Alapon

আমাদের জান্নাতে যাওয়ার জন্য আশাবাদী হতে হবে...



মানুষ বিভিন্ন ধরণের পুণ্যের কাজ করে থাকে। কারো পক্ষেই সকল ভালো কাজ সমানভাবে করা সম্ভব নয়। কিছু মানুষ রোজা পালনে দক্ষ। এটা তাদের প্রধান সওয়াবের কাজ। অন্য কেউ হয়তো দান-সদকার কাজে উত্তম। এটাই তার প্রধান ভালো কাজ। এভাবে যার যে ধরণের পুণ্যের কাজের প্রতি ঝোঁক বেশি, সে ঐ কাজ বেশি বেশি করে বা ঐ কাজে সে বেশি দক্ষ। তার আমলনামায় ঐ ভালো কাজের পরিমাণ বেশি।

তাই, যে ভালো কাজ আল্লাহ আপনার জন্য সহজ করে দিয়েছেন এবং আপনার কাছে অতিশয় মূল্যবান মনে হয়, যত বেশি পারেন তা করতে থাকুন। এটাকে আপনার প্রধান অভ্যাসে পরিণত করুন।

কেন? কারণ, আপনাকে জান্নাত দেওয়া হবে আপনার ঐ কাজের উপর ভিত্তি করে যে কাজটা আপনি খুবই আগ্রহ সহকারে বারবার করতেন। সবকিছু উজাড় করে যা করতেন। যেটা আপনি সবচেয়ে বেশি সংখ্যকবার করেছেন। যে কাজটা নিয়মিত করতেন।
জান্নাতে প্রবেশের আটটি দরজা আছে। আটটি ক্যাটাগরি আছে। যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি অন্তত একটিতে খুব ভালো করেন, ইনশাআল্লাহু তায়ালা ঐ দরজাগুলোর একটি আপনাকে প্রবেশ করার আহ্বান জানাবে।

এমন অনেক মানুষ থাকবে যাদেরকে দুইটি দরজা আহ্বান করবে। সে তখন পছন্দ করতে পারবে কোনটা দিয়ে সে প্রবেশ করবে। কাউকে তিনটি, কাউকে চারটি এভাবে কাউকে কাউকে আটটির সবগুলো নাম ধরে আহ্বান করবে।

আবু বকর (রা) যখন রাসূলুল্লাহ (স) এর কাছে জান্নাতে প্রবেশের আটটি গেইটের কথা শুনছিলেন, তখন তিনি কী জিজ্ঞেস করেছিলেন জানেন? আমরা শুনলে ভাবতাম যদি কোনো একটা দিয়ে প্রবেশ করতে পারি, যদি শুধু একটা গেইট আমার নাম ধরে আহ্বান করে তাহলেই যথেষ্ট।

কিন্তু দেখেন আবু বকর (রা) এর দৃষ্টি কোথায়? অন্য লেভেলের চিন্তা ভাবনা। তিনি কোনোমতে হামাগুড়ি দিয়ে কিভাবে জান্নাতে প্রবেশ করা যায় সেকথা জিজ্ঞেস করছেন না। তাঁর লক্ষ্য হলো কিভাবে নাম্বার ওয়ান হওয়া যায়। এ জন্যই তিনি আবু বকর।
তিনি জিজ্ঞেস করলেন- ও আল্লাহর রাসূল! এমন কেউ কি থাকবে যাকে সবগুলো গেইট একইসাথে আহ্বান করবে?

তাই, উচ্চাশা রাখুন। উচ্চাকাঙ্ক্ষা রাখুন। জানি সে লেভেলে পৌঁছা খুবই কঠিন। কিন্তু যদি ইচ্ছাও না করেন কিভাবে সেখানে পৌঁছবেন!!

তখন রাসূলুল্লাহ (স) বললেন- ও আবুবকর! আমি আশাবাদী, আটটি গেইটের সবগুলো যাদের আহবান করবে তুমি তাদের মধ্যে একজন।

- ড. ইয়াসির কাদির আলোচনা থেকে

পঠিত : ২০৫ বার

মন্তব্য: ০