Alapon

আল্লাহ আন্তরিক ঈমানদারদের পথভ্রষ্ট করেন না...



"ওহে বিশ্বাসীগণ! আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য কর এবং আদেশ শোনার পর তা অমান্য কর না। তোমরা তাদের মত হয়ো না যারা বলেছিল, ‘আমরা শুনলাম’; প্রকৃতপক্ষে তারা শোনেনি। নিশ্চয় আল্লাহর নিকট নিকৃষ্টতম বিচরণশীল প্রাণী হচ্ছে বধির, বোবা, যারা বুঝে না। আর আল্লাহ যদি তাদের মধ্যে কোন কল্যাণ জানতেন তাহলে অবশ্যই তাদেরকে শুনাতেন। আর যদি শুনাতেন তাহলেও তারা মুখ ফিরিয়ে নিত, এমতাবস্থায় যে, তারা উপেক্ষাকারী।" (সূরা আনফাল, আয়াত ১৯-২৩)

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা সূরা আনফালের ২২ এবং ২৩ নাম্বার আয়াতে কুরাইশদের বাস্তবতা সম্পর্কে বলেছেন। এরা মানব জাতির মধ্যে নিকৃষ্টতম। এরা বধির, বোবা এবং অন্ধ। এরা চিন্তা করে না। বুঝার চেষ্টা করে না।

পরের আয়াত, ২৩ নাম্বার আয়াতটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি আল্লাহ তাদের মধ্যে কোন ভালো কিছু দেখতেন, যদি আল্লাহ জানতেন যে তাদের অন্তর খাঁটি, তবে তিনি তাদের শোনার তৌফিক দিতেন। যদি তিনি তাদের শুনতে দিতেন, অর্থাৎ যদি তাদের মধ্যে কিছুটা কল্যাণ থাকতো, তবে তাদের ইসলামের দিকে হেদায়েত দেওয়া হতো।

এখানে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পয়েন্ট শিখছি। প্রিয় মুসলিম, আমরা তকদীরে বিশ্বাস করি, আমরা বিশ্বাস করি আল্লাহ যাকে ইচ্ছা হেদায়েত দেন। আমরা বিশ্বাস করি, আল্লাহ কাউকে পথ না দেখালে সে পথভ্রষ্ট হয়ে পড়ে থাকবে। কিন্তু, এখান থেকে আরও জানা যাচ্ছে, যখন মানুষ আন্তরিক থাকে, আল্লাহ তাকে পথ দেখাবেন। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্ট।

আল্লাহ আন্তরিক কাউকে পথভ্রষ্ট করেন না। একমাত্র যারা অহংকারী, যারা হেদায়েত পাওয়ার যোগ্য নয় তারাই হেদায়েত পায় না। যে আল্লাহকে চায়, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা সর্বদা তাকে পছন্দ করবেন। কিন্তু যে আল্লাহকে চায় না, যার মধ্যে এক আউন্স ভালো নেই, যে ভালো চায়ও না তাকে কখনই পছন্দ করা হবে না। এ জন্যই আল্লাহ এখানে কুরআনে বলছেন যে, আল্লাহ যদি তাদের মধ্যে কোন ভালো গুণ দেখতেন। এরকম আয়াত পরে আরও আছে।

- নোমান আলী খান

পঠিত : ২০৮ বার

মন্তব্য: ০