Alapon

উপমহাদেশের প্রথম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্তনাদ শোনার কেউ নেই!



আজ থেকে প্রায় ৮০০ বছর পূর্বে এ ভূখন্ডে প্রতিষ্ঠিত হয় এক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে জ্ঞান বিজ্ঞানের এমন কোন বিষয় ছিল না যা শিখানো হত না, কোরআন হাদীস, ফিকহ, রসায়ন, পদার্থ, গনিত, চিকিৎসা, তর্ক, আইন, দর্শন সহ সকল শাস্ত্রের চর্চা হত।
১২৬০ এর দিকে বুখারা থেকে হিজরত করে দিল্লী থেকে পুনরায় নির্বাসিত হয়ে বাংলাদেশে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি গড়ে তুলেন শায়েখ শরফুদ্দিন আবু তাওয়ামা রহ.
তিনিই সর্বপ্রথম এ উপমহাদেশে হাদীস চর্চার জন্ম দেন এবং তিনি রসায়ন, গনিত ও চিকিৎসা শাস্ত্রেও পন্ডিত ছিলেন।

সুদূর সিরিয়া, বাগদাদ, বুখারা, ইয়ামেন, কান্দাহার, খোরাসান, বিহার সহ নানা প্রান্ত থেকে এসে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থীর পদচারণায় মুখর ছিল এই ক্যাম্পাস!

সেই ঐতিহাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দরসে হাদীসের ধ্বংসাবশেষ জায়গায় পড়ে আছে বিড়ি-সিগারেটের খোসা, পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে দুষিত পরিবেশের আবর্জনা তো আছেই মানুষরূপী দখলাদার আবর্জানায় ভরপুর হয়ে আছে এই মহান ক্যাম্পাস।

দেশের ইসলাম প্রিয়, শিক্ষানুরাগী সকল ব্যক্তিবর্গের কাছে আকুল আবেদন, আপনারা ঘুরে আসুন। চিৎকার শোনে আসুন এই ক্যাম্পাসের।

শায়খ আবুল হাসান নদভী রহ. এসে চোখের পানি ফেলে কেঁদেছিলেন এই ক্যাম্পাসের আবর্জনা দেখে। ইবনে বতুতার মত মানুষ এই বাংলায় এসেছিল কেবল শায়খ আবু তাওয়ামার বিশ্ববিদ্যালয় দেখতে।

আপনারা যার যার জায়গা থেকে এগিয়ে আসুন।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কার্যকরী পদক্ষেপ আমরা দেখতে চাই।

এটা যদি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় না হয়ে অন্য কিছু হত, তাহলে এখনেই হয়ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ বা অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হত।

আপনারা দলে দলে ঘুরে আসুন
ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের পাশেই
এক্স রাজধানী সোনারগাঁও এর অপজিটে
নারায়ণগঞ্জের মোগড়া পাড়া (দরগাহ বাড়ি)।

পঠিত : ১১০২ বার

মন্তব্য: ০