ইসলামী ব্যাংকিং সিস্টেম কী আসলেই শুভংকরের ফাঁকি?
তারিখঃ ১২ আগস্ট, ২০২২, ১৯:৪৮
তত্ত্বগতভাবে ইসলামী ব্যাংকব্যবস্থা মোটেও শুভংকরের ফাঁকি নয়। বরং প্রচলিত সুদভিত্তিক ব্যাংকিং সিস্টেমকে ইসলামী শরীয়াহর আলোকে হালাল উপায়ে পরিচালিত করার প্রচেষ্টার নাম ইসলামী ব্যাংকিং।
সমস্যা হলো, পূঁজিবাদী অর্থনীতির দুনিয়ায় বিশ্বের অনেক ইসলামী ব্যাংক কখনো-কখনো শরীয়াকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে কেবল Profit Maximize -কে গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
অন্যান্য সকল ব্যাংকের তুলনায় অধিক প্রফিট অর্জন করে প্রথম স্থান অর্জনের প্রতিযোগিতামূলক প্রণোদনাও কখনো-কখনো কোনো-কোনো ইসলামী ব্যাংককে শরীয়াহর পূর্ণাঙ্গ চর্চা থেকে খানিক দূরে ঠেলে দেয়। ফলে আপাতদৃষ্টিতে কখনো-কখনো মনে হয়, পুরো ব্যবস্থাই বুঝি এরকম।
তাছাড়া ইসলামী ব্যাংকিং সম্পূর্ণরুপে বুঝতে হলে ন্যূনতম শরীয়াহর জ্ঞান আবশ্যক, অন্যথায় প্রচলিত ব্যাংকের সঙ্গে ইসলামী ব্যাংকের তফাৎ উপলব্ধি করা অনেকাংশেই মুশকিল হবে। সুতরাং, কতিপয় ইসলামী ব্যাংকের কর্মকাণ্ডে অসঙ্গতির কারণে গোটা ইসলামী ব্যাংক ব্যবস্থাকে খারিজ করার সুযোগ নেই।
ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচালিত ইসলামী ব্যাংকগুলোর নানা অসঙ্গতি ও অস্বচ্ছতার প্রশ্ন উত্থাপন করতে আমি দ্বিধান্বিত নই। তবে এ ব্যবস্থার ইতিবাচকতাকে অস্বীকার করে নয়।
একটি ডিসিপ্লিনের প্রায়োগিক দিক নিয়ে হাজারো সমালোচনা করা যায়, ইসলামী ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ ও শরীয়াহ্ সুপারভাইজারী বোর্ডকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যায়। কিন্তু, ইসলামী ব্যাংকিং-কে শুভংকরের ফাঁকি বলা চলেনা।
যদি কেউ এটি করেন, সেটি হবে 'একাডেমিক অনৈতিকতা'। মুসলিম উম্মাহর স্কলারদের ইজতিহাদ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি ডিসিপ্লিনকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে সেটাকে ফাঁকি বলাটা একধরণের ধৃষ্টতাও বটে!
মন্তব্য: ০