Alapon

যুবসমাজের অনুপ্রেরণা ‘খুররম জাহ্ মুরাদ’




বুদ্ধিবৃত্তি ও চিন্তার জগতের মানুষেরা সাধারণত সমাজ পরিবর্তনের মতো ঐতিহাসিক ও বিপ্লবী প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেন। সক্রেটিস তার যুগে এথেন্সবাসীর চিন্তাভাবনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিলেন। মার্টিন লুথার তার বিপ্লবী চিন্তা-ভাবনা দিয়ে পুরো পশ্চিমের খ্রিষ্টীয় সমাজকে পাল্টে দেন। লেনিন তার বুদ্ধিবৃত্তি ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞা দিয়ে বিশ শতকের ইতিহাসের গতিই অনেকটা পরিবর্তন করে দেন এবং ২০১২ সালে নোবেল বিজয়ী জার্মান সাহিত্যিক গুন্টার গ্রাস ‘যা বলার, তা বলতে হবে’ শিরোনামে কবিতা লিখে পশ্চিমা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন। তেমনি ঊনিশ ও বিশ শতকে মুসলিম সমাজে এমন কিছু বুদ্ধিজীবী, চিন্তাশীল ও উদ্যমী ব্যক্তি আবির্ভূত হন, যারা সমকালীন মানসিকতা ও চিন্তার সমালোচনার পাশাপাশি বিকল্প চিন্তার স্ফুরণের মাধ্যমে ইসলামী রেনেসাঁর নৈতিক ভিত্তি প্রস্তুত করেছেন। আল্লামা খুররম জাহ্ মুরাদ এরকম ক্ষণজন্মা এক বিপ্লবী ব্যক্তিত্ব (Revolutionary Personality)। তিনি এই উপমহাদেশের ইসলামী আন্দোলনের এক প্রবাদপুরুষ।

জন্ম ও বংশ পরিচয়

১৯৩২ সালে ৫ নভেম্বর ভারতের মধ্য প্রদেশের রাজধানী ভুপালে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মঞ্জুর আলী মুরাদ, মাতার নাম বেগম আনাতুল হাই এবং স্ত্রীর নাম লুমআতুন নূর, তার চার পুত্রের নাম- ১. আহমদ ইমরান মুরাদ, ২. হাসান সোহেব মুরাদ, ৩. ফারুক সালমান মুরাদ ও ৪. ওয়ায়েস তাইয়েব মুরাদ এবং তার দুই কন্যার নাম- ১. ফারাহ তাস্নীম ও ২. ফায়েজা।


শিক্ষাজীবন

তিনি ভুপাল শহরে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। মায়ের কাছ থেকে উর্দু অনুবাদসহ কুরআন শিক্ষা লাভ করেন। তার মা ছিলেন তার শিক্ষক ও পরামর্শক। শিক্ষার প্রথম ধাপ অতিক্রম করে ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর তার পরিবার ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের লাহোরে চলে যান এবং স্থায়ী বসবাস শুরু করেন। এ বছর তিনি করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে Civil Engineering (B.Eng.)-এ ভর্তি হন এবং ১৯৫২ সালে প্রথম স্থান অধিকার করে কৃতিত্বের সাথে ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি আমেরিকায় চলে যান এবং সেখানে University of Minnesota থেকে ১৯৫৮ সালে (M.S.C) ডিগ্রি অর্জন করেন।



কর্মজীবন


একজন সফল ও আন্তর্জাতিক মানের ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে তিনি বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেন।

তিনি শীর্ষস্থানীয় ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে করাচি, লন্ডন, ঢাকা, তেহরান এবং রিয়াদসহ প্রভৃতি শহরে বৃহৎ প্রকল্পের ডিজাইনার হিসেবে কাজ করেন।

১৯৫৭ সালে ACE (Associate Council Engineer) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে বাংলাদেশে আসেন।

১৯৫৫-১৯৫৭ সাল N.E.D. Engineering College এ অধ্যাপনা করেন।

১৯৫৭-১৯৭০ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনে তিনি ঢাকায় অবস্থান করেন।

১৯৭৫ সালে সৌদি সরকারের আমন্ত্রণে প্রকৌশলী মুরাদ মক্কা শরিফ গমন করেন।

অনবদ্য অর্জন


তার অনবদ্য অর্জন হচ্ছে, তিনি ছিলেন বাংলাদেশের ৫৭ কিলোমিটার DND (ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও ডেমরা) বাঁধ এবং ১৯৬৫ সালের ‘ঢাকা শহর রক্ষা’ বাঁধের প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্ব পালন করেন। তার জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন হচ্ছে- মসজিদে হারামের প্রাথমিক ডিজাইন, বর্ধিত অংশের বিদ্যুতায়ন, জমজম কূপের পানি উত্তোলন ও বিস্তৃতির পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

উল্লেখ্য যে, আল্লাহর ঘরের কাজ করার সুযোগ পাওয়ায় তিনি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ কোনো পারিশ্রমিক গ্রহণ করেননি। তৎকালীন বাদশাহ তার এ ভালোবাসা ও অবদানে খুশি হয়ে স্মৃতিস্বরূপ একটি দরজার নাম রাখেন ‘বাবে মুরাদ’।


ইসলামী আন্দোলনের নেতা ও সংগঠক

১৯৪৭ সালের ২৩ ডিসেম্বর এই উপমহাদেশের প্রথম ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ‘ইসলামী জমিয়তে তালাবা’র আত্মপ্রকাশ ঘটে। তিনি জমিয়তে তালাবা’র প্রতিষ্ঠাকালীন দায়িত্বশীলদের একজন।

১৯৪৮ সালের ২৪ মে তিনজন চিন্তাশীল ব্যক্তির সমন্বয়ে এই সংগঠনের সর্বপ্রথম বত্রিশ পৃষ্ঠা সংবলিত সংবিধান প্রণীত হয়। তারা হলেন যথাক্রমে (ক) ইঞ্জিনিয়ার খুররম জাহ্ মুরাদ, (খ) জাফর ইসহাক আনসারী ও (গ) অধ্যাপক খুরশীদ আহমদ।

ইসলামী ছাত্রসংঘের সংবিধান রচনায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, সংবিধানের খসড়া তারই প্রণীত।

১৯৫১-১৯৫২ সালে তিনি ‘ইসলামী জমিয়াতে তালাবা’ পাকিস্তানের তৃতীয় কেন্দ্রীয় সভাপতির (নাজেমে আ’লা) দায়িত্ব পালন করেন।

ছাত্রত্ব শেষ করে তিনি জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন এবং ছাত্রসংগঠনের পরিচালনার অভিজ্ঞতার কারণে তিনি স্বল্প সময়ে জামায়াতের নেতৃত্বে চলে আসেন।

১৯৬০ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ সময় তিনি ঢাকা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর আমীরের দায়িত্ব পালন করেন।

এরপর জামায়াতের ‘তরবিয়ত’ বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে পাকিস্তান জামায়াতের নায়েবে আমীর মনোনীত হন এবং আমৃত্যু এ পদে বহাল থাকেন।

তিনি দায়িত্ব পালনকালে তার অতুলনীয় সাংগঠনিক প্রজ্ঞার আলোকে সাংগঠনিক মজবুতি, দাওয়াতের বিস্তৃতি এবং জনশক্তির মানোন্নয়ন ও মান সংরক্ষণে সচেষ্ট থাকতেন।


কারাবরণ

দায়িত্ব পালনকালে তাকে বাতিলের রোষানলে পড়তে হয়েছে বারবার। ১৯৬৪ সালে তিনি তিন মাস কারাভোগ করেন। ১৯৭১ সালে পুনরায় কারারুদ্ধ হয়ে বিনা বিচারে প্রায় তিন বছর ভারতের কারাগারে বন্দিজীবন অতিবাহিত করেন।



আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দাওয়াতি মিশন


তিনি প্রথমে পাকিস্তানে তার দাওয়াতি মিশন শুরু করলেও পরবর্তীতে এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা ও আমেরিকায় ইসলামী আন্দোলনের কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। একজন শিক্ষক, গবেষক ও দায়ী ইলাল্লাহ হিসেবে তাঁর চিন্তাশীল বক্তব্য বিশ্বের লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতীর মাঝে ইসলামী পুনর্জাগরণের অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে তিনি UK ও USA তে বিভিন্ন প্রশিক্ষণমূলক প্রোগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।



বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন


১৯৭০ সালে তিনি লন্ডনের ‘Dawatul Islam Trust’-এ যোগ দেন।

১৯৭৭-১৯৮৭ সাল পর্যন্ত তিনি Islamic Foundation UK এর Director General এর দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি Islamic Forum Europe -এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

তিনি মাওলানা মওদূদী (রহ.) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মাসিক ‘তরজুমানুল কুরআনের’ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি ত্রৈমাসিকMuslim World Book Review- এর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।


সাহিত্যিক ও সুবক্তা

তিনি ছিলেন একাধারে ইসলামী চিন্তাবিদ, সুবক্তা, বিজ্ঞ ও প্রতিভাবান (Prolific) লেখক। ভাষার লালিত্য, অনুপম উপমা, হৃদয়গ্রাহী উপস্থাপনা, বিষয় নির্বাচনে বিচক্ষণতা, যৌক্তিক বিশ্লেষণ, কুরআন-হাদিসের প্রচুর ও যথার্থ রেফারেন্স, আধুনিক মনে আবেদন সৃষ্টির পারদর্শিতা তার সাহিত্যিক বৈশিষ্ট্য।

উর্দু ও ইংরেজি ভাষায় মৌলিক ও অনুবাদ মিলিয়ে তার বইসংখ্যা ৪০টির মতো। ইংরেজি ভাষার বইগুলো হচ্ছে- * Inter-personal relations in an Islamic Movement. * Way to the Quran. * Key to al-Baqarah. * Quranic Treasures. * Gifts from Muhammad (Sm). * Who is Muhammad (Sm)? * Islamic Movement in the west: Reflections on some issues. * Shariah: The way to God and shariah: The way to justice. * Islam: The easy way. * In the Early hours. * Reflections on spiritual and self-development. * Sacrifice the making of a Muslims in the west. * Dawah among Non-Muslims in the west. * Islam and Terrorism. * Dying & living for Allah.


তিনি ইংরেজি ভাষায় মাওলানা মওদূদী (রহ.)-এর নিম্নোক্ত বইগুলো অনুবাদ করেন। * The Islamic way of life. * Let us be Muslim Islamic Movement: Dynamics of values, power & change.

তিনি আবুল হাসান আলী নদভী (রহ.) এর একটি কর্মের ইংরেজি অনুবাদ করেন এই নামে Muslims in the west: Message & the Mission.

উর্দু ভাষায় লিখিত বইগুলো হচ্ছে-

জিকরে ইলাহী * রব ছে মুলাকাত * দাওয়াত কে নিশানে রাহ * আমানতদারি * আল্লাহ ছে মুহাব্বাত * হাছদ আওর বুগ্জ * হাক্বিকতে যুহদ * রিজকে হালাল * নিয়ত আওর আমল * হুব্বে দুনিয়া * উরুজ কা রাস্তা * দিল কি জিন্দেগি * গলতিউন কো মাফ করনা * তাহরিকে ইসলামী মে * বাহামী তায়াল্লুকাত * পয়গামে রমজান * খুররম মুরাদ কী আখেরি অসিয়ত * এইটি এই ইসলাম আওর মুয়াল্লিম।



খুররম মুরাদের যে সকল বই বাংলায় অনূদিত হয়েছে


* আল্লাহর ভালোবাসায় সিক্ত যারা * অমুসলিম দাওয়াহ * খোশ আমদেদ মাহে রমজান * সুবহে সাদিক * কুরআন অধ্যয়ন সহায়িকা * রমজানের পয়গাম * ইসলামী নেতৃত্বের গুণাবলী * ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের পারস্পরিক সম্পর্ক * ইসলামী পুনর্জাগরণে শিক্ষকের ভূমিকা * মূল্যবোধ, ক্ষমতা ও সমাজ পরিবর্তন: ইসলামী কর্মকৌশল * খুররম মুরাদের শেষ অসিয়ত।

তিনি শিশুদের জন্য ৬টিরও বেশি বই লিখেন। The life of the prophet Muhammad (PBUH) নামে একটি ভিডিও সম্পাদনা ও পরিচালনা করেন। বর্তমান বিশ্বে খুররম মুরাদের চার শতের অধিক অডিও ও ভিডিও ক্যাসেট সরবরাহে আছে।

ÒInter-personal relations in an Islamic Movement” ” বইটি বর্তমানে ‘ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের পারস্পরিক সম্পর্ক’ এবং Way to the Quran বইটি ‘কুরআন অধ্যয়ন সহায়িকা’সহ বই দুইটি বাংলায় অনূদিত হয়েছে। যা তার কতগুলো ভাষণের সঙ্কলন, যেগুলো তিনি ১৯৯৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইসলামী সংগঠনের তরুণ কর্মীদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে ফজর নামাজের সময় দিয়েছিলেন।



বহুমুখী প্রতিভা

পেশাগত দিক থেকে একজন খ্যাতিমান প্রকৌশলী ও সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও অধ্যয়ন ও অনুশীলনের মাধ্যমে তিনি ইসলাম সম্পর্কে যে গভীর জ্ঞান ও পাণ্ডিত্যের অধিকারী হয়েছেন, তা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত যুবসমাজের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। তার লিখনীর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, ভাষার সৌন্দর্য-মাধুর্য ও হৃদয়গ্রাহিতা। মানুষের হৃদয়কে স্পর্শ করা, আলোড়িত করা ও উজ্জীবিত করার ক্ষেত্রে তার লিখনী সত্যিই অসাধারণ ও অতুলনীয়। পুরো বিশ্বব্যাপী ইসলামী পুনর্জাগরণের যে সম্ভাবনা আমরা লক্ষ্য করছি, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে আরব বসন্তের যে জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, তা হঠাৎ ঘটে যাওয়া কোনো বিস্ফোরণ নয়, এই পুনর্জাগরণের প্রাণশক্তি জুগিয়েছেন যুগে যুগে কতিপয় মুসলিম বুদ্ধিজীবী, চিন্তাবিদ, ধর্মতত্ত্ববিদ এবং ইসলামী আদর্শে উজ্জীবিত একদল মর্দে মুজাহিদ। তারা তাদের চিন্তা-ভাবনা, কাজকর্ম, নিরলস পরিশ্রম; ত্যাগ-কুরবানি এবং নিজেদেরকে ইসলামের মডেল হিসেবে উপস্থাপন করে সমকালীন বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টির পাশাপাশি যুগে যুগে ইসলামী রেনেসাঁ তথা সমাজ পরিবর্তনের নিয়ামক শক্তির এক অফুরন্ত ঝরনাধারা সৃষ্টি করেছেন। লক্ষ লক্ষ যুবসমাজের হৃদয়ে বিপ্লবের এক অগ্নিস্ফুলিঙ্গের বারুদ ধরিয়ে দিয়েছেন।


যারা পশ্চিমা কৃষ্টি কালচার ও সা¤্রাজ্যবাদী মারণাস্ত্রের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী এক গণজোয়ার সৃষ্টি করেছেন। পরিণামে সহ্য করেছেন জুলুম নির্যাতনের স্টিম রোলার। আর দিনাতিপাত করেছেন কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে। এবং হাসিমুখে দৃঢ় কদমে এগিয়ে গিয়েছেন ফাঁসির মঞ্চে। ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় খুররম জাহ্ মুরাদও তার ব্যতিক্রম নন।



ইন্তেকাল


১৯৯৬ সালের ১৯ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার (৯-ই শাবান ১৪১৭ হিজরি) এই মহান মনীষী Glenfield Hospital, Leicester-এ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মহান আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফেরদৌসের শীর্ষ স্থান দান করুন, আমিন।

আমাদের করণীয়


বর্তমান প্রজন্ম খুররাম জাহ্ মুরাদের গবেষণালব্ধ জ্ঞানে জ্ঞানী ও ইসলামী পুনর্জাগরণের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মুসলিম উম্মাহকে সঠিক নেতৃত্বের মাধ্যমে ইসলামের হারানো ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবে ইনশাআল্লাহ।

লেখক : অধ্যক্ষ, ন্যাশনাল ইংলিশ স্কুল চিটাগাং

পঠিত : ৩২৫ বার

মন্তব্য: ০