Alapon

কে এই ফরিদ উদ্দিন মাসউদ,কি তার পরিচয়?



পেক্ষাপট ২০০৪/৫ সাল। মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারা দেশের পাঁচশ’র বেশি জায়গায় জামায়াতুল মুজাহেদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) বোমা হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।

অন্যদিকে, দক্ষিণ এশিয়ার সন্ত্রাসবাদ বিষয়ক পোর্টাল এসএটিপি’র ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্যে মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদকে জেএমবির সন্দেহভাজন শীর্ষ নেতা বলা হয়েছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, জেএমবির বোমা হামলার পাঁচ দিন পর ২২ আগস্ট জেএমবির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ইংল্যান্ড যাওয়ার সময় ফরিদ উদ্দিন মাসউদকে ঢাকার হযরত শাহজালাল (জিয়া) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জেএমবির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেপ্তারের পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই সময় মাওলানা মাসউদকে মোট ১৩ দিনের রিমান্ড নেয়া হয়েছিল।

মাসউদকে গ্রেপ্তারের পরে জেএমবিসহ জঙ্গী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের তদন্তে নিয়োজিত গোয়েন্দা কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, জেএমবির প্রধান শায়খ আবদুর রহমানের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।

গোয়েন্দারা আরো জানিয়েছিলেন, তারা মাওলানা মাসউদের নিয়ন্ত্রণাধীন ইসলাহুল মুসলিমিন পরিষদ বাংলাদেশ নামক এনজিওটি সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছেন।

ইসলাহুল মুসলিমিনের অ্যাকাউন্টে ইউরোপ ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সন্দেহজনক বিদেশি তহবিল আসার প্রমাণ পেয়েছিল বলেও জানিয়েছিল গোয়েন্দারা।

জানা গেছে, জেএমবির সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে মাওলানা মাসউদ জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম নামে একটি ধর্মীয় দলের একাংশের প্রধান ছিলেন।
এর আগে তিনি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন প্রথম আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
তার বিরুদ্ধে ইফার ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগের তদন্ত শুরু হলে তিনি ইফার পরিচালকের পদ থেকে সরে যান।

এরপর মাওলানা মাসউদ ইসলাহুল মুসলিমিন পরিষদ এনজিওর মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ বিদেশি তহবিল সংগ্রহ করে দেশব্যাপী ৫০০ মসজিদ ও মাদ্রাসা নির্মাণ করেন। পাশাপাশি নিজের রাজনৈতিক দল জমিয়তে ওলামাকে সংগঠিত করার চেষ্টা করেন।
জেএমবির বোমা হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার পরে অভিযোগ ওঠে মাওলানা মাসউদ ইসলাহুল মুসলিমিন ও জমিয়তে ওলামার সঙ্গে জড়িত থাকলেও গোপনে জেএমবির জঙ্গী কার্যক্রমেও যুক্ত হয়ে পড়েন।

মাওলানা মাসউদ গ্রেপ্তার হওয়ার পরে জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের মূল অংশের প্রধান ও মাসিক মদীনার সম্পাদক মাওলানা মহিউদ্দিন খান সাংবাদিকদের জানান, ‘আমি যতদূর জানি তার সঙ্গে শায়খ আবদুর রহমানের যোগসাজশ রয়েছে।’

অন্যদিকে, দক্ষিণ এশিয়ার সন্ত্রাসবাদ বিষয়ক পোর্টাল এসএটিপি ডট অরগ এ দেয়া তথ্যে মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদের ব্যাপারে বলা হয়েছে, তিনি জেএমবির সন্দেহভাজন শীর্ষ নেতা।

মূলত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে এই ফরিদ উদ্দিন মাসউদ জামায়াতের সহযোগী চায় তার এই জেএমবি কাজে । কিন্তু জামায়াতে ইসলামী তার কূট কৌশল বুজে ফেলে ,যার কারনে সে বারবার জামায়াতের বিরুদ্ধে কথা বলছে এবং নিজেকে শুদ্ধ করার চেষ্টা করছে মিডিয়ার সামনে।

বর্তমানে অধিকাংশ আওয়ামীলিগের গোপন কাজে তার সংপৃক্ততা দেখা গেছে ।
চারদলীয় জোটের আমলে বোমাহামলা করে মূলত বিএনপি -জামায়াত জোটকে আওয়ামিলীগ আন্তর্জাতিক বিশ্বের কাছে জঙ্গিদের উপযোগী দল হিসেবে বিবেচিত করে। যার সহযোগীতা করে এই ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।
বর্তমানে তিনি পীর ফয়জুল করিমের আধ্যাত্নিক নেতা।এই নেতা এবং বড় ভাই পীর ফয়জুল করিমের পরামর্শে মাওলানা মামুনুল হক ভাস্কর্য ইস্যু নিয়ে মাঠ গরম করতে মাঠে নেমে পড়েন।

মাওলানা মামুনুল হককে গাছে উঠিয়ে দিয়ে পিছন থেকে মই সরিয়ে নেন বড় ভাই পীর সাহেব।মামুনুল হককে সাইজ করে দেয়ার পর তিনি জানতে পারেন বড় ভাই পীর কি চিজ হায়!

পঠিত : ৯৫৭ বার

মন্তব্য: ০