Alapon

প্রথম আলো এবং বন্ধ মিডিয়া : সকলের অধিকার ফিরিয়ে দেয়া হোক


দৈনিক প্রথম আলোর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবেদক এখন কারাগারে। স্বাধীনতা দিবসের একটি সংবাদ বা ফটোকার্ড নিয়ে সরকার এবং সরকার পক্ষের লোকজন এখন খুব ভালোভাবে সরব প্রথম আলোর বিরুদ্ধে। তার গ্রেফতার নিয়ে যে নাটকীয়তা হয়েছে তা আমাদের সকলেরই জানা অছে, এ নিয়ে নতুন কিছু লিখতে চাই না। গভীর রাতে তার বাসায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে তাকে তুলে আনা হয়েছে। প্রথমে অস্বীকার পরে স্বীকার করা হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর এ কাজটি যে এবারেই নতুন বিষয়টি এমন নয়। বিগত দেড় দশক ধরে এ কাজ চলছে, কারো বিষয় স্বীকার করা হয়, কারো বিষয় স্বীকার করা হয় না। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে ধরে নিয়ে যাবার পর কারো বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হলে ঐ ব্যক্তির ভাগ্য ভালো বলতে হবে। কিন্তু যাদের বিষয়গুলো স্বীকার করা হয় না। দূর্ভাগ্য ঐ ব্যক্তির আর তার পরিবারের। তার পরিবারের সদস্যরা আর জানতে পারে না। কোথায় কিভাবে তাকে রাখা হয়েছে। দৈনিক প্রথম আলোর বিরুদ্ধে এক ধরনের মিডিয়া ট্রায়াল এবং রাজনৈতিক অভিযান চলছে। প্রথম আলোর পক্ষেও সরব আছেন আনেকে। তার আগে আমাদের একবার পেছনে ফেরা দরকার বলে মনে করি। এ সরকারের আমলে নানান অযুহাতে ইতঃপূর্বে বহু মিডিয়া বন্ধ হয়ে হেছে, বহু সাংবাদিককে হেনস্থা, আটক এবং দেশ ছাড়া করা হয়েছে। এ জন্য মোটা দাগে কয়েকটি ঘটনা অতি সংক্ষেপে সামনে নিয়ে আসতে চাই।


আমার দেশ ও মাহমুদুর রহমান
২০০৪ দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা প্রথম প্রকাশিত হয়। এরপর এক এগারো সরকারের আমলে পত্রিকাটি তৎকালীন সরকারের রোশানলে পড়ে বন্ধ হবার উপক্রম হয়। তখন পত্রিকাটি নতুনভাবে নতুন আঙিকে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে আসেন দেশের বেশ কিছু চিন্তাশীল মানুষ। সম্পাদকের দায়িত্ব নেন জনাব মাহমুদুর রহমান। ২০০৮ সালে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর আমার দেশ সরকারের নানান অসঙ্গতি আর দূর্নীতি দুরাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার কণ্ঠ হয়ে আবির্ভূত হন। আওয়ামী দূর্নীতির নানান খবর প্রকাশের কারণে ২০০৯ সালেই পত্রিকাটির বিরুদ্ধে ২৫ টি মামলা করা হয়। ২০১০ সালের ১ জুন মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। পত্রিকাটির অফিসে তালা লাগিয়ে প্রকাশনা বন্ধ করে দেয়া হয়।

আদালতের রায়ে পত্রিকার প্রকাশনা অব্যহত থাকলেও আমার দেশ সম্পাদককে কারাগারেই দিন কাটাতে হয়। এত কিছুর পরও আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হতে থাকে ফ্যাসিবাদ বিরোধী নানা সংবাদ। আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারকদের স্কাইপে কেলেঙ্কারী, গণ আদালত, শাহবাগ মঞ্চসহ বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশের কারণে সরকারের আবারো খড়গহস্ত হয় পত্রিকাটির ওপর। ২০১৭ সালে কুষ্টিয়ার আদালতে সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের ওপর ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা চালায় নজিরবিহীন নির্যাতন। বন্ধ হয়ে যায় আমার দেশের প্রকাশনা। সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান এবং অলিউল্লাহ নোমানের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দেয়া হয়। অবশেষে তারা দেশ চাড়তে বাধ্য হন।


দিগন্ত টেলিভিশন ও ইসলামিক টেলিভিশন
শাহবাগে তথাকথিত গণজাগরণ মঞ্চ নামক কতিপয় রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট তরুণের জমায়েতকে সরকার সমর্থক সকল মিডিয়া প্রতিদিন ফলাও করে প্রচার করতে থাকে। এর সাথে উত্থান ঘটে কিছু ধর্ম বিরোধী বøগারের। তারা প্রতিনিয়ত ইসলাম, ইসলামী আদর্শ, আল্লাহ, রাসূল এবং ইসলামী আদর্শের বিরুদ্ধে নানান কুৎসমূলক লেখা প্রকাশ করতে থাকে। এর বিরুদ্ধে উত্থান ঘটে হেফাজতে ইসলামীর। শাপলা চত্বরে অনুষ্ঠিত স্মরণকালের সর্ববৃহৎ সমাবেশ। এ সমাবেশের লাইভ টেলিকাষ্ট করে দিগন্ত টেলিভিশন ও ইসলামিক টেলিভিশন। লাইভ অনুষ্ঠান চলাকালেই আইন শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে এ টেলিভিশন চ্যানেল দুটির প্রকাশনা বন্ধ করে দেয়। সাময়িক নিষেধাজ্ঞার আড়ালে এখানো বন্ধ আছে টেলিভিশন চ্যানেল দুটির প্রকশনা।
বন্ধ করে দেয়া হয় চ্যানেল ওয়ান, মালিকান কেড়ে নেয়া দৈনিক যায় যায় দিন পত্রিকার।
সরকারের কর্তৃত্ববাদী এ সকল আচরণের ব্যাপারে তখন প্রথম আলো কিন্তু নিরব ভূমিকা পালন করেছিলো। শুধু নিরব ভূমিকা নয়, সরকার সমর্থক অনেক মিডিয়া বরং সরকারের এ সকল ফ্যাসিবাদী কার্যক্রমকে সমর্থন করেছিলো। আজ যখন প্রথম আলোর বিরুদ্ধে সরকার খড়গহস্ত তখন প্রথম আলোকে নিজেদের অতীত ভূমিকা সম্পর্কে একবার একটু ভাবা দরকার বলে মনে করি।

আবুল আসাদের ওপর পৈশাচিক নির্যাতন
দৈনিক সংগ্রাম সম্পাদক জনাব আবুল আসাদ একজন বর্ষীয়ান সাংবাদিক। ক্ষুরধার লেখনি, ইতিহাস অম্বেষা এবং জাতিসত্বার শেকড় সন্ধানী লেখক হিসেবে তার সমতূল্য সাংবাদিক বর্তমান মিডিয়া জগতে খুব কমই আছে। সরকারের প্রত্যক্ষ্য ও পরোক্ষ সহযোগতায় দৈনিক সংগ্রাম অফিসে একটি ভূইফোড় সংগঠন হামলা করে আবুল আসাদকে শারিরীকভাবে নির্যাতন করে। তাকে তার অফিস থেকে তুলে নিয়ে আসে এবং পুলিশ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করার পরিবর্তে আবুল আসাদকে গ্রেফতার করে। বর্ষীয়ান এই সাংবাদিক দুই বছর কারান্তরীন থাকেন। একই ঘটনায় পরবর্তীতে গ্রেফতার করা হয় রুহুল আমীন গাজীকে। তিনিও দুই বছর যাবৎ কারান্তরীণ ছিলেন।

এ সকল ঘটনায় প্রথম আলো কি কোনো প্রতিাবদী লেখা কিংবা সংবাদ ছেপেছিলো ? একাবাক্যে উত্তর হবে না। বরং আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ হওয়ার পেছনে প্রথম আলোর প্রকাশ্য ভূমিকা তখন অনেকেরই নজর এড়ায়নি।

এরপরও প্রশ্ন থেকে যায়
প্রথম আলো অতীতে সরকারের অন্যায় কাজের সমালোচনা করেনি কিংবা বিভিন্ন মিডিয়া বন্ধ হওয়ার পর তারা প্রতিবাদ করেনি। এ জন্য বিবেকবান নাগরিক হিসেবে প্রথম আলোর বিরুদ্ধে সরকারের অন্যায় আচরণের প্রতিবাদ করবো না, তা হয় না। অন্যায়, সব সময় অন্যায়, সেটা যার বিরুদ্ধে হোক, যিনি করুক। অন্যায়ের প্রতিবাদ করা বিবেকবান নাগারিক হিসেবে সকলের দায়িত্ব। সেই বিবেকের তাড়না থেকে সরকারের এই আচরণের প্রতিবাদ করছি।


মিডিয়া এবং জনগণের বাক স্বাধীনতা হরণের কালো আইন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন

সরকার তার কর্তৃত্ববাদী আচরণ দ্বারা নানাভাবে জনগণের কণ্ঠকে রোধ করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। মানুষ এখন কথা বলতে ভয় পায়। স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা কতটুকু স্বাধীন, এ প্রশ্ন করাও আজ ভারী অন্যায়। জীবন নিয়ে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার এবং জীবনকে যথার্থভাবে উপভোগ করার ব্যারোমিটারে কিছু কাল্পনিক রেখা টানা হয়েছে। কর্তৃত্ববাদের যাতাকলে পিষ্ট মানুষগুলো কথাবলে লাল নীল ব্যারোমিটারের অঙ্কিত রেখা অনুসরণ করে। কর্তৃত্ববাদের ধারক এবং বাহকরা গোটা দেশ এবং দেশের জনগণকে দেখে লাল নীল হলুদ চশমার রঙিন আবয়বে। মানুষের কষ্টগুলো মানুষ বলতে পারবে না। ‘‘আজ মন ভালো নেই’’ সোস্যাল মিডিয়ায় এ কথা লিখলেও নাকি ভারী অন্যায় হয়ে যাবে এবং যে কোনো সময় তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়ে যেতে পারে। দের দশকের কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থায় সকল যায়গায় একদল আতেল, মোসাহেব এবং তক্ষক তৈরী হয়েছে, যারা কর্তৃত্ববাদের ভিতকে মজবুত করার কাজে নিজেদের চেষ্টা তদবিরের অন্ত রাখে না। এর সাথে নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। দেশের সকল বিবেকবান মানুষ এই আইন বাতিলের দাবী জানিয়েছে। মূলত এই আইনেই বর্তমানে সাংবাদিকদের ঘায়েল করা হচ্ছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলে আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ

বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টার্ক। 31 মার্চ 2023 শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি এই আহ্বান জানিয়েছেন।
ভলকার টার্ক বলেছেন, ‘আমি উদ্বিগ্ন যে বাংলাদেশজুড়ে সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীদের গ্রেপ্তার, হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শন এবং অনলাইনে সমালোচকদের কণ্ঠরোধ করতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করা হচ্ছে। আমি পুনরায় কর্তৃপক্ষের প্রতি অবিলম্বে এর প্রয়োগ স্থগিত এবং এই আইনকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে এর বিধানাবলিতে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার আহ্বান জানাচ্ছি।’
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কার্যকর হওয়ার পর থেকে এই আইনে দুই হাজারের বেশি মামলা হয়েছে। সর্বশেষ ২৯ মার্চ বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ দৈনিক সংবাদপত্র প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান এর শিকার হয়েছেন। বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়েছে। সঙ্গে তাঁর ল্যাপটপ, ফোন ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করে নেওয়া হয়েছে। তাঁর জামিনের আবেদন নাকচ করা হয়েছে।
দ্বিতীয় আরেকটি মামলায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান এবং একজন আলোকচিত্রী সাংবাদিককেও আসামি করা হয়েছে। এই মামলা করা হয়েছে বাংলাদেশে জীবনযাপনের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় সৃষ্ট সংকট নিয়ে একটি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে।
গত ফেব্রুয়ারিতে পরিতোষ সরকার নামের এক তরুণকে এই আইনের আওতায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, একটি ফেসবুক পোস্টে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছেন তিনি।
ভলকার টার্ক বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কয়েকটি ধারা নিয়ে তাঁর দপ্তর থেকে ধারাবাহিকভাবে উদ্বেগ জানানো হচ্ছে। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার এই আইনের অপপ্রয়োগ বন্ধে সুরক্ষাকবচ রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু যখন গ্রেপ্তার করা অব্যাহত রয়েছে, তখন তাদের এই প্রতিশ্রুতি যথেষ্ট নয়। খোদ এই আইনকেই যথাযথভাবে ঢেলে সাজানো দরকার।
বর্তমানে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যেসব সব মামলা রয়েছে সেগুলো পর্যালোচনার জন্য একটি স্বাধীন বিচারিক প্যানেল গঠনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার। তাঁর ভাষ্যমতে, এই পর্যালোচনা করা হবে যেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা মুক্তি পান।
বাংলাদেশে নিবন্ধন হারানো মানবাধিকার সংগঠন অধিকার-এর আদিলুর রহমান খান ও নাসিরুদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে চলমান বিচারপ্রক্রিয়া নিয়েও উদ্বেগ জানিয়েছেন ভলকার টুর্ক। তাঁদের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে মিথ্যা প্রতিবেদন করার অভিযোগে এই মামলা হয়েছিল।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে যুক্তরাষ্টও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে
বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তা বেদান্ত প্যাটেল এক বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে তিনি সাংবাদিক সামসুজ্জামানসহ সাংবাদিক হয়রাণি, প্রফেসর ইউনুসসহ নাগরিকদের হয়রাণির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং এই আইন বাতিলের দাবী জানিয়েছেন।

শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় না
সরকার তার নিবর্তনমূলক আইন প্রণয়ন ও তার প্রয়োগ নিয়ে নানান কথা বলছে এটা মূলত শাক দিয়ে মাছ ঢাকার শামিল। জনগণ এখন আগের চেয়ে অনেক সচেতন। জনগণের কন্ঠ চেপে ধরার এই যে নানামূখী আচরণ এটা একটি ফ্যাসিবাদী সরকারের আচরণের সাথে মিলতে পারে কিন্ত সরকার নিজেদেরকে গণতান্ত্রিক দাবী করছে। তাদের গণতান্ত্রিক দাবীর সাথে এই আচরণ মেলে না। সরকারকে গণতান্ত্রিক প্রমাণ করতে হলে বন্ধ সকল মিডিয়ার দরোজা খূলে দিতে হবে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক যখন তখন ধরে আনার কালচার বন্ধ করতে হবে। জনগণের কথা বলার অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। বিগত দেড় দশকে যে ভয়ের সংস্কৃতি চালু করা হয়েছে, তার অবসান ঘটাতে হবে।

পঠিত : ৩৫৩ বার

মন্তব্য: ০