Alapon

"গণকমিশন গণগ্রেফতার এবং আমাদের করণীয়"




গণকমিশনের ১১৬ জন আলিম এবং এক হাজার মাদরাসার তালিকা, আজ কয়েকদিন যাবৎ আমাদের ভাইদের গণগ্রেফতার ( আজ রাতেও দিনাজপুরের বিভিন্ন জায়গা থেকে একাধিক দায়িত্বশীল ব্যক্তিকে গ্রেফতার) এগুলো বিচ্ছিন্ন কোনো ইস্যু নয়। বরং পরিকল্পিত। এসব নিয়ে সিস্টেমেটিক প্রতিবাদ অবশ্যই কাম্য। কিন্তু কোনো উস্কানীমূলক লেখাজোঁকা খুব বেশি প্রয়োজন নেই। এটা একটা ফাঁদ। এই ফাঁদে পা না দেয়াই কল্যাণ। আমাদের উচিৎ সমাজের দিকে, সমাজে দাওয়াতি কাজের দিকে খুব বেশি মনোনিবেশ করা। ইসলামের মূল চেতনা মানুষের সামনে উপস্থাপন করা।
এরা এখন আমাদের আলেম-ওলামাদের এবং ইসলামের সামাজিক-সাংস্কৃতিক অবস্থানকেও শূন্যের কোটায় নিয়ে আসার উদ্যোগ নিয়েছে। শহুরে এলিট শ্রেণি তো বহু আগ থেকেই দ্বীন-ধর্মকে থোরাই কেয়ার করছে, কিন্তু গ্রামীণ আর মধ্যবিত্ত জনপদে এখনো দ্বীনের প্রতি, ওলামায়ে কেরামের প্রতি কিছুটা হলেও প্রীতি ও অনুরাগ রয়েছে, সেই প্রীতির বন্ধনকেও এরা নস্যাৎ করার জন্য ওঠে পড়ে লেগেছে।

এই অবস্থায় আলিমদের অসংখ্য ভুল থাকলেও তাঁদের সমালোচনা না করাই উত্তম। বরঞ্চ ঘাধানিকদের বিভিন্ন অপকর্ম, হিপোক্রেসীগুলোকেই নানাভাবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা যেতে পারে। এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ে দাওয়াতি কাজ বাড়িয়ে দেয়া যেতে পারে। পূর্বেও যেভাবে ঘাধানিক-শাহরিয়ার কবিররা জনগনের কাছে তাচ্ছিল্য আর ঘৃণার পাত্র ছিলো, এখন সেই অবস্থা যেনো আরো বাড়ে, আরো বেশি জনবিচ্ছিন্ন যেন তারা হয়, সেরকম কাজ পারিবারিক-সামাজিক ও ব্যক্তি উদ্যোগে করা যায়। সেটা হতে পারে ব্যক্তিগত সাক্ষাতকারে, ছোটোখাটো বৈঠকে কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন লেখালেখি ইত্যাদির মাধ্যমে।
এছাড়াও সামাজে ব্যক্তি ( সেটা একা হতে পারে অথবা একাধিকজন) উদ্যোগে তালিম-তারবিয়াতে, সাংগঠনিক বিভিন্ন প্রোগ্রামে উপমহাদেশের আজাদিতে আলেম সমাজের সংগ্রামী ভূমিকা, তাঁদের অবদান জনশক্তিদের সামনে, সাধারণ জনতার সামনে তুলে ধরতে পারি।

ইসলামের সামাজিক প্রভাব বৃদ্ধিতে এভাবে আমাদের যার মাথায় যে আইডিয়া আসে, আমরা সেগুলো প্রয়োগ করতে পারি। এগুলো একান্ত আমার চিন্তা। বাকি দিকনির্দেশনাও কর্মসূচি মুরুব্বিরা, আমাদের বড়োরা ঠিক করবেন। আমরা যার যার অবস্থান থেকে এভাবে বিভিন্ন চিন্তা ও উদ্যোগ নিতে পারি।

~লিখেছেন : রোহান আব্দুল্লাহ

পঠিত : ৩২০ বার

মন্তব্য: ০