Alapon

কীভাবে ওসিডি এবং মনের মাঝে ধর্ম সম্পর্কে অনাকাঙ্ক্ষিত চিন্তার মোকাবেলা করবেন?



চলুন, শুরু করি। প্রথম প্রশ্নটি এসেছে আমাদের ভাই আহমাদের কাছ থেকে। তিনি লন্ডন থেকে ইমেইল পাঠিয়েছেন। তিনি বলছেন তিনি ওসিডি তে ভুগছেন। (অবসেসিভ কমপালসিভ ডিজঅর্ডার)। তার মনের মাঝে সবসময় খারাপ চিন্তা আসে। তখন তার মনে হয় এসব চিন্তার কারণে তিনি হয়তো ইসলাম থেকে বেরিয়ে গেছেন। এজন্য তিনি বার বার কালেমা পড়ে তার ঈমানের নবায়ন করেন। তাই, তিনি এ ব্যাপারে উপদেশ চেয়েছেন। তিনি হতাশ হয়ে পড়েছেন, ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। এখন সাহায্য চাইছেন।

আমি এর সাথে আরেকটি প্রশ্ন যোগ করছি। এটি এসেছে আমাদের বোন ফাইযার কাছ থেকে। তিনিও ইংল্যান্ডে বাস করেন। তিনিও একই সমস্যার কথা বলছেন। তিনিও ওসিডি তে ভুগছেন। তাই, আমি উভয় প্রশ্ন নিয়ে একত্রে উত্তর দিবো, ইনশাআল্লাহ। কিন্তু তার ওসিডি পরিচ্ছন্নতা নিয়ে। তিনি সবসময় তার অজু নিয়ে সন্দেহে থাকেন। তিনি বাথরুমে প্রবেশ করার পর তার কাছে মনে হয় ফ্লোর হয়তো পরিষ্কার নয়। তাই, প্রতিবার অজু করার পর তার মনে হয় বের হওয়ার সময় পায়ে হয়তো ময়লা লেগে গেছে। এ অবস্থায় কিভাবে সে নামাজ পড়বে। এরফলে তিনি তার নামাজ আদায় হয়েছে কিনা এটা নিয়ে সবসময় উদ্বিগ্ন থাকেন।

আমি এই দুইটি প্রশ্নের উত্তর একত্রে দেয়ার চেষ্টা করবো। যেহেতু ওসিডির ব্যাপারগুলো একই রকম। এবং ইনশাআল্লাহ একটি ইসলামী উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো।

এই প্রশ্নগুলো মূলত অবসেসিভ কমপালসিভ ডিজঅর্ডার বা ওসিডি নিয়ে। আপনারা যারা এ বিষয়ে অবগত নন তাদের জন্য বলছি, একটি সারাংশ তুলে ধরছি। ওসিডি হলো মনের মাঝে অনর্থক চিন্তার আনাগোনা যা সাধারণত অনবরত চলতে থাকে। আমরা অধিকাংশ মানুষেরা এটাকে স্বাভাবিক আচরণ মনে করবো না। এমন আচরণকে আমরা যৌক্তিক আচরণ হিসেবে গণ্য করবো না। সাধারণ মানুষের দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা এটাকে অযৌক্তিক আচরণ মনে করবো। কিন্তু যারা এসব চিন্তায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন তাদের কাছে মনে হয় এটা খুবই স্বাভাবিক আচরণ।

সুতরাং, এগুলো হলো এমন কিছু চিন্তা যা একজন মানুষের মনে বারবার আসতে থাকে। তারা কিছু একটা নিয়ে খুব বেশি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। আর চিন্তাগুলো খুবই সুনির্দিষ্ট। সাধারণত চিন্তাগুলোর পুনরাবৃত্তি ঘটতে থাকে।

উদাহরণস্বরূপ, উভয় পরিস্থিতিতে... যদি ভাল করে লক্ষ্য করেন, প্রথম ভাই বলছেন তার মাথায় এমন কিছু বাজে চিন্তা আসছে, বাজে ধারণার উদয় হচ্ছে যার ফলে তার মনে হচ্ছে তিনি আর মুসলিম নন। তাই তিনি প্রতিনিয়ত বারবার কালেমা শাহাদাত পাঠ করে তার ঈমানের নবায়ন করছেন, সারাদিন ধরে।

আর দ্বিতীয় পরিস্থিতিতে, আমাদের বোন পবিত্রতা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন, যখন তিনি বাথরুম ব্যবহার করেন। অজু করে ফ্লোরে পা রাখার পর তার বারবার মনে হয় ফ্লোরে ময়লা থাকতে পারে...তো, তিনি এমনভাবে আচরণ করছেন যাকে ওসিডি হিসেবে গণ্য করা যায়। অবসেসিভ কমপালসিভ ডিজঅর্ডার।

ফলে, যারা এ চিন্তাগুলো নিয়ে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন তারা তখন পুনরাবৃত্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, সন্দেহগুলো প্রতিরোধ করার চেষ্টায়, কমানোর চেষ্টায় বা নিরসনের চেষ্টায়। দুঃখজনকভাবে, ওসিডি কখনো কখনো একজনকে হতাশাতে নিমজ্জিত করতে পারে। মারাত্মক ডিপ্রেশনে নিমজ্জিত করে পারে বা অবস্থা এর চেয়েও খারাপ হয়ে যেতে পারে। সংক্ষেপে এটাই ওসিডি। একটা ব্যাপার পরিষ্কার করে বলছি, আমি এখানে মেডিক্যাল এনালাইসিস করছি না। আমি শুধু সাধারণ মানুষের দৃষ্টিতে বলছি; আমাদের যাদের ওসিডি নেই তারা কিভাবে বুঝবো ওসিডি কী জিনিস।

এর উত্তরে বলছি- এখানে দুইটি বিষয় দেখার আছে। দুইভাবে এর জবাব দেয়া যায়। প্রথমটা হল ইসলামের আইনী এবং ধর্মতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে। আমি এটা নিয়েই শুরুতে কথা বলবো। দ্বিতীয় দৃষ্টিকোণ সম্পর্কে আমি এক্সপার্ট নই। আমি শুধু সাধারণ কিছু কথা বলবো। সেটা হলো সাইকোলজিক্যাল বা থেরাপির দৃষ্টিকোণ থেকে। আমি মনোবিজ্ঞানী নই। সাইকোলজিতে আমি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নই। তাই, সুনির্দিষ্টভাবে আপনাদের কোনো গাইডলাইন দেওয়া আমার কাজ নয়। আমি শুধু সাধারণ কিছু উপদেশ দিবো, এ বিষয়ক প্রাথমিক বই-পুস্তকে যার বর্ণনা দেওয়া আছে। আমি আরও উপদেশ দিচ্ছি আপনারা পারলে কোনো থেরাপিস্টের সঙ্গে সাক্ষাত করুন।

তাহলে, এই দুই ক্ষেত্র থেকে ওসিডি নিয়ে কথা বলা যায়। প্রথমত, ইসলামের আইনি এবং ধর্মতাত্ত্বিক ক্ষেত্র থেকে। দ্বিতীয়ত, সাধারণ কিছু মনোজাগতিক উপদেশ। ইনশাআল্লাহু তায়ালা যা এ বিষয়ে আপনাদের সাহায্য করবে।

ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে, ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বলতে গেলে- বুঝতে চেষ্টা করুন প্রিয় ভাই এবং বোনেরা, যে কেউ এই ধরণের চিন্তায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন বুঝতে চেষ্টা করুন- আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা ধর্মকে এতো কঠিন করেননি। আল্লাহ ধর্মকে কঠিন করেননি। আল্লাহ বলেন- "يُرِيدُ اللَّهُ بِكُمُ الْيُسْرَ" - আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান। (বাকারা, ১৮৫) আল্লাহ সহজ চান। আল্লাহ আরও বলেছেন- وَمَا جَعَلَ عَلَيْكُمْ فِي الدِّينِ مِنْ حَرَجٍ - “দীনের ব্যাপারে তিনি তোমাদের উপর কোন কঠোরতা আরোপ করেননি।” (22:78)

ইসলামী আইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মূলনীতি হলো...ইসলামী আইনের একটি সেকশন আছে যাকে বলা হয় ম্যাক্সিমস অব ফিকহ বা আল কাওয়াইদাল ফিকহিইয়া। পাঁচটি প্রধান সাধারণ নিয়ম (maxim) রয়েছে। তার মধ্যে একটি হলো- আল ইয়াকিনু লা ইয়াজুলু বিস শাক্কি- নিশ্চিত কিছু সন্দেহমূলক কিছু দ্বারা বাতিল হবে না। নিশ্চয়তামূলক কিছু সন্দেহজনক কিছু দ্বারা রদ করা যাবে না।

আমি চাই আপনারা এই নিয়মটি মুখস্ত করে রাখুন। এরপর আপনার সর্বোচ্চ সামর্থ্য অনুযায়ী এই সকল ক্ষেত্রে এটি প্রয়োগ করুন।

অতএব, উদাহরণস্বরূপ, আপনি হাত ধৌত করেছেন। ব্যাপারটা এখন নিশ্চিত। এরপর আপনার মনে সন্দেহ দেখা দিলো ছোট্ট কোনো অংশ কি বাদ পড়েছে? এটা হলো সন্দেহ। নিশ্চিত ব্যাপার হলো আপনি আপনার কনুই পর্যন্ত হাত ধুয়েছেন। ব্যাপারটা নিশ্চিত। নিজে দেখেছেন এবং অনুভব করেছেন। আরেকটি উদাহরণ- ফ্লোর পরিষ্কার এ ব্যাপারে আপনি নিশ্চিত। একটি মুসলিম ঘরে ফ্লোর পরিষ্কার থাকবে এটাই স্বাভাবিক। আপনি আপনার নিজের ঘর নিয়ে কথা বলছেন। আমরা পাব্লিক টয়লেট নিয়ে কথা বলছি না। একটু পরে এটা নিয়ে কথা বলবো। আপনার বাসায় ডিফল্ট হলো সবকিছু পরিষ্কার থাকবে।

আপনার তো এমন ধারণা করার কথা নয় যে, কিছু স্পর্শ করলেই তাতে হয়তো নাজাস লেগে আছে। পক্ষান্তরে, ডিফল্ট এবং নিশ্চিত ব্যাপার হলো সবকিছু পরিষ্কার। তাহলে সন্দেহটা কী? সন্দেহটা হলো এখানে (নাজাস) ময়লা আছে কি নেই? এখন, ফিকহের সাধারণ নীতি কী? নিশ্চিত কিছু সন্দেহমূলক কিছু দ্বারা বাতিল হবে না। তাহলে নিশ্চয়তার উপর নির্ভর করে আমরা রায় দিবো।

এই নিয়মটি অনেকগুলো হাদিসের উপর ভিত্তি করে রচিত হয়েছে। কয়েকটি হাদিস দেখে মনে হয় কিছু কিছু সাহাবার...কারণ, দেখুন, ওসিডি বিরল কোনো সমস্যা নয়। ওসিডি সকল সমাজে বর্তমান ছিল। সময়ের শুরু থেকে এটি বর্তমান ছিল। খুব সম্ভবত, যে সাহাবী রাসূল (স)-কে নিম্নে বর্ণিত প্রশ্নগুলো করেছিলেন, তিনিও হয়তো এই সাধারণ সমস্যায় ভুগছিলেন। যা হলো ওসিডি। যেমন, একজন প্রশ্ন করেন- ও আল্লাহর রাসূল! আমার সবসময় মনে হয় আমি অজু ভেঙ্গে ফেলছি। আমি বায়ু নির্গত করছি। আমি সবসময় অজু ভেঙ্গে ফেলছি। আর আমি নিশ্চিত না। এটা কি শুধুই মনের খুঁতখুঁত? আমি নিশ্চিত না। আমার মনে হয় আমি অনুভব করেছি। আমার মনে হয় আমি অনুভব করেছি। কিন্তু আমি নিশ্চিত না। আমাদের রাসূল (স) জবাবে কী বললেন? এই অনুমানগুলোর উপর ভিত্তি করে তোমার নামাজ ভেঙ্গে ফেলো না।

আবারো সেই সাধারণ নীতিতে ফেরত যাচ্ছি। নিশ্চয়তা সন্দেহের কারণে বাতিল হবে না। নিশ্চিত ব্যাপার কী? আপনি অজু করেছেন এবং নামাজ আদায় করছেন। আর সন্দেহ হয় কোন ব্যাপারে? কিছু কি বের হয়েছে নাকি বের হয়নি? অজু কি ভেঙ্গে গেছে? বায়ু কি বের হয়েছে? এটা সন্দেহজনক।

তাই, রাসূল (স) কী বলেছেন? যতক্ষণ না তুমি নিশ্চিত হচ্ছ...এই হাদিসে কিভাবে তিনি নিশ্চয়তার মাত্রা ঠিক করে দিলেন? যতক্ষণ না তুমি শব্দ শুনেছ বা গন্ধ নাকে এসে না লাগা পর্যন্ত মনে করো না যে অজু ভেঙ্গে গেছে।

আমাদের স্কলাররা বলেছেন, এই দুইটির মূল উদ্দেশ্য হলো নিশ্চয়তা অর্জন করা। তাহলে, যদি ব্যক্তি একেবারে নিশ্চিত হয়ে যায় যে সে অজু ভেঙ্গে ফেলেছে, যদি ব্যক্তি একেবারে নিশ্চিত যে হাত পুরোপুরি ধোয়া হয়নি। যেমন, আপনি কনুই পর্যন্ত না ধুয়েই অজু শেষ করে ফেলেছেন। অথবা, ব্যক্তি যদি নিশ্চিত হয় যে হ্যাঁ, আমার হাতে ময়লা লেগে আছে বা আমার পায়ে, এই ক্ষেত্রে এটা আলাদা কথা। অন্যথায়, ডিফল্ট হলো সন্দেহমূলক বিষয় প্রত্যাখ্যান করুন।

প্রকৃতপক্ষে, অন্য একটি হাদিস থেকেও আমরা জানতে পারি। সম্ভবত একজন সাহাবীও এরকম ওসিডি-তে ভুগছিলেন। শয়তানের কুমন্ত্রণা নিয়ে, অনাকাঙ্ক্ষিত চিন্তা নিয়ে। আমাদের প্রথম ভাইয়ের মত। তিনিও একই ধরণের প্রশ্ন করেছেন। একবার এক ব্যক্তি রাসূল (স) এর নিকট আগমন করেন। তিনি বললেন, ও আল্লাহর রাসূল (স)! আমার মাথায় কিছু চিন্তা আসে যা এতোই খারাপ যে, আমার ইচ্ছে হয়—এক বর্ণনায় এসেছে—আমি যেন একেবারে ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাই ঐ শব্দগুলো আমার মুখ দিয়ে উচ্চারণ করার পূর্বে। এই মন্দ চিন্তাগুলো সবসময় আমার মাথায় এসে জড়ো হয়। আবারো বলছি, সম্ভবত, সম্ভবত...সেই সময় তো কোনো মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ছিল না সাইকো এনালাইসিস করার জন্য, আমরা জানি না। কিন্তু, সম্ভবত, এই সাহাবীও এক ধরণের ওসিডি-তে ভুগছিলেন।

তো, তিনি বলছেন, ও আল্লাহর রাসূল! আমি সর্বদা এই সন্দেহগুলো দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছি। চিন্তাগুলো খুবই মন্দ প্রকৃতির, খুবই মন্দ প্রকৃতির। আমার ইচ্ছে হয় আমি যেন ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাই এই শব্দগুলো মুখ দিয়ে উচ্চারণ করার পূর্বে।

রাসূল (স) কি বলেছিলেন যে, যত বার সন্দেহে পতিত হয়েছ ততবার তুমি কুফরী করেছ? রাসূল (স) কি তাকে বলেছিলেন তোমাকে দিনে অনেকবার শাহাদা উচ্চারণ করতে হবে? না।

বিপরীতে, রাসূল (স) তাকে সান্ত্বনা দিলেন এবং বললেন— জা-কা সরিহুল ঈমান। "তোমার এই প্রতিক্রিয়া ঈমানের মূল নির্যাস।" এর অর্থ কী? আমাদের আলেম-ওলামারা বলেছেন, লোকটি যে ঐ চিন্তাগুলো মাথায় আসাতে এক ধরণের তীব্র বিরক্তি বা অসন্তোষ অনুভব করলেন, তিনি চিন্তাগুলোকে কাজে পরিণত করেননি। তিনি সেগুলো থেকে মুক্তি কামনা করছিলেন। মানুষটা যে বলছেন, আমি শব্দগুলো উচ্চারণ করার পূর্বে ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যেতে চাই। ব্যাপারটা হলো- তিনি যে এ কথা বলেছিলেন এই কারণে আমাদের রাসূল (স) বললেন, ঐ মন্দ চিন্তাগুলোকে ঘৃণা করার এই আবেগ, এটাই ঈমানের মূল বিষয়।

সুবহানাল্লাহ! প্রিয় ভাই এবং বোনেরা, যারা এই সমস্যায় ভুগছেন আপনাদেরকে বার বার শাহাদা উচ্চারণ করতে হবে না। যদি জিকির করার নিয়তে পড়তে চান, পড়ুন। কোনো সমস্যা নেই। যদি জিকির করার নিয়তে সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ শত বার পড়তে চান, পড়ুন।

কিন্তু, মনের কোণে কোনো মন্দ চিন্তা আসার কারণে যদি ধারণা হয় আপনি কাফের হয়ে গেছেন, মোটেই না। এই কারণে আপনি- আউজুবিল্লাহ, আউজুবিল্লাহ- কাফের হয়ে যাননি। এই চিন্তাগুলো খুব সম্ভবত শয়তানের ওয়াসওসা। এই চিন্তাগুলো এমনকি আপনার নিজের কাছ থেকে আসছে না। এগুলো ইবলিসের চেলা-চামুণ্ডাদের কাছ থেকে আসে।

পঠিত : ১২৪৯ বার

মন্তব্য: ০