Alapon

জনাব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ক্যামেরা দেখলেই বকবক করতে শুরু করবেন না প্লিজ...



স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন ফারদিনের শেষ লোকেশন পাওয়া গেছে গাজীপুরে।
ডাক্তাররা নাকি পোস্ট মর্টেমে অনেক আঘাতের চিহ্ন পেয়ে রিপোর্ট করেছিলেন হত‍্যা। বাংলাদেশের ডাক্তার। কিছু জানলে তো। ভারত থেকে ডাক্তার এনে পুলিশ হাসপাতালে পোস্ট মর্টেম করালে এমন হতো না। অশিক্ষিত ডাক্তারগুলি সব স্বাচিপ করে বখে গেছে। একটা রিপোর্ট দিতে পারে না।

তদন্তকারীরা বলেই দিয়েছিল মাদক কিনতে গিয়ে মাদক বিক্রির লোকদের হাতে খুন হয়েছে ফারদিন। ফারদিন মাদকের খোঁজে ঘুরেছে। যেনো ঢাকা এক মাদকমুক্ত নগরী। কোথাও মাদক নেই।

শাহীন বেচারা মাঝে দিয়ে ফুডুস হয়ে গেলো। কারে মেরে কি হলো বুঝলো না। সে নাকি আবার দস্তগীর সাহেবের বীরসেনা ছিলো। ফুটেজ ওয়ালারা ফুটেজ দিয়েছিলো একটা গাড়ীর যেটা দিয়ে নাকি মেরে ফেলার পর তাকে বের করে নেয়া হয়েছিলো।

বলা হয়েছিলো শাহীনের লোকেরা পালিয়েছে। লাগুনা ড্রাইভার গাড়ীর পেছনে ওঠা জীবনে প্রথম দেখা এক যাত্রীকে চেহারা সহ মনে রেখেছিলো। সে তো মহামেধাবী। ফেস আইডি করতে পারে ইনফ্রারেড চোখ দিয়ে অন্ধকারে মাথার পেছনে বসা লোকের।

ফারদিনের বান্ধবী বুশরাকে রিমান্ডে ডিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করে আটকে রেখে আর এক হুজ্জত। আর এখন একটা ফুটেজ এনেছে। এক কিলো দুর থেকে ওটা ফারদিন সেটা বোঝা যাচ্ছে। পুরাই জেমস ওয়েব সিসি ক‍্যাম। সব দেখা যায়। সেতুর গোড়ায় বসানো। এটার ডিভিআরটা কই। ডিভিআরের ফরেনসিক করেছে?

যাই হোক। আবোল তাবোল বলা ও যাই তাই করা শেষ। ফারদিনকে কেউ মারে নাই।
সে নিজেই নিজেকে আঘাত করে, তারপর নিজেই সিসি ক‍্যামের সামনে দিয়ে গিয়ে নিজেই নিজেকে ফেলে দিয়েছে। স্ক্রিপ্ট রাইটার চলচ্চিত্র উৎসবে থাকায় স্ক্রিপ্ট পেতে দেরী হয়েছে। দশ ডিসেম্বর নামের কৌতুক চলচ্চিত্রটি শেষ না করা পর্যন্ত সে ফ্রী হচ্ছিলো না।
শুধু এ কারণেই এই স্ক্রিপ্ট অনুদান পেলেও সেন্সর পাচ্ছে না পাবলিকের কাছে।
এখন একটাই কথা। বুশরাকে হয়রানি ও অসম্মানজনক আটকের জন‍্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে কি দেবেন? তাড়াতাড়ি দেন।

একটা পরামর্শ। ক‍্যামেরা দেখলেই বকবক না করে ধীরে সুস্থ সবাই গল্পটা মুখস্থ করে নিলে এমন গোলমাল হবে না ভবিষ্যতে।

- Abdun Noor Tushar

পঠিত : ২৬১ বার

মন্তব্য: ০