ঐতিহাসিক বদর দিবস
তারিখঃ ৮ এপ্রিল, ২০২৩, ২২:২৮
আজ ঐতিহাসিক বদর দিবস!
মাত্র ৩১৩ জন মুজাহিদদের কাছে মুশরিকদের বীভৎস পরাজয়! এই পরাজয়ের পরেও তারা থেমে থাকেনি। তারা ছিলো ভীষণ প্রতিশোধ পরায়ণ। তারা ছিলো আত্মবিশ্বাসী! সেই পরাজিত শক্তিরা-ই আত্মবিশ্বাসের সাথে ঘোষণা করেছে এই পরাজয়ের প্রতিশোধ নিবে। তারই ধারাবাহিকতায় তারা মুমিনদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র পাকাতে থাকে। মুমিনদের কাফেলাকে দুর্বল করার নানান ফন্দি-ফিকির আঁটতে থাকে। মুমিনগণদের থেকে একদল দলছুট মুনাফিক সৃষ্টির মাধ্যমে মুমিনদের ঈমানী ঐক্যে ফাটল ধরাতে চেষ্টা করে। সেজন্য তাদের সেই দলের নেতা হয়ে ওঠে পদলোভী আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই।
বদরের মুমিনদের উত্তরসূরীদেরকে মুনাফিকদের ষড়যন্ত্র, মুশরিকদের অত্যাচারের বিষয়ে সচেতন হতে হবে। ধৈর্য আর সংযমের সাথে, ইখলাস আর ইয়াকিনের সাথে জিহাদরত থাকতে হবে।
বদরের শিক্ষা তো এটাই যে, মুমিনগণ কোনো ক্রমেই দ্বীন বিজয়ের সংগ্রাম থেকে নিভৃত হবে না। কোনো ক্রমেই নিজ কাফেলা থেকে বিচ্ছিন্ন হবে না। আল্লাহ মুমিনদের সংখ্যাদিক বিবেচনায় বিজয়ী করেন না। আল্লাহ বিজয় দান করেন ইখলাস আর তাকওয়া দেখে।
বদরের শিক্ষা হলো আমরা ইখলাসের সহিত অভিন্ন উদ্দেশ্যে তথা দ্বীন কায়েমের জন্য জিহাদ করে যাবো, কারো চোখ রাঙানি দেখে ভীত হবো না। হবো না কারো শক্তি সামর্থ্য দেখে ভীতসন্ত্রস্ত। এর ফলাফল মহান আল্লাহ আমাদের অনুকূলেই দিবেন।
বদরের উত্তরসূরী মুমিনদের স্মরণে রাখতে হবে যে, বদরের বেদ্বীনেরা আজো থেমে নেই। তারা তাদের হিংস্রতা, তাদের ষড়যন্ত্র, ইসলামের বিরুদ্ধে তাদের শকুন দৃষ্টি আজও নিক্ষিপ্ত করে রেখেছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে মুমিন-মুজাহিদদের জিহাদ ও সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।
এক নজরে বদর :
মুসলিম মুজাহিদ ছিলেন -৩১৩
কা.ফির সৈন্যসংখ্যা ছিলো - ১০০০
মুজাহিদদের তলোয়ার ছিলো -০৮ টি
কাফিরদের - ৬০০
মুসলিম মুজাহিদদের উট ছিলো - ৭০
কাফিরদের ৭০০
মুসলমানদের ঘোড়া সংখ্যা ছিলো - ০২টি
কা.ফিরদের ছিলো - ৩০০
মুজাহিদদের মধ্যে শহীদ হয়েছেন -১৪জন
কা.ফিরদের মধ্যে নিহত হয়েছে - ৭০জন
মুসলিম মুজাহিদদের মধ্যে কেউ বন্দী হয়নি।
আর কুফফারদের মধ্যে বন্দী হয়েছে-৭০।
আসুন, বদরের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ'র কাজে নিবেদিত হই। দ্বীনের পতাকাকে উচ্চকিত করার জন্য ঈমানকে নতুন করে শাণিত করি। আল্লাহ আমাদেরকে কবুল করুন। আ-মী-ন!
- লেখা ও সংকলন : আস-সিল্ম টীম

মন্তব্য: ০