Alapon

হিজড়া, ট্রান্সজেন্ডার আর সমকামী বলতে আমরা কী বুঝি?



আমরা অনেকে ট্রান্সজেন্ডার (মনের লিঙ্গ), হার্মাফ্রোডাইট (হিজড়া/ তৃতীয় লিঙ্গ) আর হোমোসেক্সুয়ালদের (সমকামী) এক কাতারে এনে ভুল করি। বুদ্ধিবৃত্তিক হঠকারিতা ও আগ্রাসনের যুগে এই বিষয়টিতে আমাদের পরিষ্কার ধারণা থাকা প্রয়োজন।

ট্রান্সজেন্ডার বলতে বোঝায় ঐসকল মানুষদের যারা নিজেদের লিঙ্গকে নিজেদের মনের ইচ্ছা মত করে নির্ণয় করে। জীবনের যেকোন পর্যায়ে এরা নিজেদের জেন্ডার ডিফাইন করে। এমনকি অনেকে নিজের শরীরকেও পরিবর্তন করে ফেলে। এদের মধ্যে কেউ কেউ আবার পূর্বের জেন্ডারে প্রত্যাবর্তন করে। এর সাথে জৈবিক বা শারীরিক কোন সম্পর্ক নেই। তাই ছোট থেকে বড় হওয়ার প্রক্রিয়ায়, মনের প্রবৃত্তি/ফ্যান্টাসিকে প্রাধান্য দিয়ে এরা জেন্ডার নির্ণয় করে। এদের কাছে মনের লিঙ্গই বড় লিঙ্গ।

অন্যদিকে হার্মাফ্রোডাইটরা (হিজড়া) পুরোপুরি জৈবিক কারণ দ্বারা স্বতন্ত্র। তবে এদেরকে বাহ্যিক দৃষ্টি দিয়ে নির্ণয় করা যায় না। হার্মাফ্রোডাইট মানেই হচ্ছে এরা বাইরে থেকে দেখতে এক জেন্ডার মনে হয় কিন্তু ভেতরের জেনেটিক ওরিয়েন্টেশনে এরা অন্য জেন্ডার। অর্থাৎ বাইরের থেকে শারীরিকভাবে দেখে বা আচরণে মনে হবে সে মেয়ে কিন্তু ভেতরের অর্গান ছেলেদের মত। তাই হিজড়াদের ক্ষেত্রে কে ছেলে বা কে মেয়ে সেটা বাহ্যিকভাবে দেখে বলা যাবে না।

তাহলে আমরা কিভাবে ডিফাইন করব হিজড়াদের মধ্যে কে ছেলে বা মেয়ে? ছেলে বা মেয়ে হবার জন্য জেনেটিক বৈশিষ্ট্যই মূখ্য। ছেলে হতে হলে ক্রোমোজোমালি Xy হতে হবে আর মেয়ে হতে হলে XX. মূলত ভ্রূণাবস্থায় SRY জীনের কারণে y ক্রোমোজোমের অবর্তমানে গোনাড (ভ্রুণাবস্থার টেস্টিস/ওভারি) ফিমেইল ওভারিতে ট্রান্সফার হয়ে যায়। আর যখন y থাকে তখন গোনাডটা মেইল টেস্টিসে পরিণত হয়। অতএব ভ্রুণাবস্থাতে ৭সপ্তাহের পরে নির্ধারিত হয় সে ছেলে হবে, নাকি মেয়ে। স্বাভাবিকভাবে সমানসংখ্যক Xy বাবা থেকে আর XX মা থেকে আসে। এর মধ্য থেকে ভ্রুণ XX হয়, অথবা Xy হয়। কিন্তু এরমাঝে অনেকসময় ডিসজাংশন হয়। তখন ইকুয়াল ডিস্ট্রিবিউশন না হয়ে XXy, শুধু X0, শুধু y0 বা Xyy এর মত ম্যালডিস্ট্রিবিউশন হতে পারে। অর্থাৎ XX বা Xy ছাড়া বাকি জেনেটিক কম্বিনেশনে এবনর্মালিটি দেখা যায়।

এখন দেখব এই এবনর্মালিটিগুলোতে কিভাবে ডিফাইন্ড হয় কে ছেলে, কে মেয়ে। জেনেটিকভাবে X এর প্রাধান্য পেলে সে মেয়ে হবে আর y প্রাধান্য পেলে সে ছেলে হবে। তাহলে XXy বা X0 থাকলে সে হবে মেয়ে আর Xyy বা y0 হলে সে ছেলে হবে।

এখন জেনেটিকভাবে X এর প্রাধান্য থাকা মানে তার মধ্যে মানসিকভাবে ও শারীরিকভাবে মেয়েদের বৈশিষ্ট্য থাকবে। জেনেটিক এবনর্মালিটির একটি ধরণ হচ্ছে হার্মাফ্রটিটিজম। এর প্রভাবে ইন্টারনাল ফিমেইল সেক্স অর্গান হলেও তার এক্সটার্নাল মেইল সেক্স অর্গান থাকতে পারে। অর্থাৎ ভেতরে তার ফাংশনিং ওভারি থাকলেও বাইরে ডিসফাংশন্ড পেনিস বা স্ক্রোটাম থাকে যাতে প্যারাসিম্প্যাথিটিক স্টিমুলেশনে ইরেকশনও থাকতে পারে এবং ব্রেস্ট নাও থাকতে পারে। অর্থাৎ পেনিস থাকা সত্ত্বেও যেহেতু গোনাড এখানে ওভারি হয় তাই সে সুস্থ মানসিকতাতেও মেয়ে হবে।

অনুরূপভাবে জেনেটিকভাবে y এর প্রাধান্য থাকা মানে তার মধ্যে মানসিকভাবে ও শারীরিকভাবে ছেলেদের বৈশিষ্ট্য থাকবে। আবার তাদের মধ্যেও হার্মাফ্রডিটিজমের কারণে ফাংশনিং টেস্টিস থাকলেও পেনিসের পরিবর্তে ডিসফাংশন্ড ওভারিলেস ভ্যাজাইনা থাকতে পারে এবং ব্রেস্টও থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে সুস্থ মানসিকতাতেও সে ছেলেই হবে।
অর্থাৎ বাহ্যিকভাবে ভিন্ন জেন্ডারের অর্গান থাকলেও সেটা ফাংশনিং নাও হতে পারে। ফাংশনিং অর্গান যদি টেস্টিস হয় তবে সে মেইল এবং ফাংশনিং অর্গান ওভারি হলে সে ফিমেইল হবে। যেমন একজন 'হিজড়া'কে বাইরের অবয়ব দেখে মনে হচ্ছে সে ফিমেইল, মানে তার ব্রেস্ট আছে। কিন্তু কন্ঠ ছেলেদের মত। তাহলে সে কিন্তু মেইল। সে ফিমেইলের প্রতি এট্রাক্টেড হবে। মেয়েদের মত অঙ্গভঙ্গি করাটা মূলত তার অভিনয়। টাকা উঠানোর জন্য সে এই কাজটা মনের বিপরীতে করে। সে যদি কোন ছেলেকে পছন্দ করে সেটা হবে মেন্টাল ডিসঅর্ডারনেস। একইভাবে ছেলেদের মত দেখতে হলেও অনেকের ইন্টার্নাল অর্গানের উপর নির্ভর করে সে আসলে মেয়ে হয়ে যাবে এবং ছেলেদের প্রতি এট্রাক্টেড হবে। সে যদি তখন মেয়ের প্রতি এট্রাক্টেড হয় তবে সেটা হবে মেন্টাল ডিসঅর্ডারনেস।

এখন আসি হোমোসেক্সুয়ালিটিতে (সমকামিতা)। ট্রান্সজেন্ডারের মত হোমোসেক্সুয়ালদের এই ধরনের জেনেটিকাল এবনর্মালিটি বা ডিসঅর্ডার নাই। আছে মেন্টাল ডিসঅর্ডার। এইরকম সেক্সুয়াল ডিসঅর্ডারের অনেক রকমের উদাহরণ আছে। কেউ শিশুর সাথে, পরিবারের সদস্যের সাথে সেক্সুয়াল ডিসঅর্ডার দেখায়। কেউ ফিজিকাল ভায়োল্যান্সের মাঝে সেক্সুয়াল ডিসঅর্ডার দেখায়। এগুলো সবই মেন্টাল ডিসঅর্ডার। মানুষ অনিয়ন্ত্রিত সেক্সুয়াল এক্টিভিটিতে আবদ্ধ হয়ে বা পারিপার্শ্বিকতার প্রভাবে যখন স্বাভাবিক সেক্সে এট্রাক্টেড হয় না তখন এ ধরনের সেক্সুয়াল ডিসঅর্ডার দেখায়।

অর্থাৎ ট্রান্সজেন্ডার ও হোমোসেক্সুয়ালদের জন্য জীন দায়ী নয়। অনেকে কিছু কিছু জার্নালের বরাত দিয়ে বলে থাকে হোমোসেক্সুয়ালিটির জন্য জীনের এপিজেনেটিক্স বা বাহ্যিক পরিস্থিতে জীনের ক্যামিকাল কম্পোজিশনের চেইঞ্জ দায়ী, যা এখনো প্রমাণিত নয়। যদি প্রমাণিত হয়েও থাকে তাহলেও কিছু আসে যায় না। কারণ জীনের এরকম ইনফ্লুয়েন্স নেশার জন্যও হয়ে থাকে। তাই বলে কি আমরা বলব নেশার কারণ জেনেটিক?

একটা শিশু জন্মলগ্ন থেকে মিথ্যা বলে না। যখন সে দেখে সবাই মিথ্যা বলছে, মিথ্যা বলে মজা পাচ্ছে বা লাভ হচ্ছে তখন সে মিথ্যা বলা শুরু করে যেটা স্বাভাবিক সততার ডিসঅর্ডার। এখন এই ডিসঅনেস্টিকে ধর্মীয়ভাবে খারাপ বলি বা না বলি এই ডিসঅর্ডারগুলো এভাবেই একোয়ার্ড হয়।

এবার আসি সমকামি বা ট্রান্সজেন্ডারদের যৌন কার্যাবলীর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে।
প্রথমত এদের জীবনের একটা পর্যায়ে মেন্টাল সাইকোলজিকাল ট্রমা হয়। তার মনের স্বাভাবিক চাহিদা বিপরীত লিঙ্গ কিন্ত মেন্টাল ডিসঅর্ডারের কারণে সে সেটা পায় না বা চায় না। প্রথম প্রথম হয়ত সে খুব ফ্যান্টাসাইসড হবে কিন্তু দীর্ঘ সময় পর মেন্টাল ট্রমার মধ্যে পড়ে।

দ্বিতীয়ত প্রকৃত বিরুদ্ধ সেক্সুয়াল এক্টিভিটিতে সেক্সুয়াল অর্গানে মাইক্রো টিয়ারিং অথবা মাইক্রো ব্লিডিং বেশি হয়। ফলে এইডস, সিফিলিস, গনোরিয়া সহ মরণব্যাধি রোগ হয়।

তৃতীয়ত, আনহাইজিনিক সেক্সুয়াল এনভায়রনমেন্টের কারণে সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজগুলো অনেক বেশি হয়।

এখন অনেকে দাবী করতে পারে মানবিক দিক থেকে ট্রান্সজেন্ডার বা হোমোসেক্সুয়ালদের সামাজিক স্বীকৃতি দেয়া হোক। মানুষের যা করার বা হবার ইচ্ছা তারই স্বাধীনতা থাকতে দেয়া উচিত বলে একটা সমাজ তার স্বীকৃতি চাইতেই পারে। তবে সেটা নৈতিকভাবে সত্য বলে চাওয়াটা অযৌক্তিক। অনুরূপভাবে কোন সমাজের ক্ষুদ্র অংশ বা পুরো অংশ পরিবারের সদস্যকে বিয়ে করার স্বীকৃতি চাইতে পারে। মদ বা নেশা করার স্বীকৃতি চাইতে পারে। মদ খাওয়া খারাপ হলেও বেশিরভাগ সমাজ সেটার স্বীকৃতি দিয়েছে। একটা জাতি মানসিকভাবে বিকৃতির দিকে যেতে চাইতেই পারে। স্বীকৃতি চাওয়া বা দেওয়ার উপর কোন এক্টিভিটি ভাল না খারাপ সেটা নির্ভর করে না।

অনেকে আবার যুক্তির খাতিরে পশুদের ভেতরকার সমকামিতাকে সামনে আনেন। কথা হচ্ছে পশুদের মধ্যে তো অনেক কিছুই হয়। যেমন অনেক পুরুষ সিংহ মা সিংহের অগোচরে বাচ্চা সিংহকে মেরে ফেলে। একধরনের মেয়ে ঘাসফড়িঙ সেক্সের পরে পুরুষ ঘাসফড়িঙকে খেয়ে ফেলে। কিছু প্রজাতির মাকড়শার পেটের বাচ্চাগুলো অবশিষ্ট ডিমের পাশাপাশি মাকেও খেয়ে বড় হতে থাকে। হাঙরের পেটের ভেতর আগে জন্ম নেয়া বাচ্চাগুলো পরে জন্ম নেয়া বাচ্চাকে খেয়ে ফেলে। মানুষের জীবনযাপন তো আর পশুর কর্মকান্ড দ্বারা অনুসরণীয় নয়।

এবার আসি ইসলামে ট্রান্সজেন্ডারদের (হিজড়াদের) ব্যাপারে কি আছে? আল্লাহপাক কুরআনে সুরা আশশুরার ৪৯-৫০ নাম্বার আয়াতে বলেছেনঃ “আল্লাহরই হচ্ছে মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্ব। তিনি যা চান তাই সৃষ্টি করেন। তিনি যাকে চান কন্যাসন্তান দান করেন, আর যাকে ইচ্ছা করেন পুত্রসন্তান দেন, অথবা তিনি তাদের পুত্র ও কন্যায় মিলিয়ে দেন, আবার যাকে চান তাকে তিনি বন্ধ্যা বানিয়ে দেন। নিঃসন্দেহ তিনি সর্বজ্ঞাতা, সর্বশক্তিমান”। এখানে তৃতীয় কোন লিঙ্গের কথা বা ট্রান্সজেন্ডারদের কথা আলাদাভাবে উল্লেখ করা হয়নি।

ইসলামে 'হিজড়া' বা 'তৃতীয় লিঙ্গ' বলে আলাদা কোন সম্প্রদায় তৈরী করতে নিষেধ করা হয়েছে যার মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে অসাম্প্রদায়িকতা। তাদের আলাদা রকমের হওয়াটা একধরনের ফিজিকাল ডিসএবিলিটি। আর এই ডিসএবিলিটির জন্য কোন মানুষকে একঘরে করা বা অন্য সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত করা ইসলাম সমর্থন করে না। উপরোক্ত আয়াতে বন্ধ্যাদের কথা দিয়ে বোঝানো হয়েছে এটাও এক ধরনের ডিসএবিলিটি আর এই ডিসএবিলিটি আছে বলেই যে সে নারী বা পুরুষ হওয়া থেকে বঞ্চিত হবে তা নয়। ‘হিজড়া’দের মধ্যে যারা ছেলেদের বৈশিষ্ট্য নিয়ে জন্মায় ( মানসিক ও হরমোনাল) তাদের ছেলে হিসেবে ট্রিট করতে হবে ও সেই অনুযায়ী অধিকার দিতে হবে,অন্যদিকে মেয়ের মত হলে মেয়ে। মহানবী (সঃ)-এর সময় প্রশ্রাবের রাস্তা দেখে তা নির্ধারণ করা হত। তখনকার সময় ওটাই সর্বাধিক বৈজ্ঞানিক পন্থা ছিল। এখন আধুনিক যুগে এটা নির্ধারণ করার আরো অনেক ফলপ্রসূ পথ রয়েছে যা উপরে আলোচনা করলাম। চিকিৎসার মাধ্যমে তাদের স্বাভাবিকও করা যায় তবে বন্ধ্যাত্ব থাকে।

এখন প্রশ্ন আসতে পারে কেন আল্লাহপাক এদের এই ডিসএবিলিটি দিয়েছেন? ডিসএবিলিটি শুধু হিজড়াদের ক্ষেত্রে না, অনেক ক্ষেত্রেই রয়েছে। শারীরিক বা মানসিক। আল্লাহ্পাক এই সকল ডিসএবিলিটি দিয়েছেন আমাদের পরীক্ষা করার জন্য। আমরা আমাদের অবস্থানের জন্য শুকরিয়া বা ধৈর্য ধরছি কিনা, মানুষকে মানুষ হিসেবে মূল্য দিচ্ছি কিনা। আল্লাহ্ সবকিছুর মালিক ও সৃষ্টিকর্তা। উনি জানেন কিভাবে কি সৃষ্টি করলে আমাদের প্রকৃতভাবে পরীক্ষা করা যায়।

এবার আসি হোমোসেক্সুয়াল (সমকামিদের) বা ট্রান্সজেন্ডারদের ব্যাপারে ইসলাম কি বলে?উপরের আলোচনায় বুঝলাম যে এদের এক্টিভিটি এক ধরণের মেন্টাল ডিসঅর্ডার। ইসলামে নারী-পুরুষদের মাঝে স্বাভাবিক ও বৈধ সেক্সুয়াল এক্টিভিটিকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে যা মানুষের কল্যাণের জন্য আবশ্যকীয়। একজনকে হোমোসেক্সুয়াল বা ট্রান্সজেন্ডার হতে হলে যে ধরণের সেক্সুয়াল এক্টিভিটির মধ্য দিয়ে যেতে হয় সেই এক্টিভিটিগুলোকেই হারাম করা হয়েছে যাতে মানুষ সেই পথে আগাতে না পারে।

ব্যভিচারের মত যেকোন বিবাহবহির্ভূত যৌন সম্পর্কের জন্য একই শাস্তির বিধান রয়েছে।
তবে আল্লাহপাক সূরা আন-নিসার ১৫-১৬ আয়াতে বলেন, “তোমাদের মধ্য থেকে চার জন পুরুষকে স্বাক্ষী হিসেবে তলব কর। অতঃপর যদি তারা সাক্ষ্য প্রদান করে তবে সংশ্লিষ্টদেরকে গৃহে আবদ্ধ রাখ, যে পর্যন্ত মৃত্যু তাদেরকে তুলে না নেয় অথবা আল্লাহ তাদের জন্য অন্য কোন পথ নির্দেশ না করেন। তোমাদের মধ্য থেকে যে দুজন সেই কুকর্মে লিপ্ত হয়, তাদেরকে শাস্তি প্রদান কর। অতঃপর যদি উভয়ে তওবা করে এবং নিজেদের সংশোধন করে, তবে তাদের থেকে হাত গুটিয়ে নাও। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, দয়ালু।“

অর্থাৎ, প্রকাশ্য কর্মকান্ডের কারণে (তাফসির অনুযায়ী চারজন চাক্ষুস সাক্ষী প্রয়োজন- মানে তাদের প্রকাশ্যে কর্মকান্ড দেখতে হবে, অনুমান করলে হবে না, কারো কথা শুনলে হবেনা, শুধু একাকী দুজনকে দেখলে হবে না, কর্মকান্ড ঘটতে দেখতে হবে; তাদের হতে হবে সৎ; স্বাক্ষ্য নিতে হবে পৃথকভাবে; স্বাক্ষ্য না মিললে শাস্তি দিতে হবে সাক্ষ্যদাতাকে এবং ভবিষ্যতে ওই সাক্ষীর সাক্ষ্য আর কোথাও গ্রহণযোগ্য হবে না) শাস্তির বিধান হচ্ছে মৃত্যুদন্ড। আর অপ্রকাশ্য কর্মকান্ডের ক্ষেত্রে শাস্তি তখন হবে যখন উভয়ই স্বীকার করবে তবে তা মৃত্যুদন্ড নয়। শাস্তির পর তওবা করলে তাদের ক্ষমা করে দিতে হবে।

একজন শিশুর স্বাভাবিক বেড়ে উঠার জন্য সুস্থ স্বাভাবিক পরিবেশ যেমন প্রয়োজন তেমনি প্রয়োজন মানসিক সুস্থ চিন্তার আবহ। সেটা ধর্ম ও কর্মের মধ্য দিয়ে নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

আল্লাহু 'আলাম।

পঠিত : ৮৭০ বার

মন্তব্য: ০