Alapon

আজ উস্তাজ মওদূদীর ৪৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী



আজ ২২ সেপ্টেম্বর।
গত শতাব্দির শ্রেষ্ঠ ইসলামী চিন্তাবিদ সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদূদী রহ.-এর মৃত্যবার্ষিকী। মহান রাব্বুল আলামীন তাঁর খেদমতকে কবুল করুন।

১৯৪০ সালের পর উপমহাদেশসহ প্রাচ্যে বামপন্থী ধর্মদ্রোহী গোষ্ঠী কম্যুনিস্টদের উত্থান শুরু হয়। আফগানিস্তান, পাকিস্তান, হিন্দুস্তান, বাংলা সর্বত্র কম্যুনিস্টরা চিন্তার হামলা শুরু করে। মুসলিম যুবকরা তাদের ফাঁদে পা দেয়।

সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদূদীর যুক্তিপূর্ণ লেখনি বামদের চমকপ্রদ শ্লোগানের আড়ালে থাকা অমানবিকতার মুখোশ উন্মোচন করে। বামদের চিন্তার অসারতা ফুটিয়ে তুলেন মাওলানা মওদূদী।

মুসলিমদের বাম ও ধর্মদ্রোহী চিন্তা থেকে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন মাওলানা মওদূদী। তার সাহিত্য পড়েই আফগানিস্তানে রুশদের বিরুদ্ধে জাগরণ হয়েছে। আফগানের মানুষ বামপন্থা ছেড়ে আবারো ইসলামের প্রতি অনুগত হয়েছে। আফগান মুজাহিদরা বামদের পরাজিত করেন এবং ধীরে ধীরে পুরো সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে পড়ে।

বাংলাদেশেও বামদের আদর্শগতভাবে পরাজিত করে ইসলামপন্থী মানুষেরা। যখন তথাকথিত স্বাধীনতার পর সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বামপন্থী ছাত্রদের রাজত্ব তৈরি হয়েছিল তখন একদল ইসলামপন্থী ছাত্র বামদের এই দুর্নিবার বিস্তারকে রুখে দিয়েছিল।

এই ইসলামপন্থী ছাত্ররাও মাওলানা মওদূদীর সাহিত্য পড়ে অনুপ্রেরণা নিয়েছিল। ইসলামের সঠিক বুঝ তারা নিতে সক্ষম হয়েছে। বহু বামপন্থী নেতা শুধু ইসলামপন্থী হয়েই ক্ষান্ত হননি। ইসলামের জন্য জীবন বিলিয়ে দিতেও এতটুকু কুন্ঠাবোধ করেননি।

এরকম অনেক উদাহরণের মধ্যে একটি শ্রেষ্ঠ উদাহরণ শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা রহ.। মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে দোয়া করি তিনি যেন সাইয়েদ আবুল আলা মওদূদীকে কবুল করেন এবং জান্নাতে সুমহান মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেন।

পঠিত : ২৯০ বার

মন্তব্য: ০