Alapon

বাংলাদেশের সমাজ-সভ্যতা-সংস্কৃতি শত্রু বামপন্থীরা



একটা নির্ভেজাল সত্য হচ্ছে যে, বাংলাদেশের সভ্যতা-সংস্কৃতি নষ্ট করার ক্ষেত্রে, ঈমান-আখলাকের অবনতি ঘটানোর ক্ষেত্রে, সমাজে সুকৌশলে সংখ্যাগুরু মুসলিম মুসলমানদের মধ্যে অশ্লীলতা বেহায়পনা কিংবা প্রকাশ্যে পাপাচারকে প্রমোট করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড়ো অবদান যাদের, তারা হচ্ছে নাস্তিক্যবাদী রাজনীতির ধারক-বাহক বামপন্থীরা। এমনকি দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এই বামেরা সুকৌশলে আওয়ামী লীগকে নষ্ট করছে। শেখ মুজিবকে খুন করার জন্যে এরাও দায়ী। এবং বিএনপিকেও তার মুসলিম মূল্যবোধ থেকে ধীরে ধীরে বিমুখ করার কারিগর এরাই।

বিএনপিতে এখন এদের আধিপত্য বেশি। আওয়ামী লীগকে বহু আগেই এরা নষ্ট করেছে। এখন বিএনপিকেও এরা প্রায় নষ্ট করে ফেলেছে। জিয়াউর রহমানের বিএনপি আর এখনকার বিএনপি আকাশ-পাতাল ব্যাবধান। বামদের কারণেই আজকে বিএনপির এই দুর্গতি। বিএনপি যদি এটা বুঝে, তাহলে তাদেরই লাভ।

এদের কেউ কেউ খুব সুন্দর করে ইসলামের পক্ষে দুয়েকটা কথা বলে অনেক জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের প্রভাবিত করতে পেরেছে। পেরেছে অনেক ওলামায়ে কেরামের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেও।

বাংলাদেশে সিনেমা-নাটকের মাধ্যমে ইসলামি মূল্যবোধ, ইসলামি আচরণ, ইসলামি পোশাককে এরা খুবই সুচতুরতার সাথে জাদুগরে পাঠাবার বন্দোবস্ত করেছে। এবং সফলও হয়েছে। এখন ধীরে ধীরে অশ্লীল-আচরণ, অশ্লীল ড্রেস-আফকেও এরা নাটক-সিনেমা কিংবা সাহিত্য দ্বারা জোরেশোরেই প্রচার আর প্রমোট করে যাচ্ছে। মেরিল প্রথম আলো পুরস্কারের মাধ্যমে নায়িকাদেরকে সাহসি চরিত্র, সাহসি পোশাক, সাহসি এই, সাহসি সেই নামে এরা খুবই ছোটো বস্ত্র, নোংরা অভিনয়ে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে। এখন নাটকগুলোতেও উগ্র-অশ্লীল পশ্চিমা ড্রেস-আফকে স্বাভাবিক করণ করে যাচ্ছে। যুবতি-তরুণী আর অভিজাত কিংবা মফস্বল থেকে শুরু করে গ্রামের ছেলে-মেয়েরাও এসবে এখন অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে।
যতোদিন মিডিয়ার একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ ইসলামিস্টরা নিয়ে বিশুদ্ধ ইসলামের আলোকে সাজাতে না পারবে, যতোদিন বামপন্থিদের কালচার কালচারাল হেজেমনিকে ধ্বংস করা না যাবে, যতোদিন না বামদেরকে সমাজ-রাষ্ট্র-রাজনীতির সর্বস্তরের অপ্রাসঙ্গিক করে দেয়া যাবে, ততোদিন বিশাল সম্ভাবনাময় সংখ্যাগুরু মুসলামনদের এই রাষ্ট্রে এভাবেই তারা তাদের অনৈতিক আধিপত্য বিস্তার করেই যাবে। ততোদিন মুসলমানরা তাদের ঐতিহ্যগুলো, শালীনতাগুলো, সম্ভাবনাগুলো হারাতেই থাকবে।

বামপন্থীরা তাঁদের কর্মীদের দ্বারা পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে এবং ইউনিভার্সিটির পটকে, শহরের অল-গলিতে বাংলাদেশের সমাজ-সংস্কৃতি বিরোধী আচরণ, অশালীন ড্রেস-আফ পরিয়ে দিয়ে অন্যদের মনে প্রভাব সৃষ্টি করার জন্যে, নরমাল করার জন্যে দাঁড়িয়ে থাকতো। সেসব আচরণ করে যেতো। তারই ধারাবাহিকতায় দেখবেন শাহবাগে ইচ্ছে করে প্রকাশ্যে চুমো খাওয়া, বইমেলায় প্রকাশ্যে প্রেমিক-প্রেমিকাকে জড়াজড়ি, অতি ভালোবাসার প্রকাশ করাসহ সবই কিছুই করছে। এভাবে তাদের এজেন্ডা সফল হয় শহুরে-প্রজন্মের মধ্যে। এখন এরা মফস্বলের প্রতিষ্ঠান ও এরিয়াগুলোকে টার্গেট করছে।

এভাবে যদি আমাদের রক্ষণশীল একটা সমাজে এসব পাপাচারকে সামাজিকভাবে নরমালাইজ করা হয়, গ্রহণযোগ্য করে তোলা হয়, তাহলে তাদের মূল এজেন্ডাগুলোতেও তারা সফল হবে। কীভাবে হবে, তা বিশ্লেষণ করবো সুযোগ করে ইন শা আল্লাহ। তবে এতোটুকু মাথায় রাখুন, এই বামেরা বাংলাদেশের স্বার্বভৌমত্বের শত্রু। ইসলামি কালচারের তো বটেই, এরা বাঙালিদেরও শত্রু।

পঠিত : ৩৬৭ বার

মন্তব্য: ০