Alapon

রাহবার আলী আহসান মুজাহিদ (রহ.)

বাংলাদেশে ইসলামী আন্দোলনের জন্য যারা নিজেদের সর্বোচ্চ শ্রম অর্থাৎ শাহাদত বরণ করেছেন শহীদ আলী আহসান মুজাহিদ তাদের মধ্যে একজন। ইসলামের এই রাহবার ফরিদপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ফরিদপুর জেলা থেকে প্রাথমিক শিক্ষাজীবন শেষ করে ১৯৭০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এডমিট হোন এবং সেখান থেকে গোল্ড মেডেলিস্ট হোন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়ে মাস্টার্স শেষ করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন ছাত্র ইউনিয়নে যোগ দেন। ধীরে ধীরে রাজনীতির মহামঞ্চে আগমণ ঘটে উনার। সমাজকল্যাণ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত।

ইসলাম আল্লাহ তা'য়ালা কর্তৃক রক্ষিত। কেউ এটিকে ধ্বংস করতে পারবে না। জাহেলি যুগে আবরাহার হস্তি বাহিনী বা আবু জাহেল পারেনি। বর্তমানে যারা এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তারাও পারবে না। ইসলামের মহান সৌন্দর্য মানুষের সামনে তুলে ধরতে যুগে যুগে অনেক মুজাহিদ এসেছেন। সাধারণ জনগন যারা পাশ্চাত্য সভ্যতার অনুসারি তাদের জীবনকে ইসলামের সৌন্দর্যে ভরপুর করেছেন। এমন এক ইসলামের সৈনিক শহীদ আলী আহসান মুজাহিদ রহিমাহুল্লাহ। ১৯৭৭ সালে জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দেন। বুঝতে চেষ্টা করেন ইসলামকে। যখন নিজে বুঝেছেন তখন দাওয়াতি কাজের মাধ্যমে অন্যদেরকেও বুঝিয়েছেন। এজন্য উনার জীবনে এসেছিল অনেক ঝড়-ঝাপ্টা। কোনো কিছুকেই তোয়াক্কা না করে এগিয়ে গিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত নিজের জীবনকে বিলিয়ে দিতে হয়েছে। তিনি সেটুকুও দিয়েছেন। উনার পূর্বে যত মর্দে মুজাহিদ এসেছেন, ইসলামের দাওয়াতি কাজ করেছেন তাদের বিরাট একটা অংশকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে অথবা জেলে থেকে মৃত্যুবরণ করেছেন। তাদের ধারা অব্যাহত রেখেছেন। ২০১৫ সালে ফাঁসির কাষ্টে ঝুলতে হয়েছে উনাকে।
যারা উনার বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষী দিয়েছিলেন তাদের ব্যাপারে তিনি বলেন...

"আমার বিরুদ্ধে যারা স্বাক্ষী দিয়েছেন, তাদের মধ্যে দুইজন ছাড়া বাকি সবাই দরিদ্র। তারা মূলত অভাবের তাড়নায় এবং বিপদে পড়ে মিথ্যা স্বাক্ষ্য দিতে বাধ্য হয়েছেন। আমি তাদের সবাইকে মাফ করে দিলাম, তোমরাও কোন ক্ষোভ রাখবা না।
আমার জানামতে শহীদের মৃত্যুতে কষ্ট হয়না। তোমরা দোয়া করবে যাতে আমার মৃত্যু আসানের সাথে হয়। আমাকে যেন আল্লাহর ফেরেশতারা পাহারা দিয়ে নিয়ে যান।"
- শহীদ আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ (রহ)।

~আব্দুল্লাহ আল কাফি জোহা

পঠিত : ৩৩৫ বার

মন্তব্য: ০