অনুভবে স্রষ্টা
তারিখঃ ১৫ জুন, ২০২২, ০২:৪৬
একটু আয়নার সামনে গিয়ে নিজের মুখ খানার দিকে তাকাই। কত সুন্দর অবয়ব দেয়া হয়েছে। একটু ভাবুনতো যদি নাক টি মুখের উপরে না হয়ে মাথার পিছনে হতো তাহলে খাবার গ্রহণে কি বড় সমস্য হতো না? তখনতো খাবার গ্রহণ করতে গেলে আগে সেটাকে পিছনে নিয়ে নাক দ্বারা পরিক্ষা করে তার পর সামনে এনে মুখে দিতে হতো। আচ্ছা আমাদের হাতে যদি কনুইয়ের জোড়া না থাকিতো তাহলে কিভাবে নিজেই নিজের খাবার গ্রহণ করতাম? পায়ে যদি পাতা না থাকতো তাহলে কিভাবে পায়ে ভর দিয়ে শত শত কেজি বোঝা বহন করতাম? আমাদের কোমরে যদি জোড়া না থাকতো এবং মেরুদন্ড যদি পায়ের হাড়ের সাথে যুক্ত থাকতো তখন কিভাবে শুইতাম? তখন কি কলা গাছের ন্যয় ধপাস করে খাটের উপর পড়তে হতো না? আমাদের যদি জিহ্বা না থাকতো তাহলে কিভাবে কথা বলতাম? কিভাবে খাবারের স্বাদ আস্বাদন করতাম? তখন কি খাবারের কোনো মান থাকতো? হাতের আঙ্গুল গুলোতে যদি মাত্র একটি করে হাড় হতো তখন কিভাবে কোনো কিছু ধরতাম? এতদ প্রশ্ন গুলো কি আমাদের হৃদ মাজারে উঁকি দেয় না? , নাক পিছনে থাকলেও খাবার পরিক্ষা করে নেয়া যেতো। কনইয়ের জোড়া না থাকলেও যেভাবেই হোক খাবার খাওয়া যেতো। পায়ে পাতা না থাকলেও ভার বহন করে হাঁটা যেতো। কোমরে জোড়া না থাকলেও ধপাস করে হলেও শুইতে পারতাম। জিহবা না থাকলেও যেভাবেই হোক মনের ভাব প্রকাশ করতে পারতাম। হাতের আঙ্গুলে একটি মাত্র হাড় হলেও কাজ করতে পারতাম। সবই হতো কিন্তু কেমন বিদঘুটে ঝামেলা পূর্ণ হতো না কি?
তাহলে এতদ সুন্দর অবয়ব নিয়ে কি প্রশ্ন জাগে না ? কে তিনি, যিনি এতো সুন্দর রূপে মানুষ সৃষ্টি করেছেন ?
মন্তব্য: ১