Alapon

গান ও বাজনার বিষয়ে উস্তায সাঈয়েদ আবুল আ'লা মওদূদী রহ.সহ যুগশ্রেষ্ঠ ইমামদের অভিমত............



বিংশ শতাব্দির অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামী চিন্তাবিদ উস্তায সাঈয়েদ আবুল আ'লা মওদূদী রহ.বলেন-
গানে যদি অশ্নীল কথা এবং আকীদা বিশ্বাস বিনষ্টকারী কোনো বিষয় না থাকে আর বাদ্যযন্ত্র বাজানো না হয়, তবে ইসলামে সেরকম নির্দোষ গানের নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে গানে যদি বাদ্যযন্ত্র বাজানো হয়, এবং ক্ষতিকর বিষয়বস্ত সম্বলিত কিছু থাকে, সে গানের অনুমতি ইসলামে নেই।'

বই: মাওলানা মওদূদী যুগ জিজ্ঞাসার জবাব-২য় খণ্ড


সুতরাং আপনার গান যতোই ভালো হোক, আপনি যদি বাদ্যযন্ত্র বাজান, সেই ধরনের গান ইসলামে নিষিদ্ধ। আর আকিদা বিশ্বাস নষ্টকারী গানও ইসলামে হারাম। আল্লাহর রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
আমি মিউজিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্ট ভাঙ্গার জন্য এসেছি। ’ (আবু দাউদ-৬৭৪)


সহীহ বুখারীতে আছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
আমার উম্মতের মধ্যে এমন কিছু লোক সৃষ্টি হবে, যারা ব্যভিচার, রেশম, মদ ও বাদ্যযন্ত্রকে হালাল সাব্যস্ত করবে।[-সহীহ বুখারী হাদীস : ৫৫৯০]

মুসনাদে আহমদের হাদীসে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
আল্লাহ তাআলা আমাকে মুমিনদের জন্য হিদায়াত ও রহমত স্বরূপ প্রেরণ করেছেন এবং বাদ্যযন্ত্র, ক্রুশ ও জাহেলি প্রথা বিলোপসাধনের নির্দেশ দিয়েছেন।


ইমাম মালেক (রহ.)কে গান-বাদ্যের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,
কেবল ফাসিকরাই তা করতে পারে। ( তাফসিরে কুরতুবী ১৪/৫৫)


ইমাম শাফেয়ী (রহ.) বলেছেন যে,
গান-বাদ্যে লিপ্ত ব্যক্তি হলো আহমক।


তিনি আরো বলেন,
সর্বপ্রকার বীণা, তন্ত্রী, ঢাকঢোল, তবলা, সারেঙ্গী সবই হারাম এবং এর শ্রোতা ফাসেক। তার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে না। (ইগাছাতুল লাহফান ১/১৭৯; কুরতুবী ১৪/৫৫)


হাম্বলী মাযহাবের প্রখ্যাত ফকীহ আল্লামা আলী মারদভী লেখেন,

বাদ্য ছাড়া গান মাকরূহে তাহরীমী। আর যদি বাদ্য থাকে তবে তা হারাম। (আহসানুল ফাতাওয়া ৮/৩৮৮)


আল্লাহ আমাদেরকে এই ফেতনা থেকে হেফাজত করুন। যারা বাদ্যযন্ত্রের মধ্যে আধ্যাতিকতা খুওঁজে, তাদেরকেও আল্লাহ হেদায়েতের পথে পরিচালিত করুন। আ-মী-ন!

পঠিত : ৩০৩ বার

মন্তব্য: ০