Alapon

হালাল হারামের তফাৎ..

হালাল হারামের তফাৎ না বুজলে,দিন শেষে হারাম খেয়েও তৃপ্তির ঢেকুর তুলে আলহামদুলিল্লাহ বলার মাঝে কোনো মুল্য নেই। তোমার আলহামদুলিল্লাহ বলা তখন তোমার মুখের মাঝেই সিমাবদ্ধ।
সারা সপ্তাহে মসজিদের ধারে কাছেও তোমার পা পড়ে না ভাই,,জুমার দিনে মসজিদে ঢুকার আগেই পাড়ার মোড়ে চায়ের দোকান থেকে চা সিগারেট খেয়ে অজু করে মসজিদে দু-রাকাত নামাজ পড়ে মোনাজাত দেওয়ার আগেই বের হয়ে টুপি মাথায় জায়নামাজ কাধে নিয়ে সেলফি তুলে ফেইজবুজে পোষ্ট দিলে আলহামদুলিল্লাহ লিখে। তোমার এই আলহামদুলিল্লাহ বলা তোমার মুখের মাঝেই সিমাবদ্ধ ।
কেননা, আমলের ইখলাসিয়ত তোমার মাঝে ছিলো না ভাই।
মাথা থেকে পা পর্যন্ত বোরকা দিয়ে ঢেকে, তুমি বোন টিকটক স্টাইলে চলাফেরা কর। দিন শেষে সেলফি তুলে নিজেকে বোরকা ওয়ালি সাজিয়ে ফেইজবুকে পোষ্ট দিলে আলহামদুলিল্লাহ বলে, তোমার এই আলহামদুলিল্লাহ বলা তোমার মুখের মাঝেই সিমাবদ্ধ। কেননা,তোমার এই পর্দা পালনে ইখলাসিয়ত ছিলো না বলে।
সারা বছর সুদ ঘুষ খেয়ে, ছেলে সন্তান সেই টাকায় মানুষ করলে। দিন শেষে বৃদ্ধ বয়সে হাজী সাহেব উপাধির জন্য সেই টাকায় হজ্ব ও পালন করে আসলে। তোমার সেই হজ্ব শুধু তোমার পবিত্র ভুমিতে আসা যাওয়ার মাঝেই সিমাবদ্ধ, রবের কাছে তার গুরুত্ব একদমেই মুল্যহীন।কারন রব চেয়েছিলো ফি সাবিলিল্লাহ।
আর তুমি করেছো বাটপারি, হালাল পথের কামাই কই তোমার??
সব শেষে আমল শুধু কাজ হিসেবে ভেবো না, যা শুধু আদায় করে নিলেই কবুল হয়ে যাবে,,। তার সাথে
অন্তরে রবের প্রতি একনিষ্ঠতা বিদ্যমান থাকাটাও জরুরী। যাকে বলে ইখলাসিয়ত। শুধু আমল করেই কি জান্নাতের আশা কর?? রবের সন্তুষ্টি অর্জনে কত টুকুন বা নিজেকে সপেছো তার কাছে,সেই হিসাব কি রাখো??
✍️সালমান হায়দার খন্দকার
25/02/22

পঠিত : ১৬৩ বার

মন্তব্য: ০