Alapon

বিধ্বংসী তুর্কী ড্রোন কিনতে যাচ্ছে বাংলাদেশ...



একসময় ইউরোপের রুগ্ন মানুষ হিসেবে গণ্য করা হতো তুরস্ককে। কিন্তু সেই তুরস্ক গত এক দশকে সামরিক এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নিজেকে নিয়ে গিয়েছে অনন্য উচ্চতায়। তুরস্কের এই ক্রমবর্ধমান সামরিক উন্নয়নের বিজ্ঞাপন হতে পারে যে বস্তুটি, তা হলো ড্রোন!
সিরিয়া, লিবিয়া, আজারবাইজান হয়ে সর্বশেষ ইউক্রেন ফ্রন্টে চমক দেখানো বায়রাকার কোম্পানির এই ড্রোন কিনতে ইতোমধ্যে প্রায় দুই ডজনের অধিক দেশ আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আর এই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন হলো বাংলাদেশ।

১…
মাত্র দেড় দশক আগেও ড্রোন ক্রয়ের জন্য ইজরায়েল এবং আমেরিকার পিছন পিছন বহু ঘুরতে হতো তুরস্ককে। তুরস্কের অভ্যন্তরে কুর্দী বিদ্রোহীদের দমন করার জন্য ড্রোনের ব্যাপক দরকার ছিলো তুর্কী সেনাবাহিনীর। কেননা কুর্দীদের ঘাঁটিগুলো বেশিরভাগ ছিলো পার্বত্য অঞ্চলে। আর দুর্গম ঐসব পর্বতে স্থলপথে অভিযান চালিয়ে সাফল্য কম পাওয়া যেতো।

সেসময় ড্রোন প্রযুক্তিতে ইজরায়েল এবং আমেরিকার ড্রোন সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তির ছিলো। ইজরায়েল থেকে বেশ কয়েকবার ড্রোন ক্রয়ও করে তুরস্ক। কিন্তু দেখা যায়, প্রতিবারই ইজরায়েল নানা ছুঁতোয় ড্রোন সরবরাহ করতে দেরি করতো। এছাড়াও তুরস্কের গোয়েন্দারা রিপোর্ট প্রদান করে যে, তুরস্ক কখন কুর্দী বিদ্রোহীদের উপর হামলা করে তা আগেভাগে (এই ড্রোনের অভ্যন্তরীণ মেকানিজম, কন্ট্রোল স্টেশন ইজরায়েলের হাতে থাকায়) জেনে কুর্দী বিদ্রোহীদের পালাতে সহায়তা করতো ইজরায়েল। ইজরায়েলের এমন দ্বিচারিতার জন্য তুরস্ক ভালো ভাবে দমন করতে সক্ষম হচ্ছিলো না কুর্দী বিদ্রোহীদের।

এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে তুরস্কের জন্য ত্রাণকর্তা হয়ে এগিয়ে আসেন সেলজুক বাইরাকতার নামক এক তরুণ তুর্কী। এমআইটি থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করা এই ইন্জিনিয়ার বিদেশে না থেকে নিজ দেশে ফিরে আসেন গ্রাজুয়েশনের পরপরই। এরপর নিজ মেধাকে কাজি লাগিয়ে তিনি বানান এক উন্নত প্রযুক্তির ড্রোন। যা পরবর্তীতে তুর্কী সরকারের নজরে এসে পড়ে।

তুর্কী সামরিক বাহিনী ২০১৬ সালের দিকে এসে বায়রাকতার ড্রোনটি কুর্দী বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা শুরু করে। শুরুতেই কুর্দি বিদ্রোহীদের বিপক্ষে ব্যাপক সাফল্য পায় এই ড্রোন। ফলে সেলজুক বায়রাকতারের ড্রোন প্রজেক্টে তুর্কী সরকারের ব্যাপক অনুদান আসতে থাকে এবং সেইসাথে ব্যাপকহারে এই ড্রোনের উন্নয়ন এবং উৎপাদনের কাজ চলতে থাকে। এই ড্রোনের সাফল্যে তুর্কী প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এতই খুশি হন যে, ড্রোনের আবিষ্কারক সেলজুক বায়রাকতারের সাথে নিজের ছোট মেয়ের বিয়ে দেন।

২…
তুরস্কের বাইরে এই পর্যন্ত ৪টি দেশে অফিসিয়ালি বায়রাকতার টিবি-২ ড্রোন ব্যবহৃত হয়েছে। সিরিয়া, লিবিয়া, আজারবাইজান এবং ইউক্রেন প্রতিটি ফ্রন্টে এই ড্রোনের ক্যারিশমা সমগ্র বিশ্বের নজর কেড়েছে।

→ সিরিয়া!

সিরিয়া গৃহযুদ্ধ ২০১১ সালে শুরু হলেও তুরস্ক প্রত্যক্ষভাবে এই যুদ্ধে জড়ায় ২০১৬ সালে। ২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত তিন দফায় কুর্দী বিদ্রোহী এবং অ!ইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তুরস্ক। এই যুদ্ধগুলোতে তুরস্ককে তেমন বেগ পেতে হয়নি।

কিন্তু ২০২০ সালে সিরিয়ার রাশিয়া সমর্থিত সরকারের সাথে যুদ্ধে ব্যাপক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় তুরস্ককে। যুদ্ধের শুরুর দিকে রাশিয়ার ব্যাকআপে এবং ইরানের প্রত্যক্ষ সহায়তায় সিরিয়ার সরকার ভালোই বেকায়দায় ফেলে তুরস্ককে। কিন্তু এরপরই মাঠে নামানো হয় তুরস্কের ড্রোন বায়রাকতার টিবি-২। এই ড্রোনের বিধ্বংসী আক্রমণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় সিরিয়ার সরকারকে।

২০২০ সালে যুদ্ধ শুরুর পূর্বেকার পরিস্থিতি বিশ্লেষণে মনে হয়েছিলো, এই যুদ্ধে সিরিয়ার সরকার তুরস্ককে হারাতে সক্ষম হবে। কিন্তু তুরস্কের বায়রাকতার ড্রোন সমগ্র হিসাব নিকাশকে উল্টিয়ে দিয়ে সিরিয়ার মাটিতে তুরস্ককে জিতিয়ে আনতে সক্ষম হয়। ফলে সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশ অঘোষিতভাবে তুরস্কের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

→ লিবিয়া!

তুরস্কের বাহিরে বায়রাকতার ড্রোনের দ্বিতীয় অপারেশন সংগঠিত হয় লিবিয়ার মাটিতে। লিবিয়ায় বিবদমান দুইটি গ্রুপের মধ্যে একটির সাথে ২০১৯ সালে চুক্তি সম্পন্ন করে তুরস্ক। তুরস্কের সাথে চুক্তিকারী গ্রুপটি সেসময় পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে ছিলো।

কিন্তু ২০২০ সালে লিবিয়ার মাটিতে তুর্কী সেনাবাহিনী এবং তুর্কী ড্রোনের আগমনের পরপরই পাল্টে যায় পরিস্থিতি। প্রায় হারের মুখে থাকা তুরস্ক সমর্থিত গ্রুপটি ঘুরে দাঁড়ায় এবং রাজধানী সহ বেশকিছু অঞ্চলে নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরি করে নেয়। এই যুদ্ধেও তুর্কী বায়রাকতার ড্রোনটির হামলায় প্রতিপক্ষকে চরম নাজেহাল হতে হয়।

লিবিয়া যুদ্ধে পতনের মুখে থাকা একটা পক্ষকে শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে আসার একক ক্রেডিট পায় বায়রাকতার ড্রোন। আর তাই এই ড্রোনকে গেম চেঞ্জার হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়।

→ আজারবাইজান!

তুর্কি ড্রোনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন পরিচালিত হয় আজারবাইজানের নাগার্নো কারাবাখ অঞ্চলে। আর্মেনিয়ার হাত থেকে এই অঞ্চল উদ্ধার করতে আজারবাইজানকে সরাসরি সহায়তা করে তুরস্ক।

২০২০ সালের শেষের দিকে সংগঠিত হয় আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ার মধ্যকার দ্বিতীয় যুদ্ধ। এই যুদ্ধে ভূমিধস বিজয় লাভ করে আজারবাইজান। আর আজারবাইজানের এই বিজয়ের পিছনে প্রযুক্তিগত দিক থেকে শতভাগ ক্রেডিটই চলে যায় তুর্কী ড্রোন বায়রাকতারের নিকট। এই যুদ্ধের সময় বায়রাকতার ড্রোন দিয়ে আর্মেনিয়ান সৈন্যদের মারার দৃশ্যগুলো অনেকটা ভিডিও গেমসের মতনই নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়।

→ ইউক্রেন!

তুর্কী ড্রোনের সফলতার সর্বশেষ উদাহরণ হলো ইউক্রেন ফ্রন্ট। রাশিয়া - ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকেই তুর্কী বায়রাকতার ড্রোন ব্যবহার করছে ইউক্রেন। ইউক্রেন অফিসিয়ালি এই ড্রোনের কার্যকারিতাতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। পাশাপাশি যুদ্ধকালীন সময়ে আরো বহু সংখ্যক বায়রাকতার ড্রোন কিনতে যাচ্ছে ইউক্রেন।

এমনকি ইউক্রেনের জনগণ নিজেরা চাঁদা উত্তোলন করে সরকারকে প্রদান করে নতুন করে আরো বায়রাকতার ড্রোন ক্রয় করার জন্য। যদিও বায়রাকতার ড্রোনের কোম্পানি এই চাঁদা গ্রহণ না করে ফ্রীতে তিনটা ড্রোন ইউক্রেনকে দিয়ে দেয়, শুধুমাত্র ইউক্রেনীয় জনগণের ভালোবাসাকে প্রাধান্য দিতে।

৩…
শুধুমাত্র ৪ টি দেশে এখন পর্যন্ত তুর্কী বায়রাকতার ড্রোন যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করার নজির থাকলেও এই ড্রোনের ক্রেতা সংখ্যা দুই ডজন ছাড়িয়ে গিয়েছে।

বর্তমানে নিম্নোক্ত ৮ টি দেশ বায়রাকতার ড্রোন যুদ্ধ ছাড়া শুধুমাত্র সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে ব্যবহার করছে। দেশগুলো হলোঃ ইথিওপিয়া, জিবুতি, মরক্কো, পাকিস্তান, কিরগিস্তান, নাইজার, কাতার, তুর্কমেনিস্তান।

এছাড়া ২ টি দেশ বায়রাকতার ড্রোন অর্ডার করলেও এখনো হাতে পায়নি৷ দেশ দুইটি হলো ইরাক এবং পোল্যান্ড।

এছাড়াও বায়রাকতার ড্রোন কিনার জন্য অফিসিয়ালি আগ্রহ প্রকাশ করেছে ১০ টি দেশ। দেশগুলো হলোঃ আলবেনিয়া, সার্বিয়া, হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া, লাটভিয়া, বুলগেরিয়া, রুয়ান্ডা, কাজাখস্তান, সোমালিয়া, ওমান।

অফিসিয়ালি ঘোষণা না হলেও বিভিন্ন সূত্রের খবরে বায়রাকতার ড্রোনের ক্রেতা হিসেবে উঠে এসেছে আরো ৪ টি দেশের নাম। দেশগুলো হলোঃ সৌদি আরব, আলজেরিয়া, এঙ্গোলা, বাংলাদেশ।

অর্থাৎ ইতোমধ্যে তুর্কী ড্রোন ব্যবহার, ক্রয় কিংবা ক্রয়ের অপেক্ষায় রয়েছে দুই ডজনের অধিক দেশ।

৪…
তুরস্ক থেকে বাংলাদেশ যে ড্রোন কিনতে যাচ্ছে, তা অবশ্য এটাকিং ড্রোন না। অর্থাৎ যুদ্ধক্ষেত্রে হামলা চালানোর উপযোগী ড্রোন ক্রয় করছে না বাংলাদেশ। বাংলাদেশের কিনতে যাওয়া বায়রাকতার ড্রোন শুধুমাত্র দূরবর্তী দুর্গম অঞ্চলে নজরদারি কার্যক্রম চালানোর জন্য ব্যবহৃত হবে।

তুরস্ক থেকে বাংলাদেশের এই ড্রোন কিনার কার্যক্রম হঠাৎ কোনো ঘটনা না। গত কয়েক বছর ধরে ঢাকা এবং আংকারা নিজেদের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে অনেক দৃঢ় করে গড়ে তোলে। ২০২১ সালে বাংলাদেশের তিন বাহিনীর প্রধানই পৃথক সময়ে তুরস্ক সফর করেন। বাংলাদেশের তিন বাহিনীর প্রধানকে কাছাকাছি সময়ে একই দেশ সফরের নজির খুবই কম।

তুরস্ক থেকে ড্রোন ক্রয়ের ফলে বাংলাদেশ সামরিক ক্ষেত্রে ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত আমাদের সামরিক বাহিনীর বেশিরভাগ সরঞ্জামই চীন থেকে ক্রয় করা। যা বাংলাদেশকে সংকটকালীন সময়ে চীনের মুখাপেক্ষী থাকতে অনেকটা বাধ্য করতো। তুরস্ক থেকে সামরিক সরঞ্জাম আমদানি অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশের জন্য এই সংকট অনেকটা কমে যাবে।

এছাড়াও তুরস্কের প্রযুক্তি সহজে আমাদের পাশ্ববর্তী দেশগুলো পাবে না। যা আমাদের জন্য ইতিবাচক হবে। আগে বিভিন্ন সময় দেখা যেতো, চীনের যে অস্ত্রগুলো আমাদের বাহিনীগুলো ব্যবহার করতো, তার আপডেট ভার্সন মায়ানমারের কাছে থাকতো। ফলে এটা কৌশলগত দিক থেকে আমাদের পিছিয়ে রাখতো। কিন্তু তুর্কী প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এমন আশংকা নেই।

তুরস্ক বর্তমান বিশ্বে ধীরে ধীরে প্রভাবশালী রাষ্ট্র হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। তুরস্কের প্রভাব বুঝার জন্য একটা ঘটনা দেখা যাক। তুর্কী ড্রোন বায়রাকতার দিয়ে রাশিয়ার বিপক্ষে যুদ্ধ করছে ইউক্রেন। অর্থাৎ রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে সহায়তা করছে তুরস্ক। অথচ এদিকে আবার তুরস্কের মধ্যস্ততায় রাশিয়া এবং ইউক্রেন গত কয়েকদিন আগে খাদ্য পরিবহন নিয়ে চুক্তি সম্পন্ন করে। অর্থাৎ রাশিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করা দেশকেও মধ্যস্ততাকারী হিসেবে মেনে নিতে হচ্ছে রাশিয়াকে।

বিশ্ব রাজনীতিতে প্রভাব তৈরিকারী এমন একটি দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখাটা বাংলাদেশকে বিভিন্ন দিক থেকে সাহায্য করবে।

৫…
তুরস্কের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং ড্রোন আমদানি বাংলাদেশের জন্য অবশ্যই ইতিবাচক ঘটনা হয়ে থাকবে। কিন্তু সেইসাথে বাংলাদেশের উচিত হবে আরো টেকনিকালি এই সামরিক সম্পর্ককে অর্থনৈতিক এবং উন্নয়ন খাতে এগিয়ে আনা। যেমনঃ তুরস্ক এখন পর্যন্ত আফ্রিকা, মধ্য এশিয়া, বলকানের অনেক দেশে বিনিয়োগ এবং অবকাঠামোগত কাজ করলেও বাংলাদেশে তেমন কিছু করছে না। অপরদিকে চীন বাংলাদেশে অনেক বিনিয়োগ কার্যক্রমে সহায়তা করছে। আর তাই বাংলাদেশের উচিত তুরস্ক থেকে অস্ত্র আমদানি বৃদ্ধির সময় সম্পূরক শর্ত কিংবা আবদারের মাধ্যমে তুর্কী কোম্পানিগুলোকে এদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে বলা। অবশ্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী অতীতেও বেশ কয়েকবার তুরস্ককে এই ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে আহবান করেছেন।

তুরস্ক থেকে ড্রোন কিংবা অন্য কোনো সামরিক সরঞ্জামের আমদানি আমাদের পাশ্ববর্তী বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে যাতে বিঘ্ন সৃষ্টি না করে সেটাও নিশ্চিত করা দরকার আমাদের সরকারের জন্য। কেননা ভৌগোলিক কারণে তুরস্কের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন রাখাটা আমাদের জন্য অতোটা জরুরি না, যতটা পাশ্ববর্তী রাষ্ট্রগুলোর সাথে রাখা জরুরি। অবশ্য তুরস্কের সাথে আমাদের পাশ্ববর্তী কোনো রাষ্ট্রের কোনোরূপ বিরোধ নাই কিংবা বিরোধ করার সক্ষমতা নাই।

তুরস্ক এবং বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের বয়স পাঁচ দশকের মতো হবে। কিন্তু দেশটির সাথে আমাদের সম্পর্ক হাজার বছরের উপর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষায়, " আমাদের সম্পর্ক তো বখতিয়ার খিলজির সময়কাল থেকে "।

এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ মিত্র দেশের সাথে সম্পর্ক যতটুকু গভীর থাকা দরকার ছিলো, ততোটা এখন পর্যন্ত হয়নি। যদিও গত পাঁচ বছরে সম্পর্ক বেশ ভালোই মজবুত হয়েছে। কিন্তু একে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা চালানো উচিত দুই দেশের তরফ থেকেই।

পঠিত : ৯১৬ বার

মন্তব্য: ০