Alapon

শাহবাগী কলাবিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত পেঁচা ড্রোণ উন্মুক্ত করা হলো প্রজনন চত্ত্বরে



শাহবাগী কলাবিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত প্যাঁচা ড্রোণ প্রথম বারের মতো জনসম্মুখে আনা হয়েছে। আজ বেলা ১০টায় শাহ fuck (শাহবাগ) এর প্রজনন চত্ত্বরে (প্রজন্ম চত্ত্বর) চেতনা ধর্মানুসারীদের এক বিশাল র‍্যালির মাধ্যমে ড্রোণটি উন্মুক্ত করা হয়।

ড্রোণটি প্রদর্শনের পর এক সেমিনারের আয়োজন করা হয় প্রজনন চত্ত্বরে। সেমিনারের শুরুতে বক্তব্য রাখেন চেতনাধর্মের অন্যতম প্রধাণ পুরোহিত, বিশিষ্ট গর্তযোদ্ধা, ড্রোণাচার্য ষ্যাঁড় হরহরানন্দ শ্রী শ্রী জাফ্রিক কুমার বাল।

বক্তব্যে তিনি বলেন, “নতুন নতুন ড্রোণ বানিয়ে তাক লাগিয়ে দেয়াটা হাগার (হাজার) বছরের ক্যাঙালী সংস্কৃতির অংশ। ক্যাঙালী কলা বিজ্ঞানীরা হাগার হাগার বছর ধরে এভাবেই প্যাঁচা-ইঁদুর-বাঁদুর এর ড্রোণ বানিয়ে এসেছে। আমার নেতৃত্বে তৈরি করা এই ড্রোণ ট্রিলিয়ন বছরের ক্যাঙালী সংস্কৃতি রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রাখবে”।

বক্তব্যের আরো এক যায়গায় ড্রোনাচার্য বলেন যে, “বর্তমান সময়ে দেশে জ্বালানি সংকট চলছে। এই অবস্থায় ডিজেল, অকটেন – এসব দিয়ে ড্রোন চালানোটা অত্যন্ত ব্যাবহুল। তাই আমরা দেশীয় জ্বালানী ভাঁড়ত থেকে কম দামে কিনে আনা বিশুদ্ধ গো-মুত্র দিয়ে ড্রোণটি চালানোর কত্থা ভেবেছিলাম। পরে আমরা সফল ভাবে ড্রোণের কাজ শেষ করি। এখন ড্রোনটি দুনিয়ার এক মাত্র ড্রোণ যা গো-মুত্র দিয়ে চলবে। গো-মুত্রের তো আর উৎপাদন খরচ নাই। বেশি বেশি করে পানি খাওয়ালে গরু বেশি হিসু করবে। সেটা দিয়েই এই ড্রোণ চলবে”।

তারপর দ্বিতীয় বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন মূর্গিযুদ্ধের অপরাজেয় সেনাপতি, বিশিষ্ট মুরগী চোর, চেতনা ধর্মের প্রধান পুরোহিত, মুরগী যুদ্ধের অপরাজেয় সেনাপতি ফিল্ডমার্শাল শ্রী শ্রী মুরগী কবির আল শাহবাগী আল হিন্দুস্তানী আল-কলাবিজ্ঞানী।

বক্তব্যের শুরুতেই তিনি বলে উঠেন, “আজকে প্যাঁচা ড্রোণ আবিষ্কার শাহ fuck এর আকাশ প্রতিরক্ষাকে আরো জোরদার করলো। এতোদিন পর্যন্ত তুর্কি বায়রাখতার ড্রোণ গুলোই সারা পৃথিবী দাপিয়ে বেড়িয়েছে। এখন থেকে কলাবিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত প্যাঁচা ড্রোণ সারা পৃথিবী দাপিয়ে বেড়াবে। রাগাকারেরা সাবধান” ।

তৃতীয় বক্তা হিসেবে বমি পিয়াল অনলাইনে জুমের মাধ্যমে তার বক্তব্য দেন। তাঁর বক্তব্য শুনে অনেক শাহবাগীকেই চোখের জল ফেলতে দেখা যায়। কেউ কেউ চেতনায় উত্তেজিত হয়ে চেতনা দন্ডে হাত মারছিলো। কারো কারো আবার বক্তব্য শুনে উত্তেজনার চোটে চেতনার বীর্যপাত হয়ে যায়। এরপর ট্রিলিয়ন বছরের ক্যাঙালী সংস্কৃতি অনুযায়ী ভাঁড়তীয় এম্বাসি থেকে বিরিয়ানির গাড়ী এসে পৌছায়। ভাঁড়তীয় বিরিয়ানীর গাড়ী দেখেই তার উপর হুমরি খেয়ে পড়ে শাহবাগীরা। জানা গেছে বিরিয়ানীর প্যাকেট নিয়ে টানাটানীর সময় শাহবাগীদের দুই অংশ নিজেদের মধ্যে মুর্তিযুদ্ধে লিপ্ত হয়ে যায়। পরে ড্রোণাচার্যের হস্তক্ষেপে যুদ্ধ থামে।

যুদ্ধের পর মুরগীর রানে কামড় দিয়ে শ্রী শ্রী চিকেন কবির বলেন, “আহা, যে যতো কথাই বলুক। স্বাদের দিক থেকে ভাঁড়ত থেকে আনা বিশুদ্ধ গো-মুত্র খোর উগ্র হিন্দুত্ববাদী মুরগীরাই সেরা। অথচ বাংলাদেশের বাজার এখন দখল করে আছে মৌলবাদী পাকিস্তানী মুরগীরা। এটা কুনো কথা? এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”

সে সময় হারপিক মজুমদার এসে বললো, “ঠিক, ঠিক। আজকাল মৌলবাদী পাকিস্তানী মুরগীদের জন্য ভাঁড়তের সুস্বাদু মুরগীর চাহিদা কমে গেছে। তবে যাই বলেন আমার আবিষ্কৃত হারপিকের চাহিদা কমে নি। বরং বেড়েছে। হে হে হে!”

খাওয়া দাওয়ার পর ট্রিলিয়ন বছরের ক্যাঙালী সংস্কৃতি অনুযায়ী রবিদাদুর গান পরিবেশন এর মধ্যে দিয়ে শেষ হয় অনুষ্ঠান।

-ড. মোহাম্মদ আলী
স্টাফ রিপোর্টার, চেতনা টিভি।

পঠিত : ৩২৮ বার

মন্তব্য: ০