দাউদ ইব্রাহিম আর এস আলমের পদ্ধতি অভিন্ন...
তারিখঃ ৩০ নভেম্বর, ২০২২, ২০:১২
বহুদিন আগে দাউদ ইব্রাহিমকে নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি দেখেছিলাম। সেই ডকুমেন্টারিতে দাউদ ইব্রাহিমের জন্মস্থান মহারাষ্ট্রের রত্নগিরি জেলার মানুষের মতামত তুলে ধরা হয়েছিল। দাউদ ইব্রাহিমের জন্মস্থানের মানুষজন তাকে নিয়ে কী ভাবে—তা তুলে ধরা হয়েছিল।
দাউদ ইব্রাহিমের এলাকার মানুষজনের কথার সারমর্ম ছিলো অনেকটা এরকম, 'ভাই (দাউদ) যতোদিন ভারতে ছিলো, ততোদিন আমাদের খাওয়ার কথা চিন্তা করতে হয়নি। আমাদের মেয়ের বিয়ের খরচ নিয়ে চিন্তা করতে হয়নি। মেয়ের বিয়ের যৌতুক নিয়ে চিন্তা করতে হয়নি। বাচ্চাদের পড়াশোনার খরচ নিয়ে চিন্তা করতে হয়নি।'
সেই ডকুমেন্টারিতে দাউদ ইব্রাহিমের এলাকার একজন মানুষ বলেছিলেন, 'দাউদ ভাইকে দুনিয়ার সকল মানুষ খারাপ বা সন্ত্রাসী বললেও, তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। কারণ, দাউদ ভাই আমাদের কাছে ভগবান!'
এস আলমের মাসুদ সাহেবও দাউদ ইব্রাহিমের নীতি অনুসরণ করেছেন। তিনি দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা ডাকাতি করেছেন। সেই হাজার হাজার কোটি টাকা থেকে নিজ এলাকা পটিয়ার ২০০ মানুষকে হজ করিয়েছেন। পটিয়ার গণ্ডমূর্খ ছোকরাদের অনেকটা বিনা পরীক্ষায় ইসলামি ব্যাংকে চাকরি দিয়েছেন। যার ফলে 'ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড' হয়ে গেছে 'ইসলামি ব্যাংক পটিয়া লিমিটেড'!
কতক পটিয়ার মানুষ আর কতিপয় ইসলামি ব্যাংকের কর্মকর্তার ফেসবুক স্ট্যাটস আর কমেন্ট দেখে মনে হচ্ছে মাসুদ সাহেবের পরিকল্পনা সার্থক হয়েছে। মাসুদ সাহেবও দাউদ ইব্রাহিমের মতো কিছু অন্ধ অনুসারী বানাতে সক্ষম হয়েছেন৷এস আলমের থেকে সুবিধা পাওয়া মানুষজনও হয়তো কোনো একসময় বলবে, ‘এস আলম সারা বাংলার মানুষের কাছে ব্যাংক ডাকাত হিসেবে পরিচিত হলেও, তাতে আমাদের যায় আসে না। এস আলম আমাদের কাছে রিজিকদাতা!’ (নাউযুবিল্লাহ)
মন্তব্য: ১