Alapon

স্যাকুলারিজম



ইদানিং নাস্তিকদের আনাগোনা ফেইসবুকে বেড়েই চলেছে। তাদের জ্ঞানের পরিমাণ যতটুকুই হোক, ব্যক্তির পরিমাণ মোটামোটি বাড়ছে। নির্দিষ্ট কিছু অযৌক্তিক প্রশ্নের যৌক্তিকতা খুঁজে। ফেইসবুকে ইদানিং তারা মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। নিজেদের দল ভারী করার জন্য প্রথমে কিছু অযৌক্তিক প্রশ্ন রেডি করে এরপর ব্যক্তিকে টার্গেট করে। ওরা ফেইসবুকে এসে জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা করে যেখানে বিজ্ঞান সম্পর্কে ওরা তেমন কিছুই জানে না।

তাদের টার্গেটের মধ্যে যে কেউ থাকলেও তারা ট্রাই করে তাদেরকেই স্যাকুলারিজমের পাহাড় হিসেবে গড়ে তুলতে। আর যদি একজন জ্ঞানওয়ালাকে এসব উল্টাপাল্টা বুঝিয়ে তাদের চিন্তার পরিবর্তন ঘটাতে পারে তাহলে তো আর কোনো কথায় নেই। মোটকথা, তারা তাদের পশ্চিমা চিন্তাকে মানুষের মধ্যে ঢুকিয়ে দিচ্ছে।

আমাদের মুসলমানদের কিছু ভুলের সুযোগ নিয়ে তারা এই কাজ করতেছে। আমরা নিজেদের মধ্যে সামান্য কিছু বিষয় নিয়ে যখন দ্বন্দ্ব করি তখন তারা এসে আমাদেরকে বুঝায় 'তাদের মানবতার কথা'। তখন তারা আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় যে তাদের নীতিতে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। অথচ মুসলমানদের মধ্যে তো মানবতার কমতি নেই। বরং তারাই আমাদের থেকে মানবতা শিখে গেছে। এখন আমাদের সামান্য ভুলের জন্য তারা আমাদেরকে মানবতার গান শোনায়।

সুক্ষ্ম চিন্তা দিয়ে অন্যদের চিন্তাকে পরিবর্তন করাই তাদের কাজ। এই চিন্তার কবলে পড়ছে শত-শত মানুষ। নামে মুসলিম থাকলেও নিজেদের চিন্তাকে বিলিয়ে দিচ্ছে তাদের কাছে। ফেইসবুকে এসে বিভিন্ন ইস্যুতে মুসলমানদের গালিগালাজ করে। অথচ খোঁজ নিলে দেখা যাবে তাদের বাবা-মা জানে না যে তাদের ছেলে/মেয়ে নাস্তিকতার কবলে পড়েছে।

তাদের ঐতিহাসিক একটা কাজের কথা যদি উল্লেখ করি, তাহলে প্রথমেই যে কাজটি উঠে আসবে সেটি হলো মুসলমানদের পেছনে লেগে থাকা। ইসলামের পেছনে লেগে থাকা। অন্যান্য ধর্মের প্রতি তাদের তেমন কোনো টার্গেট নেই কিন্তু ইসলামের প্রতি তাদের অনেক বেশি টার্গেট। যেকোনো ইস্যুতে ইসলামকে টানে। নিজেদের কোনো চিন্তাকে তারা কাজে লাগায় না, তাদের গুরুদের ধার করা দু'একটা চিন্তা দিয়ে চলে তারা।

এদের থেকে দূরে থাকবেন। নিজেদের চিন্তাকে বিলিয়ে দিবেন না। বরং আরো গড়ে উঠতে হবে আমাদেরকে। আমাদের বিস্তৃতি লাভ করতে হবে। আল্লাহ আমাদেরকে তৌফিক দান করুন। (আমিন)

~আব্দুল্লাহ আল কাফি জোহা

পঠিত : ৬৯৭ বার

মন্তব্য: ০