Alapon

আমাদের প্রতিক্রিয়াগুলো কেমন হওয়া উচিত...



বিভিন্ন ব্যক্তি ও অনলাইন পোর্টালসমূহ বুঝেশুঝে সিলি, অরুচিকর, ঘেন্নাজাগানিয়া পোস্ট করে। পোস্ট করার পর তারা আমাদের জন্য অপেক্ষা করে যে, আমরা তথাকথিত রুচিশীল মানুষ গিয়ে সেখানে গালাগাল করব কিংবা অন্ততপক্ষে বিরক্তি জানিয়ে আসব। এতে তার পোর্টালের রিচ বাড়বে।

প্রতি সকালে সে আমাদের উপস্থিতি প্রত্যাশা করে আর আমরা সেখানে গিয়ে হাজিরা দেই। বিষয়টা বেশ মজার তাই না!

একে বলে, imposing reaction and demanding attention. অর্থাৎ তারা আমাদের ভেতর প্রতিক্রিয়া উচকে দেয় এবং এর মাধ্যমে আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করে। তারা জানে, কী করলে আমরা উত্তেজিত হব এবং প্রতিক্রিয়া দেখাব। তারা জানে, কী করলে আমরা এনগেজ হব। এগেইন, তারা জানে, কী করলে আমরা ইমোশনালি টিগার্ড হবো; হয়তো পজিটিভলিও।

ইগনোর করা শিখতে হবে। বহুকিছু ইনগোর করতে হবে। আরও কী কী ইগনোর করা জরুর তার নাম আমি উল্লেখ করছি না ভয়ে।

এমনকি আল্লাহ তায়ালা দুনিয়াকে এমনভাবে সাজিয়েছেন যে, এখানে টেম্পটেশন রয়েছে। শয়তান ও প্রবৃত্তির টেম্পটেশন রয়েছে। এ টেম্পটেশনকে যারা ইগনোর করতে পারেন তারা হলেন তাকওয়াবান।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, আমরা যে আচরণই করি তাই আমি৷ একজন মুমিন কোনোভাবে অশ্লীলভাষী হতে পারেন না। কোনোভাবে অশালীন কথা কিংবা মন্তব্য প্রকাশ পেলে তিনি তাওবা করেন, অর্থাৎ লজ্জিত হবেন। এটা ঠিক পলিটিক্যাল এক্টিভিজমেও প্রযোজ্য। মাত্রাবোধ জরুরি। টু দ্য পয়েন্ট কথা বলা দরকার।

আমরা মূলত তখনই অশ্লীলভাষী হই যখন আমাদের লজিক্যালি বলার সামর্থ্য থাকে না। অর্থাৎ, যখন কোনো বিষয় আমাদের অপছন্দ কিন্তু অপছন্দের যৌক্তিক কারণ আমরা আর্টিকিউলেট করতে পারি না, তখন আমরা অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করি। তাই ক্রাইসিসটা মূলত সক্ষমতার।

পঠিত : ২৮৫ বার

মন্তব্য: ০