Alapon

ছাত্রছাত্রীদের আদব-আখলাক কেমন হবে?



কে না চায় ভালো ছাত্র হতে? কে না চায় জ্ঞানী হতে? আমিও চাই। আপনিও চান। আমরা সকলেই চাই। কিন্তু সবাই কি আর আসলে ভালো ছাত্র হতে পারে? পারে না। সবার জ্ঞানের লেভেল কি এক পর্যায়ের? কখনোই না। কোনোদিনও ছিলো না। আজও নেই। কিন্তু আমাদের সকলের ভেতরেই সুপ্ত একটি ইচ্ছে কাজ করে ভালো ছাত্র হবার জন্যে। সবাই-ই হয়তো কমবেশি চেষ্টাও করে মেধাবী ছাত্র হবার জন্যে। কিন্তু সবার চেষ্টা সফল হয় না। হয় না সমান। আবার কেউ প্রাথমিক পর্যায়ে যে আবেগ-উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে প্রচেষ্টার পিরামিড গড়ে তোলে, শেষাবধি সে আবেগ আর উদ্দীপনাকে ধরে রাখতে পারে না। কোনো না কোনো কারণে সে হেরে যায়। কোনো কোনো না কারণে তার গতি শ্লথ হয়ে যায়। তার উৎসাহে বাটা পড়ে যায়। কিন্তু একটা বিষয় হচ্ছে প্রাথমিকভাবে সকল ছাত্রছাত্রীগণই এই চেষ্টাটা করে। মানে মেধাবী হবার চেষ্টা। ভালো ফলাফল করবার চেষ্টা। এমনকি আমাদেরকে আমাদের আশেপাশের বহু প্রিয় মানুষও এই দিকটাকে সামনে রেখে অনুপ্রেরণা দেন। খোঁজ খবর নেন।

এসব কিছুর মাঝে কিন্তু আমাদের মধ্যে একটা জিনিস অর্জনের চেষ্টা প্রকটভাবে ইদানীং ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। আর সেটা হচ্ছে ইলম তথা জ্ঞানের সাথে আখলাক, আদব এবং আমলের।

ভালো ফলাফল করার জন্যে, ভালো প্রতিষ্ঠানে পড়ার জন্য আমাদের যে পরিমাণ সংগ্রাম, যে পরিমাণ প্রচেষ্টা, যে পরিমাণ আকাঙ্ক্ষা; সে পরিমাণ সংগ্রাম-সাধনা, সে পরিমাণ আগ্রহ-আকাঙ্ক্ষা কিন্তু আদব এবং আখলাক ভালো এবং শুদ্ধ করার জন্যে নেই। কেন যেনো আমাদের অধিকাংশ প্রিয় মানুষগুলোও এই আদব আর আখলাককে, আমল ও আচরণকে উন্নত আর অনুপম করার জন্যে ওরকমভাবে অনুপ্রেরণা যোগায় না। উৎসাহ দেয় না। কখনো কখনো তো ভয়ংকর খারাপ আচরণ আর দৃষ্টিকটু আমলকেও তাঁরা একটুখানি ভালো ফলাফলের দিকে চেয়ে এড়িয়ে চলে! হালকা মনে করে। আসলে মূল বিষয় হওয়া উচিৎ ছিলো কী? হচ্ছে কী?

একজন ছাত্রছাত্রী শুধু ভালো ফলাফল করা মানেই ভালো মানুষ নয়। ভালো মানুষ হতে হলে ভালো আখলাক আর ভালো আদবকেতার অধিকারী হতে হয়। হতে হয় ভালো আমলের অধিকারী। একজন ভালো ছাত্রের বৈশিষ্ট্য হবে তো এমন যে, সে ভালো ব্যবহারের অধিকারী। ভালো আখলাকের অধিকারী। সে হবে বিনয়ী। উস্তাদদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। উম্মাহর প্রতি দরদী।

একজন ছাত্রের ভেতর, ইলম অর্জনকারীর ভেতর অন্যের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা থাকবে। তার আমলের মধ্যে ইখলাস থাকবে। সে হবে কৃত্রিমতা মুক্ত। সে তার পছন্দের মানুষের ভালোবাসা কিংবা আনুগত্যের ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করবে না। করবে না ছাড়াছাড়িও। যদি কখনো বিরোধিতাকারীদের সমালোচনা বা বিরোধিতা মোকাবিলা করতে হয়, সেক্ষেত্রেও সে বাড়াবাড়ি করবে না। তার পোশাক আশাক হবে মার্জিত। তার পরনের জামা, মাথার চুল ইত্যাদি দেখেই আল্লাহওয়ালাদের কথা মনে পড়বে।

একটা কথা তিক্ত হলেও সত্য যে, অনেকের চুলের কাটিং, পরনের প্যান্ট-শার্ট কিংবা পাঞ্জাবি-পাজামা, জামা-কাপড় দেখে শয়তানকেই যেনো মনে পড়ে। ইবলিশের চিত্রই যেনো ফুটে ওঠে। অথচ এমন হবার তো কথা না। একজন ছাত্র যদি আর্থিকভাবে অস্বচ্ছলতায়ও থাকে, তবুও সে থাকবে পরিপাটি। তাকে দেখেই নয়নযুগল প্রশান্তির আবেশে ভরে ওঠবে। যা আছে, সে সেটাকেই পাক-সাফ করে রাখবে।

এপর্যায়ে এসে আমরা ইমাম মুসলিম রহিমাহুল্লাহর কথা বলতে পারি। আমি যদ্দুর জানি, তিনি আর্থিকভাবে অতো সচ্ছল ছিলেন না। ওরকমভাবে বাহারি রকমের জামাকাপাড়ও তাই ছিলো না। তবে তিনি ধনী হোক বা গরীব হোক, একটা বিষয় হচ্ছে তার জামাকাপড় খুবই সীমিত ছিলো। যা-ই ছিলো, যতোটুকুনই ছিলো, সেটাকেই তিনি পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করে পরিধান করতেন, ব্যবহার করতেন।

আজকের সমাজের এটা একটা কমন চিত্র যে, একজনের পক্ষ হয়ে অন্যজনকে গালাগাল করা। এক মাসলাকের পক্ষ হয়ে অন্য মাসলাক বা মাজহাবকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা। এক প্রতিষ্ঠানের হয়ে অন্য প্রতিষ্ঠানের, এক শিক্ষকের পক্ষ হয়ে অন্য শিক্ষককে অবমাননা, এক ধারার হয়ে অন্য ধারাকে ক্ষুদ্রজ্ঞান করা, এসব তো একটা দুঃখজনক ঐতিহ্য হয়ে গেছে আমাদের জন্য। অন্যের বিরোধিতায় ন্যূনতম কমনসেন্সটুকুনও থাকেনা, অনেক ক্ষেত্রে থাকেনা সামান্যতম ভদ্রতার লেশটুকুনও!

আমি বা আমরা যাকে বা যাদের ভালোবাসি, যে উস্তাদের কাছে শিখি, যে শিক্ষকের নিকট অধ্যয়ন করি, তাঁর একেবারে অন্ধ ভক্ত বা মুরিদ বনে যাই। তাঁর কথা শুনে অন্যজনকে অবজ্ঞা বা অসম্মান করি। অথচ অন্ধভাবে, নিঃশর্তভাবে আনুগত্যের একমাত্র হকদার আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওতা’আলা। একজন মু’মিনের যাবতীয় আনুগত্য ও অনুসরণ নিঃশর্তভাবে নিবেদিত হবে কেবল আল্লাহ ও তাঁর রাসুলল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্যে। অন্যকারো যে আদেশ-নিষেধ পালন করলে, কিংবা অনুসরণ করলে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য ও অনুসরণ হবে, কেবল সে ক্ষেত্রেই একজন মুসলিম ব্যক্তি তাঁদের আনুগত্য ও অনুসরণ করবে। কিন্তু যেসব ক্ষেত্রে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের বিধানের লঙন হবে, অন্য কারো প্রতি জুলুম হবে, সে ক্ষেত্রে কখনোই তাদের অনুসরণ করা চলবেনা। পবিত্র কুরআনুল হাকিম আমাদের জানিয়ে দিচ্ছে;
হে ঈমানদারগণ ! তোমরা আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও তোমাদের মধ্যকার উলুল আমরের আনুগত্য করো। অতঃপর কোনো বিষয়ে উলুল আমরদের সাথে তোমরা মতবিরোধ করলে সত্যিকারার্থে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের উপর ঈমান এনে থাকলে বিরোধপূর্ণ সে বিষয়টিকে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের দিকে ফিরিয়ে দাও, এটা তোমাদের জন্য উত্তম এবং পরিণতির দিক থেকে তা ভীষণ ভালো।’’[আল-কুরআন, সূরা নিসা : ৫৯]
যাইহোক, বলছিলাম মুসলিম ইবনে হাজ্জাজ (রহ)-এর কথা, এই যে শিক্ষক বা শায়খদের অন্ধভাবে মানা বা আনুগত্য করা, তিনি তা থেকেও ছিলেন বিমুক্ত। যা সত্য তা-ই গ্রহণ করতেন। আমার উস্তাদ-শিক্ষক বা আমার আকাবির বলেছেন বলে তা গ্রহণ করেননি। মেনে নেননি! এক শায়খের পক্ষ হয়ে অন্যজনকেও করেননি গায়েল। আবার বড়োদের বিষয়ের ভিড়ে ঢুকে পরিবেশও গরম করেননি।

একটা ঘটনা বলি, তা হলে বিষয়টি বুঝতে সুবিধে হবে। তিনি তখন পড়াশোনা করতেন ইমাম ইয়াহইয়া যুহলী রাহিমাহুল্লাহের নিকট। তাঁর জন্মভূমি নিশাপুরেই। কয়দিন পরে সেই নিশাপুরে আগমন করলেন হাদিস শাস্ত্রের বিশ্ব সম্রাট ইমাম বুখারি রাহিমাহুল্লাহ। সেখানে তিনি আসার সাথে সাথে মানুষ ওনাকে ব্যাপকভাবে গ্রহণ করতে শুরু করেছেন। মানুষজন ওনার সাথে সাক্ষাৎ করতে, ওনার থেকে হাদিসের দারস নিতে পঙ্গপালের মতো ছুটে আসতে লাগলেন। তুমুল জনপ্রিয়তা পেতে লাগলো তাঁর দারসে হাদিসগুলো। অন্যদের পাঠশালায় ধীরে ধীরে ছাত্রদের ভিড় কমে যেতে লাগলো। সহ্য করতে পারেননি তাঁরা তাঁর এমন জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা।

কেউ হক্ক কথা বললে, কারো জনপ্রিয়তা কিংবা কারো গ্রহণযোগ্যতা দেখলে আমাদের সময়ে, আমাদের সমাজে যেভাবে অপবাদ দেয়া হয়, অন্যায় অভিযোগ করা হয়, বাটপার, ইহুদিদের দালাল, ভ্রান্ত, অমুকের দালা্‌ তমুকের এজেন্ট বলে হেনস্তা করা হয় ; তদ্রুপ সে সময়েও কিছুটা সেরকমই হতো। হিংসুটে ব্যক্তিদের পাশাপাশি রাষ্ট্রশক্তির পক্ষ থেকেও কখনো কখনো হত্যা করা হতো, জেলেপুরে দেয়া হতো, নির্যাতন করা হতো। স্বয়ং ইমাম মুসলিম রাহিমাহুল্লাহও নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।

যাহোক, বলছিলাম ইমাম বুখারির কথা। তাঁর তুমুল জনপ্রিয়তা দেখেও তৎকালীন সময়ের নিশাপুরের কিছু আলিম ওনার বিরুদ্ধে পুষে ওঠেছে। মিথ্যে অভিযোগ আর অপপ্রচারের ঢেউ এসে আছড়ে পড়লো ইমাম যুহলীর মস্তিষ্কেও।

তিনিও তাঁকে ভুল বুঝতে লাগলেন। ভুল বুঝাবুঝির তীব্রতা এতো বেশি ছিলো যে, তিনি ইমাম বুখারি রাহিমাহুল্লাহর বিরুদ্ধে খুব বেশিই ক্ষেপে ওঠেন। ক্লাসেও ছাত্রদেরকে ওনার বিরুদ্ধে বলতে শুরু করলেন। নিজ ছাত্রদেরকে ইমাম বুখারির দারসে যেতে নিষেধ করতেন। কিন্তু ইমাম (মুসলিম রাহিমাহুল্লাহ) নিয়মিত ওনার কাছেও যেতেন। তাঁর থেকেও ইলমুল হাদিসের জ্ঞান আহরণ করতেন।

তিনি নিজ উস্তাদ বিরোধিতা করছে বলে কিংবা উস্তাদ তিরস্কার করে বা নিষেধ করে; সে জন্য নিজেও অন্ধভাবে বিরোধিতা শুরু করেননি, আজকে আমরা যা করি আরকি। তিনি দুজনকেই সম্মান করতেন। শ্রদ্ধা করতেন। উভয়ের থেকেই উপকৃত হতেন। তিনি যে নিয়মিত ইমাম বুখারির নিকট যেতেন, সে কারণে তাঁকে ইয়াহিয়া যুহলী তিরস্কার করতেন। সর্বশেষ এ কারণে তাঁকে যুহলী (রহঃ)-এর মজলিশও ত্যাগ করতে হয়েছে। তবুও তিনি একজনের পক্ষ নিয়ে আরেকজনকে গালাগাল করেননি। অশ্রদ্ধা বা অসম্মানও করেন নি। আজকের যুগে তো আমরা এক শায়খের পক্ষ নিয়ে অন্য শায়খের ইজ্জতকে ধুলোয় ধূসরিত করে ফেলি! আমরা যাঁরা রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিস অনুসরণ করতে চাই, তাদের সেই হাদিসের সংগ্রহকারক, সংকলকদের এই যে সুন্দর চিন্তাও আদর্শ; সেই আদর্শে উজ্জীবীত হওয়া উচিত। আল্লাহর রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লামের একটা হাদিস আছে, যেখানে তিনি বলেছেন; ‘সে ব্যক্তি আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়, যে বড়দের সম্মান করেনা এবং ছোটকে স্নেহ করেনা, আর আলিমের অধিকার বিষয়ে সচেষ্ট থাকেনা।’
একজন তালিবুল ইলমের তো উচিৎ হচ্ছে সদাসর্বদা অন্যকে তার প্রাপ্য স্নেহ ভালোবাসা প্রদান করা। বড়োদের যথাযথ মর্যাদা নিশ্চিত করা। আলিমদের সাথে অশোভন আচরণ না করা। তাদের প্রাপ্য অধিকার যথাযথরূপে প্রদান করা। যে ব্যক্তি সম্মানিত ব্যক্তিকে সম্মান প্রদান করেন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা তাঁর নিজের সম্মানও শতোগুণ বেশি বৃদ্ধি করেন। এখানে আরো একজন মহা মনীষীর কথা উল্লেখ করতে চাই, আর তিনি হলেন হাদিস শাস্ত্রের সম্রাট ইমাম বুখারি (রহ.)। ওনাকে যখন ইমাম যুহলী তিরস্কারের তীরে বিদ্ধ করেছেন,তখন ওনার কিন্তু তার প্রতি প্রচণ্ড জেদ কাজ করার কথা ছিলো। তার বিরুদ্ধেও লেগে তার বিরোধিতায় মত্ত হবার কথা ছিলো। কিন্তু তিনি কিছুই করলেন। তার প্রতি অশ্রদ্ধাও প্রকাশ করলেন না। তিনি ইমাম যুহলীর ইল্ম থেকে উপকৃত হয়েছেন। এবং সহীহ্ বুখারিতেও তার থেকে বর্ণিত হাদিস লিপিবদ্ধ করেছেন।

আমরা যারা আল্লাহর দ্বীন শিখতে চাই, রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বর্ণিত হাদিস জানতে চাই, তাদেরও কি এমনই হওয়া উচিৎ নয় কি? যারা আমাদের বিরুদ্ধে অযথা অভিযোগ আনবে, আমাদের বিরুদ্ধে অযথা লেগে থাকবে, তাদেরকেও কি ইমাম বুখারির মতো উদার হয়ে ক্ষমা করে দেওয়া উচিৎ নয়? আমরা অন্যের পেছনে পড়ে না থেকে আমাদের কাজ করে যাবো। প্রয়োজনীয় ইলমও হাসিল করবো তার থেকে।
শেষ পর্যায়ে বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা আলিমে দ্বীন, সৌদি আরবের শাইখ সালিহ আল মুনাজ্জিদ (হাফিঃ)-এর একটা নসীহা দিয়ে। তাকে একজন ছাত্র জিজ্ঞেস করছেন যে, আমি ইলম অর্জনের চেষ্টা করছি। তো একজন ছাত্র হিসেবে আমাকে কী এবং কেমন আদবকেতার অধিকারী হতে হবে?

এর জবাবে শাইখ কিছু পরামর্শ বা নসীহা প্রদান করেছেন। সেগুলো হলো :
ক) ধৈর্য ।
খ) ইখলাস।
গ) অর্জিত ইলম অনুযায়ী আমল করা ।
ঘ) আল্লাহ আপনাকে পর্যবেক্ষণ করছেন এ অনুভুতি লালন করা ।
ঙ) সময়ের সদ্ব্যবহার করা।
চ) কোনো ধরনের মতভেদে লিপ্ত না হওয়া বা মতবিরোধপূর্ণ বিষয়ের পেছনে না পড়া।
ছ) পড়াকে পাকাপোক্তভাবে মুখস্ত করা ।
জ) কিতাবাদি অধ্যয়ন এবং সার্বক্ষণিক পড়াশোনায় রত থাকা।
ঝ) নেককার ও ইলম নিয়ে ব্যস্ত থাকে, স্বভাব প্রকৃতি ভালো, এমন একজন বন্ধু বা সঙ্গি গ্রহণে সচেষ্ট থাকা।
ঞ) উস্তাদের সাথে আদব রক্ষা করে চলা। বীনয়ী থাকা এবং ভালো আচরণ করা।
ট) উস্তাদদের কোনো ভুল বা বিস্মৃতির জন্যে তাঁদেরকে খাঁটো করে না দেখা, অমর্যদা না করা।

আসলে একটা বিষয় হচ্ছে যে, শুধু ভালো ফলাফল করা মানেই ভালো ছাত্র না। ভালো ছাত্র মানে তার আদবকেতাও ভালো। ভালো তার আখলাক এবং আচরণও। ভালো তার জীবনপদ্ধতিও ।

এই যে, ইমাম বুখারি এবং ইমাম মুসলিমের উদাহরণ; আমরা যেনো আমাদের জীবনেও এর পূর্ণ প্রতিফলন করতে পারি। শাইখ সালিহ আল-মুনাজ্জিদের নসীহাকেও ধারণ করতে পারি। আল্লাহ্‌ যেনো আমাদেরকে সত্যিকারে ভালো ছাত্র এবং ভালো মানুষ হিসেবে কবুল করে নেন। আমাদের দ্বারা যেনো উম্মাতে মুসলিমা উপকৃত হয়। উপকৃত হয় যেনো সমগ্র মানবজাতিও। আ-মী-ন!

~রেদওয়ান রাওয়াহা

পঠিত : ৩১৩৪ বার

মন্তব্য: ০