Alapon

অবক্ষয়িত মূল্যবোধ


দেশের প্রথম সারির অনেকগুলো মিডিয়ার সুবাদে সংবাদটি অনেকেরই নজরে এসেছে। পিতার লাশ ফ্রিজিং গাড়ির মধ্যে রেখে সন্তানরা ঝগড়ায় লিপ্ত পেনশনের টাকার ভাগাভাগি নিয়ে। এ ঝগড়ার সংবাদের কিয়দংশ পাঠকদের জ্ঞাতার্থে উল্লেখ না করে পারছি না। ‘‘তিন দিন ধরে বাবার লাশ পড়ে আছে অ্যাম্বুলেন্সে। কিন্তু দাফন করা হচ্ছে না। কারণ মৃত বাবার পেনশনের রেখে যাওয়া টাকার ভাগ-ভাটোয়ারা নিয়ে ভাই-বোনদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে। তা সমাধানের পরই দাফন করা হবে বাবার লাশ। .... চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার বড় উঠান ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, পদ্মা অয়েল কোম্পানির সাবেক কর্মকর্তা মনির আহমদ (৬৫) ২৪ ডিসেম্বর-২০২২, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় চট্টগ্রাম নগরীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। লাশ হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নেয়ার পর দাফনে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তার আপন সন্তানরা। বাবার পেনশনের ৫০ লাখ টাকা ভাগ-ভাটোয়ারা নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে সন্তানরা। এর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বাবার লাশ দাফন করবে না বলে জানিয়ে দেয় তারা’’ সংবাদে আরো একটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে, যে মনির আহমদের তিন মেয়ে এবং দুই ছেলে। মনির আহমদ অসুস্থ হওয়ার পর ছেলেরা তার চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা করেনি। তিন মেয়েই চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে।
জনাব মনির আহমেদ জীবিত অবস্থায় পিতা হিসেবে সন্তানদের থেকে কতটুকু ভালোবাসা এবং সেবা পেয়েছেন, তা আমরা জানতে না পারলেও মৃত্যুর পর তার সন্তানদের ভূমিকা সন্তানদের চরিত্রকে আমাদের সামনে নিয়ে এসেছে। জীবনের পড়ন্ত বেলায় অসুস্থ অবস্থায় তিনি যে সন্তানদের কাছ থেকে কাঙ্খিত সেবা পাননি তা অবস্থাদৃষ্টেই বোঝা যায়। যে সন্তানরা বাবার লাশ রেখে টাকা ভাগাভাগি নিয়ে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হতে পারে তারা সুসন্তান না হয়ে কুসন্তান হিসেবে যে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করেছে এটা নির্দ্বিধায় বলা যায়। পিতা-মাতার বার্ধক্যে সন্তানদের অনাদর অবহেলা যে শুধুমাত্র এই আলোচিত মনির আহমেদের বেলায় ঘটেছে, তাই নয়। এমন আরো বহু ঘটনা আমরা পত্রিকা, টেলিভিশন এবং সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে জানতে পারি। জীবনের পড়ন্ত বেলায় অনেক অভিভাবকই সন্তানদের অনাদর অবহেলা আর নিগ্রহের শিকার হন। অথচ এই পিতা-মাতা সন্তানের জন্ম থেকে শুরু করে শৈশব, কৈশোর এমনকি তরুণ ও যুবক বয়সেও সন্তানের উন্নত জীবন গঠনে নিজেদের সকল আরাম আয়েশ আর সূখকে জলাঞ্জলি দেন। সন্তানের মূখে একটু হাসি ফোটাবার জন্য অহর্ণিশ কষ্ট করে যান। সন্তানের আবদার রক্ষায় কষ্টের পর কষ্ট সহ্য করেন। রক্ত পানি করা ঘাম তুচ্ছ হয়ে যায় সন্তানের একটু হাসি দেখে।
একটি শিশু যখন বেড়ে ওঠা শুরু করে তার মূখে প্রথম বাবা কিংবা মা ডাক শুনে পিতা-মাতার হৃদয় আনন্দে জুড়িয়ে যায়। সন্তানের কান্না আর হাসির মাঝে পিতা-মাতা নিজেদের সূখ আর আনন্দকে খুঁজে পান। ঈদ, কুরবানী, অনুষ্ঠান পার্বন কিংবা যে কোনো কেনা-কাটায় সন্তানের আবদার আগে পূরণ করেন। সন্তানের ভালো খাবার, ভালো স্কুলে পড়া-শোনা করা সব কিছুতেই মা-বাবা সন্তানকে অগ্রাধিকার দেন। সামর্থ থাকা সত্বেও সন্তানের শিক্ষা, চিকিৎসা কিংবা আবদার পূরণে কোনো পিতা-মাতা অবহেলা করেন না। বরং অনেক সময়ই সন্তানের আবদার আর প্রয়োজনকে সামনে রেখে সামর্থের বাইরে গিয়েও তাদের চাহিদা পূরণ করেন। অনেক পিতা-মাতা হার ভাঙা পরিশ্রম করেন সন্তানের উন্নত ভবিষ্যতের আশায়।
পদ্মা অয়েল কোম্পানীর মতো একটি নামী দামী কোম্পানীতে অফিসার পদে কর্মরত থেকে জনাব মনির আহমদ অবশ্যই সন্তানদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার চেষ্টা করেছেন। তার সন্তানরা হয়েতো একাডেমিক জীবনে উচ্চ শিক্ষা পেয়েছে, কিন্তু মানুষ হওয়ার শিক্ষা যে পায়নি তা বোঝাই যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে জনাব মনির আহমেদের ইচ্ছা আকাঙ্খার ত্রæটি ছিলো বলে মনে হয় না। কোনো বাবা তার সন্তানকে এমনভাবে গড়ে তুলতে চান না যাতে সন্তান বড় হয়ে প্রকৃত মানুষ হতে না পারে । হয়তো পথ, পন্থা কিংবা পদ্ধতির ভুল থাকতে পারে। জনাব মনির আহমদ অসুস্থ হওয়ার পর খুব ভালোভাবেই জানতেন তার মৃত্যুর পর সন্তানরাই সকল সম্পদের মালিক হবে। তিনি ইচ্ছা করলে এ সম্পদ নিজের উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্যয় করতে পারতেন। কিংবা অন্য কোথাও উইল করে যেতে পারতেন। এ ধরনের কোনো কাজে ব্যয় না করার মানে তার আন্তরিক বাসনা ছিলো তার মৃত্যুর পর যাতে সন্তানরা তার সম্পদ ও সম্পত্তি ভোগ ও ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু পিতার এ ইচ্ছার কতটুকু মূল্য সন্তানরা দিয়েছে?
আমরা যে একটি ঘুণে ধরা সমাজে বসবাস করছি এটি তার এক জাজ্জল্যমান প্রমাণ। নৈতিকতা, মানবিকতা, কর্তব্যবোধ, বিবেকবোধ আর মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয়িত রূপ এটি। চরম নৈতিক ও মানবিক অবক্ষয়ের এমন রূপ কারো কাছে কাম্য হতে পারে না। মূল্যবোধের এ অবক্ষয় আমাদের সমাজ দেহে ক্যান্সারের মতো শাখা প্রশাখা বিস্তার করে চলেছে। চরম স্বার্থপরতা আর বিবেক বর্জিত কাজ শিক্ষিত, অর্ধ শিক্ষিত, ধনী, নির্ধন সবার ক্ষেত্রেই ঘটছে। বস্তুবাদী চিন্তা ও ধ্যাণ ধারণা মানুষের মধ্যে যতো বেশি প্রভাব বিস্তার করছে এ সমস্যাগুলো দিন দিন ততো ব্যাপকতা লাভ করছে। পত্রিকায় প্রকাশিত এ সংবাদটি একমাত্র ঘটনা নয়। পিতা-মাতার প্রতি অমানবিক আচরণ, অন্যায় ও গর্হিত আচরণের আরো সংবাদ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়। পিতা-মাতার লালন পালন কিংবা তাদের মৃত্যুর পর সম্পদ নিয়ে সন্তানদের এমন নোংড়া খেলার অপ্রত্যাশিত খবর প্রায়শ আমরা শোনতে পাই। গত ৪ সেপ্টেম্বর’২২ বিভিন্ন টেলিভিশনসহ সহ জাতীয় দৈনিকে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, সময় টেলিভিশনের অনলাইন ভার্সন হতে সেই খবরে কিয়দংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরছি। ‘‘ যশোরের চৌগাছায় অসুস্থ মাকে গোয়াল ঘর থেকে উদ্ধার করে ছেলের ফ্ল্যাটে তুলে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা । ৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে উপজেলার পাশাপোল ইউনয়িনের বুড়িন্দিয়া গ্রামের আব্দুল কাদেরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় একটি সূত্রে খবর পেয়ে রোববার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলিশসহ উপস্থিত হন ওই বাড়িতে। রোববার দুপুরে ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় বৃদ্ধা অসুস্থ মা (৬৫) গোয়াল ঘরের ময়লার মধ্যে মেঝেতে একটি কাঁথার ওপর শুয়ে কাতরাচ্ছেন। গোয়াল ঘরটি ছাদের হলেও তীব্র গরমেও সেখানে নেই কোন বৈুদ্যুতিক বা হাতপাখার ব্যবস্থা। অথচ পাশেই সম্পূর্ণ পাকা একটি ছাদের রান্না ঘরে বৈদ্যুতিক পাখার নিচে বসে বৃদ্ধার পুত্রবধূ রান্না করছেন। পাশেই চার রুমের আলীশান একটি ফ্ল্যাটবাড়ি। যার প্রতিটি রুমের মেঝে, এমনকি ছাদে ওঠার সিঁড়ি পর্যন্ত টাইলস করা। কক্ষগুলি টিভি, ফ্রিজসহ আসবাবপত্র দিয়ে পরিপাটি করে সাজানো।’’
সম্পদের জন্য পিতাকে বেদম প্রহার করা, পাগল বানিয়ে পাগলা গারদে রেখে আসা। সম্পদ লিখে না দেয়ার কারণে পাগল আখ্যা দিয়ে হাত-পায়ে শেকল দিয়ে বেধে রাখা। পিতা-মাতাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসার পর আর খোঁজ না নেয়ার ঘটনা ভুরি ভুরি। বৃদ্ধ বাবা কিংবা বৃদ্ধা মাকে বস্তায় ভরে রাস্তায় ফেলে আসা, বৃদ্ধ মাকে কিংবা বাবাকে গোয়াল ঘরে থাকতে দেয়ার মতো ঘটনাও নেহাৎ কম নয়। ভরণ-পোষণ দিতে হবে এই ভয়ে মাকে বস্তায় ভরে জঙ্গলে-রাস্তার ধারে ফেলে আসার মতো অনাকাঙ্খিত অনেক ঘটনা আমরা প্রতিনিয়ত পত্রিকায় দেখতে পাই। সমাজে যা ঘটে সব কিছুই পত্রিকা, টেলিভিশন কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসে না। অনেক পিতা-মাতা সন্তানের মূখের দিকে তাকিয়ে কিংবা সন্তানের ক্ষতি হবে এই ভেবে নিজেদের কষ্ট আর দুঃখগুলোকে নিরবে হজম করেন। হৃদয়ের রক্তক্ষরণ আর বেদনাগুলোকে ছাইচাঁপা সন্তানের কল্যাণ কামনায় জীবনের শেষ দিনগুলো পার করেন। সমাজে অবশ্যই এমন একটি শিক্ষাহীন কিংবা দরিদ্র শ্রেণি আছে যারা অশিক্ষা অথবা দারিদ্রের কারণে পিতা-মাতার বৃদ্ধ বয়সে তাদের সেবা করার দায়িত্ব নিতে অপরাগততা প্রকাশ করে, কিন্তু শিক্ষিত ও সামর্থবান মানুষগুলোর অমানবিক কাজগুলোই আমাদেরকে ভাবিয়ে তোলে।
পিতার লাশ সামনে রেখে এমন ঝগড়া আরো দেখা গেছে এমনকি জানাজা বিলম্বিত হওয়া অথবা জানাজার মাঠেই ঝগড়া বিবাদে জড়িত হওয়ার মতো ঘটনা আরো অনেক ঘটেছে। এ ক্ষেত্রে সন্তানকে আদর্শিক ও নৈতিক শিক্ষা দেয়া যেমন পিতা-মাতার মৌলিক কর্তব্য একইভাবে সন্তানকে সেই শিক্ষার আলোকে কর্তব্য পালন করাও অনিবার্য। পিতা-মাতা এবং সন্তান সকলের জন্য অনন্য উপদেশ দেয়া হয়েছে আল কুরআনের সূরা লুকমানে। হযরত লুকমান আ. তার সন্তানকে উপদেশ দিয়েছিলেন, ‘‘ আর স্মরণ কর, যখন লুকমান তার পুত্রকে উপদেশ দিতে গিয়ে বলেছিল, ‘প্রিয় বৎস, আল্লাহর সাথে শিরক করো না; নিশ্চয় শিরক হল বড় যুলম’ আর আমি মানুষকে তার মাতাপিতার ব্যাপারে (সদাচরণের) নির্দেশ দিয়েছি। তার মা কষ্টের পর কষ্ট ভোগ করে তাকে গর্ভে ধারণ করে। আর তার দুধ ছাড়ানো হয় দু’বছরে; সুতরাং আমার ও তোমার পিতা-মাতার শুকরিয়া আদায় কর। প্রত্যাবর্তন তো আমার কাছেই। আর যদি তারা তোমাকে আমার সাথে শিরক করতে জোর চেষ্টা করে, যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তখন তাদের আনুগত্য করবে না এবং দুনিয়ায় তাদের সাথে বসবাস করবে সদ্ভাবে। আর অনুসরণ কর তার পথ, যে আমার অভিমুখী হয়। তারপর আমার কাছেই তোমাদের প্রত্যাবর্তন। তখন আমি তোমাদেরকে জানিয়ে দেব, যা তোমরা করতে। ‘হে আমার প্রিয় বৎস, নিশ্চয় তা (পাপ-পুণ্য) যদি সরিষা দানার পরিমাণ হয়, অতঃপর তা থাকে পাথরের মধ্যে কিংবা আসমানসমূহে বা যমীনের মধ্যে, আল্লাহ তাও নিয়ে আসবেন; নিশ্চয় আল্লাহ সূক্ষ্মদর্শী, সর্বজ্ঞ’। ‘হে আমার প্রিয় বৎস, সালাত কায়েম কর, সৎকাজের আদেশ দাও, অসৎকাজে নিষেধ কর এবং তোমার উপর যে বিপদ আসে তাতে ধৈর্য ধর। নিশ্চয় এগুলো অন্যতম দৃঢ় সংকল্পের কাজ’। ‘আর তুমি মানুষের দিক থেকে তোমার মুখ ফিরিয়ে নিয়ো না। আর যমীনে দম্ভভরে চলাফেরা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ কোন দাম্ভিক, অহঙ্কারীকে পছন্দ করেন না’। ‘আর তোমার চলার ক্ষেত্রে মধ্যপন্থা অবলম্বন কর, তোমার আওয়াজ নীচু কর; নিশ্চয় সবচাইতে নিকৃষ্ট আওয়াজ’’।
সূরা লুকমানের এই কয়টি আয়াত একদিকে সন্তান লালন-পালন ও তাদের শিক্ষা দানের ক্ষেত্রে বড় উপদেশ অপরদিকে সন্তান পিতা-মাতার সাথে কেমন ব্যবহার করবে তারও নির্দেশ এখানে দেয়া হয়েছে। সন্তানের মনে যদি ¯্রষ্টার কাছে জবাবদিহীর অনুভুতি তৈরী হয়। তবে সে বুঝতে পারবে তাকে কে সৃষ্টি করেছে, কেন সৃষ্টি করেছে। এ সৃষ্টির উদ্দেশ্যের সাথে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য কী? মানুষ হিসেবে তার নিজের প্রতি, তার চারিপার্শের পরিবেশ ও প্রতিবেশের প্রতি, তার পিতা-মাতার প্রতি এবং সামগ্রিকভাবে গোটা মানবতার প্রতি তার কি দায়িত্ব রয়েছে। এ দায়িত্বানুভূতিকেই বলা হয় মৌলিক মানবীয় মূল্যবোধ। এ মূল্যবোধ জাগ্রত থাকলে তার দ্বারা কোনো গর্হিত কাজ সম্পাদন হতে পারে না।
যিনি মানুষের স্রষ্টা তিনি মানুষের জন্য এ সম্পর্কিত বিধান বাতলে দিয়েছেন। স্রষ্টার বিধানের ব্যত্যয় ঘটিয়ে আমরা যখন সন্তানকে শুধু বৈষয়িক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার প্রচেষ্টায় রত থাকি তখন সন্তান শুধু বস্তুবাদি চিন্তা ও আদর্শে গড়ে ওঠে। তাদের হৃদয়-মনে সম্পদ অর্জন, ভোগ-ব্যবহার আর স্বার্থপরতার তীব্র বাসনা তৈরী হয়। এ চিন্তা আর বাসনা তাদের চরিত্র থেকে ভালো ও কল্যাণকর গুণগুলো দূর করে দেয়, তারা এক স্বার্থান্ধ অর্থ পাগল মানুষ হিসেবে তৈরী হয়। এ স্বার্থান্ধতা তাদের মাঝ থেকে মৌলিক মানবীয় মূল্যবোধগুলো দূর করে দেয়। মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধে পিতা-মাতা এবং সন্তান সবাইকে স্রষ্টার শেখানো পথ, পন্থা ও পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে, তবেই আমরা এ মূল্যবোধের অবক্ষয় থেকে সমাজ জীবনকে রক্ষা করতে পারবো।

পঠিত : ২৭৯ বার

মন্তব্য: ০