Alapon

দেশের বাজার নিয়ন্ত্রণ করবে কে...?



পত্রিকা মারফত শোনা যাচ্ছে, সরকার এবার বিদ্যুৎ আর গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রক্রিয়া শুরু করেছে। সংস্থাগুলো বিভিন্ন হিসাব-নিকাশ চালিয়ে সরকারকে দাম বৃদ্ধির একটা ‍সুপারিশ করবে। সরকার সেই সুপারিশ মোতাবেক দাম বৃদ্ধি করবে; সেই সুপারিশে সাধারণ মানুষের কথা উহ্যই থেকে যাবে। যেভাবে উহ্য থেকেছে তেলের দাম বৃদ্ধির সময়। আর সরকার বলেছিল, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেশি। তাই দাম বৃদ্ধি করতে হয়েছে। এই দাম বৃদ্ধির ফলে সরকার কেবল তেল বিক্রি করে বছরে ৬ হাজার কোটি টাকা আয় করছে।

অন্যদিকে পাশ্ববর্তি রাষ্ট্র ভারত পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কমিয়ে দিয়েছে। তারা কিন্তু মাত্র 1 বা 2 টাকা কমায়নি। পেট্রোলে লিটার প্রতি ৯ টাকার বেশি এবং ডিজেল প্রতি ৬ টাকার বেশি কমিয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে যদি তেলের দাম বেশিই হবে, তাহলে ভারত তেলের দাম কমালো কীভাবে?

খুব সম্ভবত বাংলাদেশের রাষ্ট্রব্যবস্থাই একমাত্র দেশ, যে কিনা এসব প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র থেকে আয় করতে চায়। একদিকে সরকার বলছে, আমরা নিত্যপন্যের দাম কমানোর চেষ্টা করছি। অন্যদিকে সরকার তেল, গ্যাস, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করছে। এসব কিছু যে নিত্যপন্যের সাথে সম্পকৃত তা কি সরকার ভুলে গেছে?

না, সরকার ভুলে নাই। সরকার সব কিছু জেনে বুঝেই এই দাম বৃদ্ধি করছে। গত পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে বিশ্ববাজারে তেলের দাম ছিল একদম নিচের দিকে। কিন্তু সরকার তখন তেলের দাম কমায়নি; অপরিবর্তিত রেখেছিল। কিন্তু বিশ্ববাজারে যেই না তেলের দাম বৃদ্ধি করল, অমনি সরকারও তেলের দাম বাড়িয়ে দিল। তাহলে বিগত পাঁচ বছর যে জনগণের থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হলো, সেগুলো দিয়ে এখন ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে না কেন?

দিন শেষে সরকার জনগনের পকেট কাটার সমস্ত বন্দোবস্ত করেছে। বর্তমানে বাজারের যে অবস্থা, তাতে জীবনধারণ করাই কঠিন হয়ে গেছে। সোয়াবিন তেলের দাম তো এখনও পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটে চলেছে। সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী বলছে, বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেশি। তাই সোয়াবিন তেলের দাম কমানো যাবে না। দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী যখন এই ধরণের দ্বায়সারা কথা বলেন, তখন বাজার নিয়ন্ত্রণ করবে কে?

পঠিত : ৩১২ বার

মন্তব্য: ০