Alapon

"শেখ আহমেদ ইয়াসিন : ফিলিস্তিনি মুসলিমদের মুক্তির প্রতিকৃত"




ইসরাঈলী ইহুদিবাদীদের বর্বরতা আমরা সকলেই কমবেশি জানি। তবে শুরুর দিকের মাত্র একটা ঘটনাই-ই বলি, সেটা হচ্ছে এই বর্বর সন্ত্রাসীরা যখন ফিলিস্তিন দখল করে ইহু/দিবাদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্যে নেমেছে, শুধু সেদিনই তারা ফিলিস্তিনের সাফুরিয়া নামক একটা গ্রাম দখল করে ৫ হাজারেরও বেশি মানুষকে ছন্নছাড়া করে দেয়। মানে একদিনেই এটা করেছে। তা-ও শুরুর দিকেই। যাদেরকে তারা ছন্নছাড়া করেছে, সেই নীরিহ মাজলুম মানুষগুলো পরবর্তীতে আর জীবনেও নিজেদের ভিটে-মাটিটাও ফিরে পায়নি।

এই যখন অবস্থা ফিলিস্তিনের মাজলুম মুসলমানদের, তখন তারা মুক্তির দিশা খুঁজছিলো, নিজেদের জন্য তারা খুঁজে ফিরছিলো একজন যোগ্য নেতৃত্ব। আর তখনই একজন পঙ্গু মানুষ মাজলুমদের পক্ষ থেকে কুখ্যাত জালিম শক্তি ইহুদীবাদি পিচাশদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন কঠোরভাবে। শক্ত হয়ে।

একটা বিষয় খেয়াল করুন, একজন মানুষের ঈমানি ইমারাত কতোটা শক্ত হলে নিজে পঙ্গু হওয়ার পরেও পৃথিবীর সবচেয়ে দুধর্ষ একটা শক্তিশালী সন্ত্রাসী রাষ্ট্রের জম হয়ে উঠতে পারে, ভাবতে পারেন? চিন্তা করতে পারেন, কতোটা আত্মবিশ্বাস থাকলে এমন একজন মানুষ মাজলুমদের মুক্তির অগ্রসেনানী হিসেবে নেতৃত্বের আসনে সমাসীন থাকতে পারেন?

এই যে মানুষটা, এই মানুষটার নাম কি, জানেন? তাঁর নাম শেখ আহমেদ ইয়াসিন। তাঁর জীবনাকাশে অনেকগুলো পরিচয় প্রস্ফুটিত হয়ে ফুটে থাকলেও তাঁর মূল পরিচয় হচ্ছে তিনি একজন অদম্য ও নির্ভিক মুজাহিদ। ইসলামি আন্দোলনের প্রবাদপ্রতীম অগ্রপুরুষ। জিহাদের ময়দানের একজন সিংহ পুরুষ।

কুরআনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বলেছেন,
"আল্লাহ সংগঠিত হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে জিহাদকারীদেরকে ভালোবাসেন।"( সূরা সফ-০৪)।

কুরআন থেকেই আমরা জানতে পারি যে, জিহাদ করার জন্যে প্রয়োজন সংগঠিত থাকা ও হওয়া। তাই তো তিনি ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী ঈমানদার মানুষদেরকে নিয়ে একটা সংগঠন খুলেছেন, নাম তার হামাস।

ইসলামের জন্যে লড়াই করতে হলে প্রয়োজন ইসলামের যথার্থ জ্ঞান । তাই তো তিনি ফিলিস্তিনের তরুণদের শিক্ষা দেওয়ার জন্যে গাজায় একটি ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ও খুলেছেন।

এই মহান মুজাহিদ ২০০৪ সালের ২২ মার্চ ভোরে হুইল চেয়ারে করে ফজরের সালাত আদায় করতে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন, আর তখন মসজিদে যাওয়ার পথেই সন্ত্রাসী ও নরাধম ইসরাঈল তাঁকে হেলিকাপ্টার থেকে বোমা নিক্ষেপ করে শহিদ করে দেয়। দুনিয়া থেকে চিরবিদায় গ্রহণ করেন ফিলিস্তিনি মুসলমানদের জাগরণের এই মহানায়ক।

তিনি দুনিয়া থেকে বিদায় নিলেও তার শুরু করা আন্দোলন বিদায় নেয়নি। বরং তাঁর রেখে যাওয়া আন্দোলনের কর্মীরা আজো বর্বর পিচাশ ইহুদিবাদীদের বিরুদ্ধে অব্যাহত রেখেছেন জিহাদের সুমহান কর্মজজ্ঞ।

আল্লাহ রব্বুল আলামিন এই মর্দে মুজাহিদকে শাহাদাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করুন। ইহুদিবাদীদের পতনের মাধ্যমে তাঁর রেখে যাওয়া আন্দোলনের কামিয়াবি ও সফলতা দান করুন। আ-মী-ন!

~রেদওয়ান রাওয়াহা
https://t.me/RedwanRawaha

পঠিত : ২৬৪ বার

মন্তব্য: ০