Alapon

জাহেলি যুগের চ্যালেঞ্জ...



বলা হচ্ছে বায়োলজিক্যাল সেক্স হচ্ছে মিথ বা মিথ্যা বা অতিরঞ্জিত! মনের ইচ্ছাই নাকি যথেষ্ট ছেলে বা মেয়ে হতে! বিশ্বের নামকরা পত্রিকায় শিরোনাম হয়- 'The Myth Of Biological Sex'।

নারী বা পুরুষে সেক্স ক্রোমোজমের (Y chromosome) কি হবে? এটাকেও অস্বীকার করা হবে? মানুষের ক্ষেত্রে এটি এতই শক্তিশালি সিস্টেম যে অস্বীকার করবে তা পুরো বায়োলজিক্যাল সায়েন্সকেই অস্বীকার করতে হবে।

ছেলে-মেয়ে সংক্রান্ত যত শব্দ আছে তা ডিকশনারীতে পরিবর্তন করা হচ্ছে। এবং সবাইকে এটি সুবোধ বালক-বালিকার (এটাও কিন্তু জেন্ডা-র সেনসেটিভ শব্দ হয় গেল!, দেখলেন তো কথা বলাও কত কঠিন!) মানতে বাধ্য করা হবে।

যে এটি বিশ্বাস করবে না তাকে জনসম্মুখে নাকি খত দেয়ার সিস্টেম চালু করেছে পশ্চিমা দেশে। আপনি যেই হোন না কেন কোন ছাড় নেই।

বিখ্যাত হ্যারি পটার বই এর লেখক একটি আর্টিকেল (“the menstrual health and hygiene needs of girls, women and all people who menstruate.”) পরোক্ষ্যভাবে একটি মন্তব্য করে বলেছিলেন - মেয়েদের-ই শুধু মাসিক হয়, তাহলে পিপলের কথা আসছে কেন, তিনি টুইট করে- “‘People who menstruate.’ I’m sure there used to be a word for those people. Someone help me out. Wumben? Wimpund? Woomud?

J K Rowling কে এজন্য ট্রা-ন্স-ফোবিক ট্যাগ দিয়ে নিন্দার ঝড় বইয়ে দেয়া হয়। তিনি সমালোচনার আলোকে বলেছিলেন- If sex isn’t real, the lived reality of women globally is erased,
অর্থাৎ যদি সেক্স যদি সত্যি না হয় তবে নারীদের জীবিত বাস্তবতা মুছে যায়। নারী বলে কিছুই থাকবে না।

মনের ইচ্ছা-স্বাধীন ছেলে-মেয়ে ইস্যু নিয়ে পশ্চিমে যারা মুখ খুলেছেন তাদের কাছে ধর্মীয় নৈতিকতার মুখ্য নয়। তারা সামাজিক রীতি-নীতি অনুযায়ী প্রতিবাদ করতে চেষ্টা করছেন। কিন্তু তাদের ঠান্ডা করে দেয়া হচ্ছে বিভিন্নভাবে (জব খেয়ে দেয়া, জেলে ভরা, ভয় দেখিয়ে...)

জেন্ডা-র ইস্যুটি পশ্চিমা নৈতিকভাবে মেনে নিয়েছে যা বিভিন্ন জরীপে উঠে এসেছে। সমস্যা করে টা-ন্স ইস্যু নিয়ে। নৈতিকভাবে মেনে নিলেও প্রায় ৭০% পিতামাতা চান না তাদের সন্তানে এমন ঘটুক!

বিশ্বব্যাপী সামাজিকরণে মুসলিমরাই একমাত্র চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাড়িয়েছে। এটা মুসলিমদের শক্ত ধর্মীয় ইস্যু কেননা এটা এর উপর দাঁড়িয়ে ইসলামের অনেক আকিদা (বিশ্বাস) এবং প্র্যাক্টিশ সংক্রান্ত ইস্যু।

যেসমস্ত পশ্চিমা ইসলামিক স্কলার এই বিষয়ে কথা বলতেন তাদেরকেও থামিয়ে দেয়া হয়েছে। পাবলিক টক দিতে দিচ্ছে না।

ইংল্যান্ডের বিখ্যাত মসজিদের ঈমাম ঝামেলা এড়াতে এই বিষয়ে সেলফ-সেন্সরড করেছেন। হামজা ইউসুফের জয়তুনা ইন্সটিউটের এক প্রফেসরসহ অন্যরা হিজরত, হোম স্কুলিং এর ব্যাপারে আলোচনা করছেন।

এই বিষয়ে বিখ্যাত পশ্চিমা ইসলামিক স্কলার Shaykh Abdal Hakim Murad (মুসলিম কনভার্ট, প্রফেসর) সাম্প্রতিক আলোচনা শুনতে কমেন্ট লিঙ্ক ভিজিট করতে পারেন।

পঠিত : ২৩৯ বার

মন্তব্য: ০