Alapon

ইসলামের নিয়মানুসারে বিয়ে যেভাবে সম্পন্ন হয়...



বিয়েতে সুনির্দিষ্ট কোনো উদযাপন রীতি বেঁধে দেওয়া হয়নি। এই নীতির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে যে—বিয়ে প্রকাশ্যে অনুষ্ঠিত হতে হবে। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বিয়ের কথা জানবে। সমাজে বিয়ের যে রীতি (উরফ) প্রচলিত আছে, অর্থাৎ দুই পরিবার, বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়স্বজনের উপস্থিতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা উদযাপিত হওয়া উচিত।

বিয়ে যে কেউ পড়াতে পারেন। সাধারণত মুসলিম সমাজে কাজি অভিধায় অভিহিত একজন এই দায়িত্ব পালন করে থাকেন। বিয়ের খুতবায় কুরআন ও হাদিস থেকে তিলাওয়াত করা হয়। বর-কনেকে তাকওয়া, পবিত্রতা, পারস্পরিক ভালোবাসা, বিশ্বস্ততা ও সামাজিক দায়িত্বশীলতার প্রতি আহ্বান করা হয়। অতঃপর সাক্ষীর উপস্থিতিতে ইজাব কবুল বিনিময়ের মধ্য দিয়ে বিয়ে সম্পন্ন হয়।

বিয়ে সম্পন্ন হলে কনেকে বরের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। অতঃপর শুরু হয় তাদের উভয়ের জীবনের এক নতুন অধ্যায়। নির্জনবাসের পর বরের পক্ষ থেকে আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের জন্য ওলিমা তথা ভোজের আয়োজন করা হয়। এই আয়োজনের ও ভোজের মূল উদ্দেশ্য হলো, বিয়েটাকে সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিণত করা, মানুষকে বিয়ের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া এবং তাদেরকে এই আনন্দঘন পরিবেশে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া।

রাসূল সা. এই উদযাপন ও আনুষ্ঠানিকতাকে সহজ করতে পরামর্শ দিয়েছেন এবং একে অন্যের আনন্দ ভাগাভাগি করতে উৎসাহিত করেছেন। রাসূলে আকরাম সা. বলেন—
خَيْرُ النِّكَاحِ أَيْسَرُهُ ‏
“উত্তম বিবাহ তা-ই, যা সহজে সম্পন্ন হয়।” আবু দাউদ : ২১১৩

গরিব-দুঃখীদের বিয়ের আনন্দে শরিক করতে বিশেষভাবে তাকিদ দেওয়া হয়েছে। নবি আকরাম সা. বলেন—
شَرُّ الطَّعَامِ طَعَامُ الْوَلِيمَةِ يُدْعَى لَهَا الأَغْنِيَاءُ وَيُتْرَكُ الْمَسَاكِينُ وَمَنْ لَمْ يَأْتِ الدَّعْوَةَ فَقَدْ عَصَى اللَّهَ وَرَسُولَهُ ‏.
“ওই ওলিমার খাবার খুবই নিকৃষ্ট, যেখানে ধনীদের দাওয়াত দেওয়া হয় এবং গরিবদের পরিত্যাগ করা হয়। আর যে ব্যক্তি (ওলিমার) দাওয়াতে আসে না, সে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নাফরমানি করে।” আবু দাউদ : ৩৭০০

পঠিত : ২৩১ বার

মন্তব্য: ০