Alapon

আমাদের সাংস্কৃতিতে অপসাংস্কৃতির প্রভাব

পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক।

আজ দুঃখ এবং ভারাক্রান্ত মন নিয়ে যে কথা না বললেই নয়ঃ আজ একটা পবিত্র দিন। অথচ এই দিনে মুচি সম্রদায়ের মতো মুসলিম যুব সমাজ রাস্তায় রাস্তায় উচ্চ স্বরের সাউন্ড বক্স বাজিয়ে নৃত্য করে বেড়াচেছ। অথচ আমাদের পক্ষ্য থেকে কেওই কোন বাঁধা প্রদান বা বিবৃতি দিচ্ছি না। যে যার যায়গায় নিজ কাজে ব্যস্ত।

এসব সাউন্ড বক্স বাজিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘোরা। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষজনও আধুনিক তথা পশ্চাত্য সভ্যতার অনুকরণ করছে। পোশাক, হেয়ার স্টাইল, গ্যাং গ্রুপ,ইভটেজিং, ড্রাগ গ্রহন ইত্যাদি বিভিন্ন অপসাংস্কৃতির অনুকরণ প্রতিনিয়ত আমাদের তরুণ সমাজ করে চলেছে।

আগেকার দিনের মানুষের মধ্যে যে সামাজিকতা বোধ ছিলো আজ তা নেই। ঠিক দুধ থেকে সর উঠায়ে নিলে যেমন হয়। ঠিক তেমন।

বাঙ্গালি সাংস্কৃতি বলতে আমরা এখন ঢোল তবলা আর হুতম পেচা, রাক্ষস ইত্যাদির মূর্তি ব্যবহার করছি। কপালে বড় টিপ পরে আমরা বাঙ্গালী সাংস্কৃতি পালন করছি। অথচ এই পাক ভারত উপমহাদেশে মুসলিন শাসক প্রায় ৮০০ বছর রাজত্ব করেছে। সেই মুসলিমরা নিশ্চয় কোন না কোন সাংস্কৃতি তৈরী করেগেছে। অন্য ধর্ম মতের যারা আছেন তাদের কথা বাদ দেন। অন্তত্ব মুসলিমদের সেই সাংস্কৃতি বা সভ্যতা কোথায় গেলো।

আবার ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের কথা বলি;- সেখানে কি আমার মা তার মুক্তি যোদ্ধা সন্তানের জন্য তাহাজ্জুদ পড়ে দোয়া করেন নাই।

তাহলে, এই প্রচলিত খিচুড়ি মার্কা সাংস্কৃতি আমরা কোথায় পেলাম।

তাহলে প্রগতির নামে আমরা কেনো সর্বস্তর থেকে ইসলামি সাংস্কৃতিকে বাইপাস করে চলছি। আর প্রচার করছি যে আমরা সঠিক ও উন্নত সাংস্কৃতি পালন করছি।

আসল কথা হলো তারা বাঙালি সাংস্কৃতির নামে আমাদের ইমানকে নষ্ট করতে চাই।

তরুণ সমাজ কোথা থেকে শিখলো?
এর সহজ উত্তর আমাদের সকলেরই জানা। তা হলো আকাশ সাংস্কৃতির কু-প্রভাব। এবং পরিকল্পিত ভাবে আমাদেরকে ইসলাম বিমুখ করা হচ্ছে।

পঠিত : ৯২০ বার

মন্তব্য: ০