Alapon

কাফিররা যে কারণে কিয়ামত নিয়ে উপহাস করতো...



রাসূলুল্লাহ (স) যখন বিচার দিবসের কথা বলতেন, মক্কার কুরাইশরা তখন এটা নিয়ে উপহাস করতো। মুসলমানদেরকে এ নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ করতো। তাদের এরকম কিছু কথা সূরা আস-সিজদাতে তুলে ধরা হয়েছে। কুরআনে এসেছে- وَ یَقُوۡلُوۡنَ مَتٰی هٰذَا الۡفَتۡحُ اِنۡ کُنۡتُمۡ صٰدِقِیۡنَ "আর তারা বলে, কখন হবে এ ফয়সালা? তোমরা যদি সত্যবাদী হও তবে বল।" (৩২:২৮)

কাফেররা এভাবে উপহাস করতো। তারা টিটকারি করে বলতো, ওহ আচ্ছা! কবে এটা ঘটবে? সময় সূচি জানাতে পারবে? কবে আকাশ খুলে যাবে? তোমাদের তো এ নিয়ে বহু আয়াত আছে। দিন তারিখ জানাতে পারবে? এই গ্রীষ্মে নাকি পরের গ্রীষ্মে?

তারা এরকম বিচার দিবস নিয়ে মুসলমানদের ঠাট্টা বিদ্রুপ করতো। কারণ, তারা মনে করতো কিছুই ঘটবে না।

আর আল্লাহ তাদেরকে এর উত্তরটা খুবই সাদামাটা ভাষায় এক কথায় প্রদান করেছেন। তোমরা যা খুশি মনে করতে পারো। তোমরা যা চাও চাইতে পারো। যা কামনা করার করতে পারো। দিনশেষে, তাই ঘটবে যা আল্লাহ চান। আল্লাহর ইচ্ছাই বাস্তবায়িত হবে।

তোমাদেরটা না। وَ مَا تَشَآءُوۡنَ اِلَّاۤ اَنۡ یَّشَآءَ اللّٰهُ - "তোমরা ইচ্ছা করবে না; যদি না আল্লাহ ইচ্ছা করেন।" (৭৬:৩০) অর্থাৎ আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতিরেকে তোমাদের কোনো ইচ্ছা সফল হতে পারে না। আল্লাহ ইচ্ছা না করলে তোমাদের ইচ্ছার কোনো মূল্য নাই।

এটি খুবই শক্তিশালী একটি স্টেটমেন্ট। অতীব পরাক্রমশালী একটি বিবৃতি। যেনো এভাবে বলা হচ্ছে, যাও, যা মনে করার করতে পারো। তোমাদের প্রত্যেকের বিচার হবে। একজনকেও ছাড়া হবে না। আল্লাহর ইচ্ছাই শেষ পর্যন্ত কার্যকর হবে। তোমাদের ইচ্ছা নয়।

- নোমান আলী খানের আলোচনা অবলম্বনে

পঠিত : ২৮৩ বার

মন্তব্য: ০