ রচয়িতা, সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদী রহিমাহুল্লাহ ১৯৪০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ষ্ট্রেচী হলে এই সম্পর্কে একটি বক্তব্য পেশ করেন যা পরবর্তীতে বই আকারে প্রকাশিত হয়।

বইটিতে লেখক প্রথম পয়েন্টে আলোচনা করেন একটি রাষ্ট্রের স্বাভাবিক বিবর্তন নিয়ে। অর্থাৎ কীভাবে একটি রাষ্ট্র অস্তিত্ব লাভ করে, সে বিষয়ে। তারপর একটি আদর্শের উপর প্রতিষ্ঠিত একটি রাষ্ট্রকে আরেকটি আদর্শিক রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য কী কী উপাদান লাগে এবং পন্থাটা কেমন হবে তা তুলে ধরেন।

দ্বিতীয় পয়েন্টে আমরা মুসলমানরা যে দুনিয়ায় একটি আদর্শিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই— সেই রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য কী হবে এবং রাষ্ট্রের পরিচালক যারা থাকবে তাদের বৈশিষ্ট্য কেমন হবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

তৃতীয় পয়েন্টে তুলে ধরেন ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি। এখানে লেখক সাতটি পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করেছেন। একটি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য যার প্রত্যেকটি পয়েন্ট-ই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

চতুর্থ পয়েন্টে আলোচনা করেছেন কিছু অবাস্তব ধারণা ও কল্পনা; যার উপর ভিত্তি করে সফল হতে গিয়ে বারবার আমরা (মুসলিমরা) হেরে যাচ্ছি— এমন কিছু অবাস্তব ধারণা ও কল্পনা লেখক এখানে নিয়ে এসেছেন।
এরপর এই রাষ্ট্রের নেতৃবৃন্দের আরও কিছু বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করে সর্বশেষ পয়েন্টটি আলোচনা করেন।

এই পয়েন্টে লেখক সমস্ত নবি-রাসূলদের ইতিহাস পর্যালোচনা করে তার উপর ভিত্তি করে ইসলামী আন্দোলনের সঠিক কর্মপন্থা কী হবে তা পাঁচটি পয়েন্টে তুলে ধরেন।

ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন যারা দেখে তাদের জন্য এই বইয়ের পাঁচটি পয়েন্টের মধ্যে তিনটি পয়েন্ট আমার কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে । পয়েন্ট গুলো হলো-

১. আদর্শিক রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রয়োজনীয় ব্যক্তিদের যোগ্যতা।
২. ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমের পদ্ধতি।
৩. ইসলামী আন্দোলনের সঠিক কর্মনীতি।

এছাড়া একটি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার যে গাইডলাইন বইটিতে দেয়া হয়েছে তা ছাড়া একটি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হওয়াটা সে-রকম-ই অসম্ভব; যেভাবে অসম্ভব মোটরগাড়ী চালিয়ে আমেরিকা সফর করা। এমন প্রত্যাশা করা এক ধরনের বোকামীও বটে।

সুতরাং যারা ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করতে চায় বইটি তাদের জন্য গাইডলাইনের ভূমিকা পালন করবে বলেই মনে করছি। এই গাইডলাইন অনুসরণ করে সামনের দিকে অগ্রসর হলেই প্রত্যাশিত একটি ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম সম্ভব হয়ে উঠবে ইন শা আল্লাহ।

পঠিত : ৪৭৯৩ বার

মন্তব্য: ২

২০২২-০৪-১৬ ০০:২৬

User
উমার

জাঝাকাল্লাহ ভাই

submit

২০২২-০৪-২৮ ০০:৪১

User
ইবনে মাসউদ :

ameen.
thanks vai

submit