Alapon

“আম্মার ইবনে ইয়াসির রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু এবং আমাদের আবেগ তত্ত্ব”




০১.

সমাজে সম্মান বলতে ওরকম কিছুই ছিলো না তাঁর । ছিলো না কোনো প্রভাব-প্রতিপত্তিও। থাকার তো প্রশ্নই ওঠে না। কারণ, তিনি গরীব। তাঁর মা একজন দাসি। আর তিনি হলেন সেই দাসিরই সন্তান। অথচ সেই মানুষটিই ইতিহাসের পাতায় উজ্জ্বল হয়ে ফোটে আছেন। আছেন অগণিত প্রভাবশালী ও ধনাঢ্য মানুষদের জন্যে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে ।

মক্কায় তখন আল্লাহর রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম মানুষদেরকে ডাকতেছেন তাওহিদের দিকে। অগণিত দেব-দেবীর পুজো-অর্চনা ছেড়ে এক রবের দাসত্বের দিকে। মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লামের দাওয়াতের তখন একেবারে প্রাথমিক দিক, সূচনা পর্ব। তাঁর দাওয়াতে সাড়া দিয়েছেন সবে মাত্র একেবারেই হাতেগোণা কিছু লোক। সেই সংখ্যাটা হবে ৫ থেকে ৩০ এর মধ্যে। তাঁদের মধ্যে আম্মার ইবনে ইয়াসির রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুও অন্যতম।

গুটিকতক যে মানুষেরা ইসলাম গ্রহণ করেছেন, তাঁদের মধ্যে আবার সবাই প্রকাশ্যে তাঁদের দ্বীন-ইসলাম গ্রহণের কথা ঘোষণা দিতে পারেনি কাফিরদের নির্মমতার ভয়ে। কিন্তু আম্মার ইবনে ইয়াসির রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু জীবনের ভয়, কাফিরদের নিষ্পেষণের পরোয়া; কিছুই করলেন না। তিনি তাঁর ইসলাম গ্রহণের কথা প্রকাশ্যে-দিবালোকে সবার কাছে বলে দিলেন। এদিকে তাঁর পরিবারের সকলেই ইসলাম গ্রহণ করেছেন।

এমতাবস্থায় যা হবার, তাই-ই হলো। তাঁর ওপর নেমে এলো জালিমদের পৈশাচিক জুলম এবং নির্যাতন। ভয়াবহ জুলুমের জোয়ালে চাপা পড়লেন তাঁর মা সুমাইয়া রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহা এবং তাঁর বাবা ইয়াসির বিন আমেরও । নরপিচাশ আবু জাহল তাঁর বৃদ্ধ বাবাকে আঘাতে আঘাতে জর্জরিত করে শহীদ করে ফেলে। তাঁর মা সুমাইয়া রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহার লজ্জাস্থানেও বর্শা দিয়ে আঘাত করে এই পাপিষ্ঠ আবু জাহল। সেই আঘাতে রক্তের স্রোতধারা বইতে থাকে। রক্তে বেরোতে বেরোতে এক সময় রক্তশূন্যতায় তিনি শহিদ হবার মহাসৌভাগ্য অর্জন করে শাহাদাতের সরাব পান করেন। তাঁর ভাই ভাই আবদুল্লাহও এই পাষাণ পাথর মুশরিদের অত্যাচারে শাহাদাত বরণ করেন।

আম্মার ইবনে ইয়াসির রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বেচে ছিলেন। কিন্তু নরাধম নরপিশাচ মুশরিকরা সুযোগ পেলেই তাকে আঘাতে আঘাতে আহত করতো। চালাতো তাঁর ওপর ভীষণ অত্যাচার। সেইসব অত্যাচারে তিনি জীবন্মৃত হয়ে যেতেন। তাকে কখনো কখনোআগুনের অঙ্গারের ওপর শুইয়ে দেওয়া হতো। কখনো কখনো দুপুরের কাঠফাটা রোদে প্রচন্ড উত্তপ্ত হয়ে থাকা পাথরের ওপর তাঁকে চিৎ করে শুইয়ে দেয়া হতো, জ্বলন্ত লোহা দিয়ে তাঁর নরম শরীরটা ঝলসে দেওয়া হতো। কিন্তু আম্মারের ঈমানী শক্তির কাছে মুশরিকদের সকল অত্যাচার ও উৎপীড়ন পরাজিত হলো। আল্লাহর রাসুল তাঁর বাড়ির পাশ দিয়ে যাবার সময় কখনো কখনো নিজের চোখেই অবলোকন করতেন আম্মার এবং তাঁর পরিবারের ওপর মুশরিকদের উৎপীড়ন। তিনি তো তখন ক্ষমতাহীন। শক্তিহীন। তাঁর দাওয়াতের ওপর, তাঁর আনিত দ্বীনের ওপর ঈমান আনার অপরাধে নিষ্পেষণ পরিচালনা করা হয়, এতে তিনিও ব্যথা পেতেন। তাঁর হৃদয়টাও কেদে ওঠতো। কিন্তু তাঁর যেহেতু কিছুই করার ছিলো না, তাই তিনি তাদেরকে সবরের তালকিন দিতেন। জান্নাতের সুসংবাদ প্রদান করতেন। আম্মার রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুকে একবার আগুনের অঙারের ওপর রেখে কষ্ট দিচ্ছিলো মুশরিকরা। আল্লাহর রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন আম্মার ইবনে ইয়াসির রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর শরীরে হাত রেখে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে লাগলেন এই বলে যে, "হে আগুন, ইবরাহিম আলাইহিসসালামের মতো তুমি আম্মারের জন্যও শীতল হয়ে যাও।"এভাবে তিনি তাদের পরিবারকে বেহেশতের সুসংবাদও দিয়েছেন।

আর বিশ্ব নবীর এই দু’আ, তাঁর প্রদান করা সুসংবাদ; এসবগুলোকেই তিনি এবং তাঁর পরিবার সবচেয়ে বড়ো প্রাপ্তি হিসেবে গ্রহণ করে শত নির্যাতন ও নিষ্পেষণকে হাসিমুখে বরণ করে নিয়েছেন। জীবন ও সম্পদ দিয়ে লড়াই করেছেন দ্বীনের তরে।


০২.

আল্লাহর রাসুল মদিনায় হিজরত করে এলেন আল্লাহর আদেশে। তাঁর সাথে আসলো অনেক সাহাবায়ে কেরাম রিদওয়ানুল্লাহি তা’আলা আজমাইনও। মদিনাতুল মুনাওয়ারায় তখনও কোনো ইবাদাত গৃহ নেই। মসজিদ নেই। নবীয়ে রহমত তাঁর সাহাবিদের নিয়ে এখানে দীর্ঘ ছয়-সাত মাস পর মসজিদ বিনির্মাণ শুরু করেছেন। মসজিদ বিনির্মাণের কাজে রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লামের সাথে শামিল হলেন আম্মার ইবনে ইয়াসির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুও। সাহাবিরা সাগ্রহে আর সোৎসাহে কাঁধে করে একটি একটি করে ইট বহন করে নিচ্ছেন মসজিদ প্রস্তুতের জন্যে। কিন্তু ব্যতিক্রম ছিলেন আম্মার ইবনে ইয়াসির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু । দুটো করে ইট ওঠাচ্ছিলেন। তাঁর আবেগ উদ্দীপনা আর উৎসাহ দেখে কোনো একজন তাঁর মাথায় ইটের বড়োসড়ো একটা বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে। রাসুলে করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম নিজে হাতে গিয়ে তাঁর মাথা থেকে সেই ইটগুলো তুলে নিলেন, এবং দূরে ছুড়ে ফেলে দিলেন।

ইসলামের ইতিহাসে রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লামের নেতৃত্বে যতোগুলো যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে, সবক’টিতেই তিনি অংশগ্রহণ করেন। রাসুলের পরে আবু বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর সময় যখন ভণ্ড নবীদের আবির্ভাব হয়েছিলো, তখনও তিনি খলিফাতুল মুসলিমীন আমিরুল মু’মিনীন আবু বকরের হয়ে ইসলামের জন্যে ভণ্ড মুসায়লামার বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছেন। বীর বিক্রমে তিনি জিহাদ করে গেছেন। সেই যুদ্ধটি ৬৩২ সালের ডিসেম্বরে বর্তমান সৌদি আরবের ইয়ামামা নামক স্থানে সংঘটিত হয়। যার কারণে মুসলিম এবং নিজেকে নবী দাবিদার ভণ্ড মুসায়লামার বিরুদ্ধে সংঘটিত হওয়া এই যুদ্ধকে ‘ইয়ামামা’র যুদ্ধও বলা হয়। এই যুদ্ধে আম্মারের একটি কান দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মাটিতে পড়ে লাফাতে থাকে। এমন একটা সিচুয়েশনে পড়ার পরেও তিনি ভীষণ শক্তি-সাহসের সাথে কাফিরদেরকে হামলার পর হামলায় পর্যদুস্ত করে ফেলেন। যে দিকে তিনি যাচ্ছিলেন, মুরতাদদের ব্যুহ তছনছ হয়ে ধুলোয় ধূসরিত হয়ে যাচ্ছিলো। তবে মাঝখানে মুসলিম বাহিনী মুরতাদদের হামলায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়লো। এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করতে লাগলো মুসলিম বীর মুজাহিদগণ। তখন এই সাহসী বীর (আম্মার ইবনে ইয়াসির রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু) খোলা ময়দানের এক উঁচু জায়গায় দাঁড়িয়ে চেঁচিয়ে বলতে থাকেন : ‘ওহে মুসলিম মুজাহিদবৃন্দ! তোমরা কি জান্নাত থেকে পালাচ্ছো? আমি আম্মার ইবন ইয়াসির। এসো, আমার দিকে এসো।’

আম্মারের এই আহ্বান ইথারে ইথারে পৌঁছে গেলো। মুসলিম মুজাহিদদের অন্তরের অন্তস্থলে গিয়ে আম্মারের এই আওয়াজটি ধাক্কা খেলো। তঁরা পুনরায় শৌর্যবীর্যসহ সিংহ গর্জনে জেগে ওঠলো। মুরতাদদের বিরুদ্ধে তাঁরা আবার রুখে দাঁড়ায়। কাফিরদের পর্যুদুস্ত আর পরাজিত করে তাঁরা ছিনিয়ে আনে বিজয়। এই জিহাদের সময় আম্মার ইবনে ইয়াসির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ছিলেন ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধ মানুষ। কিন্তু তাঁর চেতনা আর উদ্দীপনা ছিলো ২৬ বছরের যুবকের মতো !

৩.

এখানে কয়েকটা বিষয় খেয়াল করুন, প্রথমত আমাদের অভ্যন্তরে কোনো ভাই যদি দ্বীনের প্রতি বেশি আবেগ প্রকাশ করে ফেলে, অল্প বয়সে বেশি ডেডিকেটেডলি সময়-শ্রম দেয় ফেলে। একটু বেশিই উৎসাহ উদ্দীপনা দেখিয়ে ফেলে, তখন আমরা উক্ত মানুষটিকে নানাভাবে ডিমোরালাইজ করি; সেটা ইচ্ছেয় হোক বা অনিচ্ছায় ! আমরা উক্ত মানুষটিকে আবেগী, জজবাতি ইত্যাদি বলে তাঁর নিখাঁদ আন্তরিকতাকে অবমূল্যায়ন করে ফেলি। একটু শান্ত ও শীতল মাথায় চিন্তা করুন যে, আজকে যদি আম্মার ইবনে ইয়াসির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আপনার সামনে থাকতো; আর এমন দুর্বল আর অসহায় পরিবারের একজন সদস্য হবার পরও এভাবে তাঁর দ্বীন কবুল করার কথা সরাসরি স্পষ্টভাবে ঘোষণা দিতো, যেখানে এখনো দ্বীন ইসলামের কোনো ভবিষ্যতই নেই, এই দ্বীন কবুলের ঘোষণা দেওয়া মানেই যেখানে বিপদ-মুসিবতকে বরণ করে নেওয়া, অগ্নিকুণ্ডলে ঝাঁপিয়ে পড়া; তবে আপনি কি তাঁকে আবেগী, জজবাতি, জোশওয়ালা এরকম কোনো ট্যাগ দিতেন কিনা?

তাঁর শরীর থেকে কান বিচ্ছিন্ন হয়ে মাটিতে লাফাতে থাকার পরেও সেটাকে পাত্তা না দিয়ে বরং জিহাদের ময়দানে দীপ্তভারে লড়াই চালিয়ে যাবার কারণে, কাফিরদের ব্যুহকে তছনছ করার কাজে অগ্রসেনানীর ভূমিকা পালনের জন্যে কি আপনি তাঁকে উপরিউক্ত কোনো ট্যাগ দিতেন? যদি আপনার জবাব না বোধক হয়, তাহলে আজকে যাঁরা দ্বীনের মায়ায়, আল্লাহ ও রাসুলের ভালোবাসায় প্রাণপন সংগ্রাম করে যাচ্ছে, নিজের জীবন-সম্পদ-ক্যারিয়ারকে তুচ্ছজ্ঞান করে আল্লাহর রাস্তায় সংগ্রামরত, দ্বীনের দাওয়াত কিংবা দ্বীনি আন্দোলনে মেহনতরত; তবে তাদেরকে কীভাবে আপনি ইত্যাদি অভিধায় অবিদিত করেন? তাদেরকে কীভাবে তুচ্ছ আর ক্ষুদ্র দৃষ্টিতে দেখেন? কীভাবে তাদেরকে নিয়ে হাসাহাসি করেন? এটা কি সঠিক কাজ? যেসব ভাইয়েরা নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবে না, একটু বেশিই নরম-কোমল মনের অধিকারী, বা যাদের আবেগ একটু বেশিই কাজ করে, আপনি যদি তাদের সংশোধন চান, তাদেরকে যদি বাস্তবতা সম্পর্কে একটু সচেতন করতে চান, সকল কিছুতে একটু ভারসাম্য আনতে চান, তবে উপরিউক্ত পন্থা কি কখনো সঠিক হতে পারে? সংশোধনের সঠিক এপ্রোচ কি এটা ? কখনোই না। বরং আপনার এপ্রোচ ভুল এবং কখনো কখনো দ্বীনের জন্যই ক্ষতিকর !

বস্তুত মানুষ আবেগ ছাড়া একটা সেকেন্ডও চলতে পারেনা। যাঁর আবেগ কাজ করেনা, যে আবেগ তাড়িত হয় না, সে ব্যক্তি মানুষ নয়, নিতান্তই একটা রোবট । মানুষের আবেগ ইতিবাচকও হতে পারে, হতে পারে নেতিবাচকও। যে ব্যক্তির আবেগ দ্বীনের পথে, আল্লাহর রাহে ব্যয় হয়, সে অবশ্যই সৌভাগ্যবানদের কাতারে। আর যার আবেগ বিপথে যায়, সে অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্তদের কাতারেরই মানুষ। সুখ-দুঃখ, রাগ-ক্ষোভ, ভয়, আশ্চর্য, ঘৃণা, গর্ব-অহংকার, উত্তেজনা, বিব্রত, অপমান, লজ্জা ইত্যাদি সবকিছুই আবেগেরই অংশ। এসব কিছুই আবেগের বহিঃপ্রকাশ। আপনি কোনো নির্দিষ্ট গন্তব্যে আপনার আবেগ না থাকলে পৌঁছাতে পারবেন না। এক কথায় আবেগ না থাকলে আপনি মানুষই না।

তবে হ্যাঁ, আমাদেরকে এই আবেগের যথাযথ ব্যবহার করতে হবে। কোনো একদিকেই যেন কারো আবেগ পরিচালিত না হয়, সেদিকে সচেতন মহল লক্ষ্য রাখতে হবে। আপনার যদি মনে হয়, অমুকের আবেগ ভুল পথে পরিচালিত হচ্ছে, তখন আপনি উক্ত ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করে সঠিক পরামর্শ দিতে পারেন, যদি মনে করেন তাঁর আবেগকে কাজে লাগিয়ে আরো বৃহত্তর উপকার নেওয়া যাবে উম্মাহর জন্যে, তখন আপনার উচিৎ উক্তি ব্যক্তিকে সঠিক পরামর্শ দেওয়া এবং তার আবেগ থেকে যথাযথ ও দীর্ঘমেয়াদী ফায়দা হাসিলের জন্যে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া।

এটা না করে কারো ভালো এবং সৎ এক্টিভিটিকে স্রেফ আবেগ বলে তাচ্ছিল্য করা থেকে বিরত থাকা উচিৎ। কারণ, আম্মার ইবনে ইয়াসির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর আবেগ ছিলো বলেই তিনি কাফিরদেরকে ডোন্ট কেয়ার করে চলতে পেরেছেন। অথচ আজকে আমরা এই কথিত আবেগ তত্ত্ব হাজির করে, আবেগী বলে নিখাঁদ আল্লাহপ্রীতিকে হৃদয়ে ধারণকারী মানুষগুলোকে হতাশ করে দিতে চেষ্টা করি। করি তাদেরকে তুচ্ছতাচ্ছিল্যও, যেটা একান্তই অনুচিৎ। আম্মার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর মতো মানুষদের বদৌলতেই আমরা দ্বীন-ইসলামকে পেয়েছি। এরকম আবেগ থাকার কারণেই আল্লাহর নবী মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম কিন্তু একটা প্রতিষ্ঠিত পৃথিবীকে বদলে দিতে পেরেছেন। পেরেছেন পৃথিবীকে হেরার আলোয় আলোকিত করতে।


“আম্মার ইবনে ইয়াসির রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু এবং আমাদের আবেগ তত্ত্ব”

~রেদওয়ান রাওয়াহা

পঠিত : ৮৭০ বার

মন্তব্য: ০