Alapon

জ্বীন জাতিকে নিয়ে কিছু কথা...



আমাকে কি জ্বীন নিয়ে কখনো বলতে শুনেছেন? কখনো বলিনি জ্বীন নিয়ে? না।
আপনাদের জ্বীনের গল্প বলতে যাচ্ছি না আমি। কিন্তু কুরআনের জ্বীনদের ঘটনা বলবো। অসাধারন ঘটনা! আমার খুব পছন্দের ঘটনা।

পাঁচ মিনিটের জন্য বলবো। জ্বীনেরা আকাশে ঘুরে বেড়াতো। তারা ফেরেশতাদের কাছ থেকে তথ্যও চুরি করতো কখনও কখনো। একটুখানি তথ্য নিয়ে নিতো। এরপর পৃথিবীতে ফিতনা সৃষ্টি করতো সে অল্প একটু তথ্য দিয়েই। প্রত্যেকবার কিছু চুরির সময় তাদের উল্কাপিন্ড দিয়ে ধাওয়া করা হতো। যাইহোক।

তো তারা আকাশে যেতে অভ্যস্ত ছিল। আর তাদের ছিল “মাক্বাইদ আল সামা’।” মানে আকাশে কিছু স্থান ছিল যেখানে বসে বসে শুনতে পারতো। তারা এসব শুনতো। আড্ডা দেবার মতো কিছু জায়গা ছিল। মহাজাগতিক পার্কিং লট ছিল… বুঝতে পারছেন? বা কার পার্কস ছিল। দুঃখিত। মহাজাগতিক কার পার্কিং ছিল। সেখানে তারা গিয়ে কিছুক্ষণ অবস্থা করতো। একটু ধুমপান করতো গল্প করতো।
আচ্ছা? বুঝতে পারছেন? ধুম? হাহা!

তো যাই হোক। কিন্তু যখন কুরআন নাযিল হচ্ছিল, এটার বর্ননা সুরাতুল জ্বীনে আছে। যখন কুরআন আসছিল, পুরো আকাশ তালাবন্ধ (lockdown) করে দেয়া হয়েছিল। তাদের কিছু আড্ডা দেবার জায়গা ছিল, বলতো, “এই! তোরা কি চাঁদের ওইদিকে যাবি? আড্ডা দিলাম!”

তো তারা যাচ্ছে আর যেতেই দেখলো “নিরাপত্তা!” ফেরেশতাদের পুরো বাহিনী সম্পূর্ণ আকাশ ঢেকে রেখেছে। “অননুমোদিত প্রবেশ নিষেধ! ফিরে যাও অথবা গুলি করা হবে!”
তো সমস্ত জ্বীন সবাই আটকে আছে আকাশে না, পৃথিবীর ভেতর! সবাই পৃথিবীতে আটকে আছে। তাই পৃথিবীতে জ্বীনদের জনসংখ্যা তখন বেশী হয়ে গেলো, যেহেতু আকাশে যাবার সব রাস্তা বন্ধ। তারা বুঝতে পারছে না, “আকাশ লকডাউনে কেন? কি হচ্ছে এসব? আমরা যেতে পারছি না কেন?”
সবকিছু বন্ধ!

তো তারা পৃথিবীতেই বসে আছে, যাবার অন্য কোন জায়গা নেই।
তো একটি দল হেটে যাচ্ছিল। আর তারা কুরআন তেলাওয়াত শুনতে পেলো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের। শুনেই তারা বললো, “এই দাঁড়াও তো! এজন্যই তবে আকাশ বন্ধ হয়েছে!!!”

কারণ যখন আল্লাহ্‌ থেকে ওহী নাযিল হয়, আল্লাহ জীব্রিলকে পাঠান। কিন্তু তিনি তো মুতা’ঈন সাম্মা আমিন। জীব্রিল আলাইহিস সালাম এর বিশাল অনুসারী আছে। তাই আল্লাহ যা করলেন তা হলো, পুরো আকাশ লকডাউন করে দিলেন। জীব্রিল আলাইহিস সালাম যখন কুরআন নিয়ে আসেন, তাঁর সাথে আছে ফেরেশতাদের বিশাল বড় বাহিনী। আর কারোরই আকাশে প্রবেশের অনুমতি নেই।

পুরো ফেরেশতাদের বিশাল বাহিনী নেমে আসে যেন জিব্রীল রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কুরআন পৌঁছুতে পারেন। আর তারা যখন এর কয়েকটি শব্দ শুনলো, তারা বললো “আমরা জানি এটা কি। এজন্যই আকাশ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে!”
উফ! কি অসাধারণ!

তারা সাথে সাথেই চিনে ফেললো! এটাই এক অনন্য কুরআন। অনন্য অসাধারণ কুরআন। ঠিক? তারা বুঝতে পারে! তারা বুঝে ফেলেছিলো!

দেখুন, অন্যদিকে কুরাইশ এমন অপবাদ দিতো যে সম্ভবত তাঁকে শয়তান আছর করেছে! সম্ভবত এই কুরআন শয়তান থেকে আসে। অথচ সব শয়তান আর জ্বীনরাও বলছে, “আ… না! আমরা না! আমাদের তো মেরেই ফেলবে! আমরা তো কাছেই যেতে পারি না!”
হাহাহা
তাই না? সুবহানআল্লাহ!

- নোমান আলী খান

পঠিত : ২১৪ বার

মন্তব্য: ০