Alapon

মওসুমী-ওমর সানী ও জায়েদ খান প্রসঙ্গে......



প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী বাংলা চলচ্চিত্রের এক উজ্জ্বল নাম। মৌসুমীর ভক্তরা তাকে ঢালিউড কুইনও বলে থাকে। মৌসুমীর চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে রয়েছে অসংখ্য ব্যবসা সফল সিনেমা। ৯০র দশক এবং ২০০০ সালের পরবর্তী সময়ে বাংলা চলচ্চিত্রে মৌসুমীর নাম দিয়ে সিনেমা চলতো। বাংলা সিনেমায় মৌসুমী অন্য আট-দশটা নায়িকার মত নই। সিনেমা জগতে তার একটি অবস্থান রয়েছে।

এছাড়াও মৌসুমী-ওমর সানি বাংলা সিনেমার বাহিরে বাস্তব জীবনেও জনপ্রিয় একটি দম্পতি। তাদের রয়েছে সুখের দাম্পত্য জীবন, ওমর সানির মৌসুমীর প্রতি রয়েছে অসম্ভব ভালোবাসা এবং সম্মান। সর্বক্ষেত্রে অর্ধাঙ্গিনী মৌসুমীর প্রতি সানির ভালোবাসার প্রমাণ পাওয়া যেত। মৌসুমী কোথাও নির্বাচন করলে সানি মৌসুমীর হয়ে তার নির্বাচন পরিচালনা করতো কিংবা মৌসুমীকে কেউ অপমান করে কথা বললে তারও প্রতিবাদ করতো। সবকিছু মিলিয়ে মৌসুমীর প্রতি সানির ভালোবাসার কোনো কমতি ছিলো না। ওমর সানির মত স্বামী আজকাল খুবই বিরল। সানির বিভিন্ন সাক্ষাৎকার শুনলেই বুঝা যায়, সে বাচ্চাকাচ্চা আর স্ত্রী নিয়া একটা সুখের সংসার কতোটা ভালোবাসে। সে সরল বোকা কিসিমের মানুষ হইলেও অন্তত ব্যাক্তিত্ববান একজন পুরুষ। যার মেরুদণ্ড আছে।

মৌসুমীর বয়স ৫০র কোটায় চলে এসেছে, বলা যায় মৌসুমী-সানি দম্পতি তাদের জীবন সায়াহ্নে চলে এসেছে। তাদের ছেলেকেও বিয়ে দিয়েছে। ঘরে রয়েছে ছেলে বউ। হয়তো কিছু দিনের মধ্যে নাতি নাতনিরও মুখ দেখবেন তারা।

এমন একটা সময়ে সি গ্রেডের নায়িকাদের মত বাজার গরম করা খবর মৌসুমীর নামের পাশে বেমানান। এমন একটা মানুষের নামের সাথে মৌসুমির নাম আসছে তার সম্পর্কে বলা হয়ে থাকে যে, চলচ্চিত্রে জীবনে তার কোনো ভক্ত নেই। সে একজন তৃতীয় সারির গার্বেজ স্বঘোষিত নায়ক। উল্লেখ করার মত তার কোনো ছবি নেই। বর্তমানে হাতেও কোনো কাজ নেই। তার কাজ হচ্ছে রাজনীতি করা। একে ওকে তেল মেরে সুবিধা নেওয়া।তার মাঝে বাংলাদেশি সি গ্রেড মানের একজন রাজনৈতিক ব্যাক্তির সব গুনাবলী বিদ্যমান। তার নাম এবং ট্রল, মিম যেন একে অপরের পরিপূরক এমনকি তার নামের সাথে যেকোনো ভালো মানুষের নাম আসলে সেই ব্যাক্তিও ট্রল,মিম, হাসি রসিকতার আওতায় চলে আসে। সে অনেকটা পঁচা ফলের মত যার সাথে যুক্ত হলে ভালো ফল গুলাও নষ্ট হয়ে যায়। এমন একজন লোকের সাথে মৌসুমীর নাম আসা সত্যিই হতাশ জনক।

জায়েদ খানের সাথে মৌসুমী এখন যেটা করতেছে, সেটাকে একটা বেকুব বেয়াক্কেল মাথমোটার আচরণই বলা যায়। তার মনে রাখা প্রয়োজন সে একজন শ্বাশুরি, একজন প্রাপ্তবয়স্ক যুবকের মা। অথচ সে সবকিছু ভুইলা একটা বেয়াদব,তেলবাজ, সি গ্রেড মার্কা স্বঘোষিত নায়কের পিছে পড়ে আছে।

১৪.০৬.২২

পঠিত : ৯৪৮ বার

মন্তব্য: ০