Alapon

প্রিয় নবী (সা.) ইরশাদ করেন, সকালবেলায় রিজিকের অন্বেষণ করো...



আমার অফিসের 'বসের' সাথে কেউ ফজরের পরে 'মিটিং' করতে চাইলে তিন দিনের আগে সিরিয়াল পাননা! আবার, দিনের অন্য সময়ে 'মিটিং' করতে কোনো সিরিয়াল নিতে হয় না!
ব্যবসা-বাণিজ্য ও অন্যান্য দুনিয়াবি কাজে সফলতা অর্জনের জন্যও ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠার জুড়ি নেই। কেননা ভোররাতে বা দিনের শুরুতে সবচেয়ে বেশি কল্যাণ থাকে। শুধু ইবাদত-বন্দেগিই নয়, দুনিয়াবি কাজের জন্যও এটি সবচেয়ে উপযুক্ত ও বরকতময় সময়।

রাসুলুল্লাহ (সা.) ভোরবেলার কাজের জন্য বরকতের দোয়া করেছেন হজরত সখর গামেদি (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুল (সা.) এ দোয়া করেছেন, ‘হে আল্লাহ, আমার উম্মতের জন্য দিনের শুরুকে বরকতময় করুন।’ এ জন্যই রাসুল (সা.) কোনো যুদ্ধ অভিযানে বাহিনী পাঠানোর সময় দিনের শুরুতে পাঠাতেন। বর্ণনাকারী বলেন, হজরত সখর (রা.)-ও তাঁর ব্যবসায়ী কার্যক্রম ভোরবেলা শুরু করতেন। এতে তাঁর ব্যবসায় অনেক উন্নতি হয়। তিনি সীমাহীন প্রাচুর্য লাভ করেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ২৬০৬)

সকালের ঘুম অলসতার লক্ষণ। এ সময়ের ঘুম শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তেমনি সফলতা অর্জনেও প্রতিবন্ধক। হজরত ফাতেমা বিনতে মুহাম্মদ (সা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসুল (সা.) আমার ঘরে এসে আমাকে ভোরবেলায় ঘুমন্ত অবস্থায় দেখলেন, তখন আমাকে পা দিয়ে নাড়া দিলেন এবং বললেন, মা মণি! উঠো! তোমার রবের পক্ষ থেকে রিজিক গ্রহণ করো! অলসদের দলভুক্ত হয়ো না। কেননা আল্লাহ সুবহে সাদেক থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত মানুষের মধ্যে রিজিক বণ্টন করে থাকেন। (আত-তারগিব ওয়াত তারহিব, হাদিস : ২৬১৬)

আমি নিজেও পরিক্ষিতভাবে দেখেছি খুব ভোরে ওঠা মানুষগুলো সবার থেকে আলাদা ও কর্মদক্ষ হয়ে থাকেন। গবেষণায় দেখা যায়, যাঁরা খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠেন কিংবা রাতে কম ঘুমান, অন্যদের তুলনায় তাঁদের আইকিউ ভালো হয়।

সকালবেলার সময়টা আল্লাহর কাছে এতই পছন্দনীয় যে তিনি এ সময়ের শপথ নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘শপথ প্রভাতকালের, যখন তা আলোকোজ্জ্বল হয়। অবশ্যই এই জাহান্নাম ভয়াবহ বিপদসমূহের অন্যতম।’ (সুরা : মুদ্দাসিসর, আয়াত : ৩৩-৩৫)

প্রিয় নবী (সা.) ইরশাদ করেন, ‘সকালবেলায় রিজিকের অন্বেষণ করো! কেননা সকালবেলা বরকতময় ও সফলতা অর্জনের জন্য উপযুক্ত সময়।’
.
আল্লাহ সুবহানাহুতালা আমাদেরকে সকালবেলার বরকত হাসিল করার তাওফিক দিন।

পঠিত : ১৯৬ বার

মন্তব্য: ০