Alapon

প্রণয় আর অনুরাগের আবেদন চিরন্তন!!

প্রণয় আর অনুরাগের আবেদন চিরন্তন!!
নিজের পরিপূর্ণতা থাকা সত্ত্বেও মানুষ প্রিয় কারোর সান্নিধ্য পেতে ভালোবাসে এবং এই সান্নিধ্য তাকে ঋণী করে তোলে। এমন ঋণী হতে সে ভালোও বাসে!! সত্যি বলতে কিছু কিছু ঋণ মানুষকে বেঁচে থাকার প্রেরণা দেয়। এই যে বাবা -মার কাছে ঋণ সন্তান কে দান করে বড় হওয়ার উদ্দীপনা। আবার প্রেয়সীর প্রেম প্রেমিক কে দেয় চলার পথের তীব্র অনুভূতি। বলা হয়, A woman can create a man!! তাই তো মানুষ বার বার ফিরে আসে তার একান্ত মনের মানুষের কাছে, প্রেমিক তার প্রিয়তমার কাছে।
এই তীব্র অনুভূতি তীব্রতর ভাবে প্রকাশ হয়েছে রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ্ (১৯৫৬-১৯৯১) "মৌলিক মুখোশ" কাব্যগ্রন্থে। এই গ্রন্থেরর "খতিয়ান" এ তিনি বলেছেন,

"হাত বাড়ালেই মুঠো ভরে যায় প্রেমে
অথচ আমার ব্যাপক বিরহভূমি
ছুটে যেতে চাই পথ যায় পায়ে থেমে
ঢেকে দাও চোখ আঙুলের নখে তুমি"

আবার, "ময়নাতদন্ত " কবিতায় কী নির্মম ভাবে নারীকে ব্যবচ্ছেদ করেছে-

"কোথাও সুস্হতা নেই।
এ সময়ে শোষনের সুশোভন নামই সুস্হতা---
তুমি সেই সুস্হতার নির্বোধ প্রতীক "

আবার,প্রেমের অনলে জ্বলে প্রেমিকা কে চেয়েছে আকুল ভাবে-

"তুমি আমার জীবন্ত ক্রাচ,তোমাকেই চাই,
বন্ধ ঘরের বাইরে যাবো,তোমাকেই চাই"

বর্তমানেরর ভয়াবহ ব্যাধি "পরকীয়া" কবিতায় লিখেছেন-

"ভালোবাসার সময় তো নেই
ব্যস্ত ভীষণ কাজে,
হাত রেখো না বুকের গাঢ় ভাজে"

সময়ের গলে যাওয়া মুহূর্ত আর রক্তাক্ত হৃদয়ের অনুভূতি ও এসেছে-

"মানুষের মৌলিক মুখোশ আমি খুলতে পারি না,
শুধু পুড়ে যেতে পারি,পুড়ে যাই, পোড়াই সৌরভ,
রাতের আগুন এনে নিবেদিত সকাল পোড়াই"

আহা!!
রুদ্র কী রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনা আপনার কবিতায়....

পঠিত : ১০২২ বার

মন্তব্য: ০