Alapon

মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য কি পরিবর্তন যোগ্য?



আমাদের রাসূল (সঃ) বলেছেন, সবচেয়ে বেশি যেই জিনিসটি দ্বারা মানুষ জান্নাতে প্রবেশ করবে, তা হলো উত্তম চরিত্র।

তো, উত্তম চরিত্রের অধিকারী হওয়াকে ছোট চোখে দেখবেন না। দাঁড়িপাল্লায় এটি হবে সবচেয়ে ভারী। আর এটা হবে জান্নাতে প্রবেশের চমকপ্রদ একটি উপায়। তো, আজকের বাকি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হবে এই প্রশ্নটি— আখলাক কি আমাদের নিয়ন্ত্রণাধীন, নাকি নির্দিষ্ট আখলাক নিয়েই আমরা জন্মগ্রহণ করেছি ? আমরা কি আমাদের আখলাককে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, নাকি এটা আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে?

প্রত্যেক বাবা-মা, যাদের একাধিক সন্তান আছে, তাঁরা জানেন যে, প্রকৃতপক্ষে প্রত্যেক শিশু নির্দিষ্ট ধরণের আখলাক নিয়ে জন্ম গ্রহণ করে। কোনো শিশু হতে পারে অন্যদের চেয়ে বেশি ধৈর্যশীল। অন্যজন খুব অল্পতেই রেগে যেতে পারে। আরেকজন হয়তো তুলনামূলক বেশি ব্যথা সহ্য করতে পারে। প্রত্যেক শিশুই ভিন্নতা সহ জন্মগ্রহণ করে। আর ঠিক এটাই আমরা শিখি রাসূল (সঃ) এর সুন্নাহ থেকে।

একবার একজন গোত্রপতি ইসলাম গ্রহণ করলো, যার নাম ছিলো আশাজ ইবনুল ক্বাইস। রাসূল (সঃ) তাঁর প্রশংসা করেছিলেন। তিনি বললেন, ও আশাজ, তোমার মধ্যে দুইটি চরিত্র আছে যা আল্লাহ ভালোবাসেন। প্রথমত, তুমি রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারো। দ্বিতীয়ত, তুমি কোনো কাজ করার আগে ভেবে-চিন্তে কাজটি করো। الحِلْم والأَنَاة (আলহিলমু ওয়াল আনাত)। আমরা এগুলো নিয়ে পরবর্তীতে আলোচনা করবো। আশাজ তখন খুবই বিচক্ষণতাপূর্ণ একটি প্রশ্ন করেছিলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ও আল্লাহর রাসূল! এই দুটি চরিত্র কি আমি নিজ দক্ষতায় অর্জন করেছি, নাকি আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়া তা'আলা প্রকৃতিগতভাবে এগুলোকে আমার মধ্যে দিয়ে দিয়েছেন ? এটাকি আমার প্রকৃতির অংশ, এটাকি ইতিমধ্যে আমার ভিতরে আছে ? রাসূল (সঃ) বললেন— না, আল্লাহ তোমাকে এগুলো দান করেছেন। তো আশাজ বললেন, সকল প্রশংসা সেই সত্ত্বার যিনি আমাকে দুইটি গুণ প্রদান করেছেন যা আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল ভালোবাসেন।

মুসনাদে আহমাদ গ্রন্থে এসেছে, রাসূল (সঃ) বলেছেন, إِنَّ اللهَ قَسَمَ بَيْنَكُمْ أَخْلاَقَكُمْ كَمَاَ قَسَمَ بَيْنَكُمْ أَرْزَاقَكُمْ, অর্থাৎ, আল্লাহ তোমাদের মাঝে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বন্টন করেছেন যেমনভাবে তিনি বন্টন করেছেন তোমাদের রিজিক।

কোনো কোনো মানুষ ধনী অবস্থা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। কেউ রাজার সন্তান হিসেবে জন্মগ্রহণ করে। কেউ সামাজিক এবং অর্থনৈতিকভাবে বঞ্চিত পারিপার্শ্বিকতার মধ্যে জন্মগ্রহণ করে। কেউ খুব সহজেই সম্পদ অর্জন করতে পারে, কারো জন্য এটা কঠিন। এই সবকিছুই আল্লাহ নির্ধারণ করেছেন। এজন্যই রাসূল (সঃ) বলেছেন, আল্লাহ তোমাদের আখলাক নির্ধারণ করে দিয়েছেন যেমনভাবে তিনি তোমাদের রিজিক নির্ধারণ করেছেন।
তিরমিজি শরীফের একটি হাদিসে আমাদের রাসূল (সঃ) বলেছেন, আল্লাহ আদম সন্তানদের বিভিন্ন স্তরে সৃষ্টি করেছেন। তাদের কেউ কেউ দ্রুত রাগ করে এবং দ্রুত ক্ষমা করে। কেউ বিলম্বে রাগ করে এবং বিলম্বে ক্ষমা করে। কেউ দ্রুত রাগ করে এবং বিলম্বে ক্ষমা করে। কেউ বিলম্বে রাগ করে এবং দ্রুত ক্ষমা করে।

চারটি সম্ভাব্য ধরণই বর্ণিত হয়েছে। আর তিনি বলেন, সর্বোত্তম তারাই যারা বিলম্বে রাগ করে এবং দ্রুত ক্ষমা করে। তো মূল বিষয় হলো, আল্লাহ আপনাদেরকে বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্ত করে সৃষ্টি করেছেন। এখন, প্রকৃত বিষয় যদি এটাই হয়ে থাকে, কেউ এরকম বলতে পারে যে, এখানে আমার করার কিছু নেই; যদি আল্লাহ আমাকে ধৈর্যহীন করে সৃষ্টি করে থাকেন, তাহলে আমি ধৈর্যহীনের মতোই আচরণ করবো। যদি আল্লাহ আমাকে সৃষ্টি করেন অল্পতেই রাগান্বিত হওয়ার প্রকৃতি দিয়ে অথবা বিবেচনাহীনভাবে জিহবা ব্যবহার করে কটুকথা বলার প্রকৃতি দিয়ে, তাহলে এটা আমার দোষ না।

এর জবাবে আমরা বলি, এটা সত্য যে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা জন্মের সময় আপনার আখলাকের একটি অংশ দিয়ে দিয়েছেন। এটি আমাদের আধ্যাত্মিক ডি.এন.এ-র অংশ। এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু, এর অর্থ এই নয় যে, এরপর আমাদেরকে সেই অবস্থাতেই থেকে যেতে হবে। না। কারণ প্রতিটি চারিত্রিক বৈশিষ্টেরই এমন একটা অংশ আছে যা আমাদের নিয়ন্ত্রণাধীন। প্রতিটি চারিত্রিক বৈশিষ্টকেই আমরা নিজেরাও প্রভাবিত করতে পারি। সুতরাং, জন্ম থেকেই আমাদের মধ্যে ডি.এন.এ. থাকে এবং এই ডি.এন.এ-র মধ্যেই নির্দিষ্ট মাত্রার আখলাক থাকে। তারপর আমাদের জীবনব্যাপী আমরা সেই আখলাকের কিছুটা পরিবর্তন করতে পারি। আমরা সেটা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলার ইচ্ছা এবং সাহায্যের মাধ্যমে পরিবর্তন করতে পারি।

কিভাবে আমরা আমাদের আখলাক পরিবর্তন করতে পারি ? কিভাবে আমরা আমাদের আখলাককে উন্নত করতে পারি ? চারটি উপায়ে। মুখস্ত করে ফেলুন।

প্রথমত, আমরা সবকিছু জ্ঞান দিয়ে শুরু করি। আমরা ইলম দিয়ে শুরু করি। আপনাকে শিখতে হবে, আখলাক বলতে কি বুঝায়। আখলাকের ধরণগুলো কি কি। আখলাকগুলোর মধ্যে কি কি আশীর্বাদ নিহিত রয়েছে। আখলাকবিহীন জীবনের ঝুঁকিগুলো কি কি। কুরআন এবং সুন্নাহ এ সম্পর্কে কি বলে।

সুতরাং, প্রথমত আমরা জ্ঞান দিয়ে শুরু করি। উদাহরণস্বরূপ, কুরআনে এসেছে, লোকমান (আঃ) তাঁর ছেলেকে আখলাক শিক্ষা দিয়েছেন। হ্যাঁ, তার ছেলে জন্ম নিয়েছিলো তার নিজের ডি.এন.এ. সাথে নিয়ে। এর অর্থ এই নয় যে শিক্ষা গ্রহণের আর প্রয়োজন নেই। এর অর্থ এই নয় যে পরিবর্তনের সম্ভাবনা শেষ হয়ে গিয়েছে। লোকমান (আঃ) তাঁর ছেলেকে আখলাক শিক্ষা দিয়েছেন। আর আমাদের এই আলোচনাগুলোরও এই একই উদ্দেশ্য। আমরা একে অপরের কাছ থেকে আখলাক শিখবো। তাহলে প্রথমটা হলো জ্ঞান।

দ্বিতীয়ত, আপনার একজন অনুকরণীয় আদর্শ থাকতে হবে। أُسْوَة । অপরজনের আখলাক দেখে তার কাছ থেকে শিখতে হবে। আর আমরা শুরু করবো রাসূল (সঃ) কে দিয়ে। আল্লাহ বলেছেন, وَإِنَّكَ لَعَلى خُلُقٍ عَظِيمٍ [সূরা ক্বলাম: ৪], অর্থাৎ, ও রাসূলুল্লাহ, আপনার আখলাক হলো সবচেয়ে উন্নত। আল্লাহ আরো বলেছেন, لَّقَدْ كَانَ لَكُمْ فِى رَسُولِ ٱللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ [সূরা আহযাব: ২১], তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর মধ্যেই রয়েছে উত্তম আদর্শ। তো, দ্বিতীয়ত, কিভাবে আমরা আমাদের আখলাক উন্নত করবো ? আখলাকের প্রয়োগ দেখার মাধ্যমে—রাসূল (সঃ ) এর সীরাতে এবং সৎকর্মশীলদের জীবন থেকে যারা আমাদের চেয়ে উত্তম এবং যারা উত্তম আখলাক অর্জনে উৎকর্ষ সাধন করেছেন। তো, জীবন্ত উদাহরণ এবং সীরাহ থেকে পাওয়া উদাহরণগুলো হলো চরিত্র উন্নয়নের দ্বিতীয় উপায়। প্রথমত, জ্ঞান। দ্বিতীয়ত, বাস্তব উদাহরণ পর্যবেক্ষণ, যাকে আরবিতে বলা হয়, تَأَسِّي ।

আখলাককে উন্নত করার তৃতীয় উপায়টি হলো, আমাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। একদিকে রয়েছে তত্ত্ব, অন্যদিকে রয়েছে এর প্রয়োগ। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে তাত্ত্বিক জ্ঞান অধ্যয়ন করি। আর কর্মস্থলে গিয়ে আমরা এর প্রয়োগ করি। আমাদের প্রত্যেকেরই সচেতনভাবে পর্যবেক্ষণ করা উচিত যে, কিভাবে এই আখলাকগুলো আমাদের জীবনে প্রয়োগ করতে পারি। আমরা আমাদের ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করি। তিরমিজি শরীফের একটি হাদিসে আমাদের রাসূল (সঃ) বলেছেন, إِنَّمَا الْعِلْمُ بِالتَّعَلُّمْ وَإِنَّمَا الْحِلْمُ بِالتَّحَلُّمِ, অর্থাৎ, "জ্ঞান লাভ করা যায় তা অন্বেষণ করা, অর্জন করার মাধ্যমে..."

পরশপাথরের মতো জ্ঞান অর্জন করা যায় না। এটা এরকম না যে, আপনি রসায়নের একটি বই নিয়ে ঘুমাতে গেলেন, আর ঘুম থেকে জেগে জ্ঞান অর্জন করে ফেললেন। না। আপনাকে এটা অর্জন করতে হবে, আপনাকে অধ্যয়ন করতে হবে।

"আর হিলম (হিলম অর্থ ক্রোধকে জয় করা) লাভ করা যাবে তাহাল্লুমের মাধ্যমে।"

যার অর্থ, অল্প অল্প করে রাগ থেকে আপনি অভিজ্ঞতা অর্জন করেন এবং তারপর একে জয় করেন। আপনাকে অভিজ্ঞতাও অর্জন করতে হবে। এরজন্য আসলে জীবন অতিবাহিত করতে হবে যেখানে আপনি রাগের সম্মুখীন হবেন এবং তারপর সেই রাগকে জয় করবেন। সুতরাং, তৃতীয় উপায়টি হলো আপনার নিজের জীবন, আপনার অভিজ্ঞতা। যখন তত্ত্বটি জানা হয়ে গেলো, যখন বিষয়টি বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে বাস্তবে করতে দেখলেন, রাসূল (সঃ) এর জীবনী থেকে দেখলেন, এখন আপনাকে তা নিজের জীবনে প্রয়োগ করতে হবে। এটা হলো তৃতীয় উপায়।

এক্ষেত্রে হয়তো কিছু ভুল করবেন। তখন সেই ভুল সংশোধনে বারবার বিভিন্ন ধরণের প্রচেষ্টা প্রয়োগ করবেন।

আর চতুর্থ উপায়টি হলো, প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আপনি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলার কাছে দোয়া করবেন। আপনি আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন, রাসূল (সঃ) এর শিখানো দোয়াগুলো থেকে। মুসলিম শরীফে বর্ণিত হয়েছে, রাসূল (সঃ) আল্লাহর কাছে এই দোয়াটি করতেন - اَللَّهُمَّ اهْدِنِيْ لِأَحْسَنِ الْأَخْلَاقِ لَا يَهْدِنِيْ لِأَحْسَنِهَا إِلَّا أَنْتَ ، وَاصْرِفْ عَنِّيْ سَيِّئَهَا، لَا يَصْرِفُ عنِّيْ سَيِّئَهَا إِلَّا أَنْتَ, অর্থাৎ, ও আল্লাহ, সবচেয়ে ভালো আখলাকের প্রতি আমাকে পথপ্রদর্শন করুন, আপনি ছাড়া কেউ এই পথপ্রদর্শন করতে পারবে না...

লক্ষ করুন, রাসূল (সঃ) এজন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করছেন। এটা সত্য যে আমাদের প্রত্যেকেরই আখলাক নির্ধারণকারী ডি.এন.এ. রয়েছে। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে আমরা এটাকে পরিবর্তন করতে পারবো না। এর অর্থ এই নয় যে আমরা এটাকে প্রভাবিত করতে পারবো না। আল্লাহ আমাদের মধ্যে আশীর্বাদস্বরূপ কিছু গুণ দিয়ে রেখেছেন, আবার কিছু গুণ প্রদান করেননি। এর অর্থ এটা নয় যে আমরা এর মধ্যেই সীমিত থাকবো। বরং, আমাদের আরো ভালো গুণ অর্জনে চেষ্টা করতে হবে। আমরা জ্ঞান অর্জন করবো, আমরা অনুকরণীয় আদর্শগুলো দেখবো, আমরা গুণগুলো আমাদের জীবনে অনুশীলন করবো, আমরা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলার কাছে দোয়া করবো। আর এটাই আমাদের লক্ষ্য প্রিয় ভাই এবং বোনেরা।

আর, সর্বশেষ বিষয়টি হলো, যখন আল্লাহ عَزَّ وَ جَلَّ কাউকে কোনো গুণ প্রকৃতিগতভাবে প্রদান করেন এবং অপর একজনকে সেই গুণ প্রদান না করেন, এই ক্ষেত্রে, দ্বিতীয় ব্যক্তিটি যখন তা আয়ত্ত করে নেয়, দ্বিতীয় ব্যক্তিটি যখন তা অর্জন করে, সেই ব্যক্তি এর জন্য অধিকতর ভালো প্রতিদান পাবে।

উদাহরণস্বরূপ, যদি আল্লাহ কাউকে খুবই ধৈর্যশীল করে সৃষ্টি করেন যে সহজেই রাগান্বিত হয়ে যায় না। সেই ব্যক্তি রাগ নিয়ন্ত্রণ করলো। এটা তার জন্য ভালো, সে এর প্রতিদান পাবে। আল্লাহ আরেকজন ব্যক্তিকে সৃষ্টি করেছেন যে প্রকৃতিগতভাবেই সহজে রেগে যায়। কিন্তু, জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে, অনুকরণীয় আদর্শ দেখার মাধ্যমে, অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে এবং প্রচুর পরিমানে দোয়া করার মাধ্যমে সে তার রাগকে জয় করলো; যদিও ক এবং খ বাহ্যিকভাবে একই কাজ করছে, খ-কে সেই পর্যায়ে পৌঁছুতে অনেক বেশি প্রচেষ্টা করতে হয়েছে। আর এজন্যই আল্লাহ খ-কে অনেক বেশি প্রতিদান দিবেন ক-এর তুলনায়। কখনো আপনার মধ্যে বিশেষ কোনো গুনের ঘাটতি থাকতে পারে। আমাদের সবারই দুর্বলতা রয়েছে, আমাদের দুর্বলতাগুলো আমাদের জানা আছে। যখন আমরা সেই সকল দুর্বলতা কাটিয়ে উঠার জন্য প্রচেষ্টা করি, এবং সেই দুর্বলতাগুলোকে দূর করতে সক্ষম হই, তার প্রতিদান হবে সেই প্রচেষ্টার অনুপাতে।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা আমাদের সবাইকে সর্বোত্তম আখলাকের অধিকারী হওয়ার তাওফিক দান করুন এবং আমাদেরকে রাসূল (সঃ) এর অনুসরণের মাধ্যমে সর্বোত্তম আদর্শে পরিণত করুন।

—ড. ইয়াসির কাদি

পঠিত : ৬৭৯ বার

মন্তব্য: ০