Alapon

সবাইকে সবসময় খুশি রাখা সম্ভব নয়...



আল্লাহ পাক আমাদেরকে আমাদের বাবা মায়ের প্রতি খুব সাবধান থাকতে বলেছেন। তাদেরকে দিতে বলেছেন আমাদের সেরা ব্যবহার ও সম্মান। কিন্তু তার মানে এটা নয় যে আমাদের অন্যান্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে উদাসীন হলেও চলবে। আমাদের স্বামী, স্ত্রী, সন্তান, ভাই, বোন সবার ক্ষেত্রেই ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। এমনকি নিজের প্রতিও। কারও প্রতিই জুলুম করা যাবে না।

অনেকেই আছেন যারা বাবা মাকে দিতেই থাকেন, দিতেই থাকেন, কিন্তু নিজের সন্তানের অধিকার লঙ্ঘন করে ফেলেন। আবার কোনও কোনও পিতা মাতা আছেন যারা চাইতেই থাকেন, চাইতেই থাকেন, তারা তাদের অধিকারের চেয়েও বেশি চেয়ে ফেলেন। এভাবে নিজের সন্তানের উপর জুলুম করে ফেলেন।

তারা হয়তো কুরআনের আয়াত ও নিয়ে আসতে পারেন যে আল্লাহ তায়ালা তো বাবা মায়ের প্রতি ইহসান করতে বলেছেন। কিন্তু এই ইহসান এর অর্থ এই নয় যে বাবা মায়ের সব আদেশই সন্তানকে চোখ বুজে মেনে নিতে হবে। অনেক বাবা মা হয়তো ছেলেকে অন্যায় আদেশ দিতে পারেন, তার স্ত্রীর ব্যাপারে। যা কিনা স্ত্রীর প্রতি অন্যায় হবে। তেমনি স্ত্রী আবার এমন কিছু বলতে পারে যা তার বাবা মায়ের প্রতি অন্যায় হবে।

তাহলে এর অর্থ কি দাঁড়ায়? আমাদের এই পার্থিব জীবনে কেউ না কেউ আপনার উপর অসন্তুষ্ট হবেই। হবেই। এর অন্যথা কোনও দিনও হবেনা। এমন কোনও দিন আসবে না যে সবাই আপনার উপর খুব খুশি। বাবা বলবেন আপনি ভালো সন্তান নন, মা বলবেন বিয়ের পর তো আমাদের ভুলেই গেছো, স্ত্রী বা স্বামী বলবে যে তুমি তো বাবা মাকে নিয়েই ব্যস্ত।
শুধুমাত্র মানুষকে খুশি করা এমন এক গর্ত খোঁড়ার মতো যার কোনও শেষ নেই।

তাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত আল্লাহকে খুশি করা। যাতে আমি যদি এখন এই দুনিয়া থেকে চলে যাই, যাতে আল্লাহ তায়ালা কে বলতে পারি, হে আমার রব, আমি কারো অধিকার কম দেইনি। কারো প্রতি অবিচার করিনি। তারা হয়তো তা মনে করেনা, কিন্তু তুমি জানো আমি কি করেছি বা কি করিনি। এটাই হল ইহসান। সবার প্রতি ভারসাম্য বজায় রাখা, শুধু একদিকে নয়।

নোমান আলী খান

পঠিত : ২৫৯ বার

মন্তব্য: ০