Alapon

ড. ইয়াসির ক্বাদি যেভাবে ইসলামিক স্কলার হলেন...



১৯৯২ সালে অ্যামেরিকার ইউনিভার্সিটি অব হাউস্টনে জোনাইদ জামশেদ রাহিমাহুল্লাহ গান গাইতে যান। তখন তিনি ছিলেন একজন রকব্যান্ড, পাকিস্তান জনপ্রিয় গায়ক।

সেই ইউনিভার্সিটির এক মুসলিম যুবক জোনাইদ জামশেদের কনসার্টের বিরোধিতা করে। কম্পিউটারের মাধ্যমে লিফলেট ছাপায় (সেই যুগের অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়)।
লিফলেট ছাপিয়ে কনসার্টে আসা সবাইকে বিলি করছে আর বলছে, 'আপনারা জানেন না, গান শোনা হারাম?'

জোনাইদ জামশেদের কনসার্টের যারা গিয়েছিলো, তাদের বেশিরভাগই উপমহাদেশের মুসলিম ছিলো। যুবক তার জায়গা থেকে সবাইকে সচেতন করার চেষ্টা করেন।

২০০৭ সাল। লন্ডনে একটি কনফারেন্স হয়। প্রায় ৫০,০০০ মানুষ সেই কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করে। জোনাইদ জামশেদের জীবনে ততোদিনে ইউটার্ন ঘটে। তিনি হারাম সংগীত ছেড়ে দেন, কাপড়ের ব্যবসা ও নাশীদ, নাতে-রাসূল গাওয়া শুরু করেন।
সেই কনফারেন্সে জোনাইদ জামশেদ নাশীদ গান। আমাদের দেশে ওয়াজ মাহফিলে ওয়াজ শুরু আগে যেমন নাশীদ হয়, তেমনি তাঁর নাশীদের পর একজন আলোচক আলোচনা শুরু করেন।

মজার ব্যাপার হলো, আলোচক ছিলেন সেই 'যুবক', ১৫ বছর আগে যিনি জোনাইদ জামশেদের কনসার্টের বিরোধিতা করে লিফলেট বিতরণ করেছিলেন।

এই ১৫ বছরে আল্লাহ জোনাইদ জামশেদের জীবনের গতিপথ বদলে দেন, জেনারেল শিক্ষিত সেই যুবককে আলেম বানান। ১৫ বছর আগে একজন আরেকজনের বিরোধিতা করেন। ১৫ বছর পর তারা একই মঞ্চে ইসলামের বাণী প্রচার করেন।

সেই আলেম ছিলেন ড. ইয়াসির ক্বাদি।

- আরিফুল ইসলাম

পঠিত : ২৬১ বার

মন্তব্য: ০