Alapon

রমাদান আমাদেরকে কী শেখায়?




আচ্ছা, প্রতি বছরই তো আমাদের কাছ থেকে রমাদান আসে, রমাদান মাস যায়। এই রমাদান আমাদের কাছে কেন আসে? কেন আমরা রমাদানে দিনভর সিয়াম পালন করি? কেন আমরা এতো তীব্র ক্ষুধা সহ্য করি? পিপাসায় যখন আমাদের ছাতি ফেটে যাবার জোগাড় হয়, তখন পিপাসার সেই তীব্র তাড়নাকে আমরা কেন নিয়ন্ত্রণে রাখি? কেন এই ক্ষুৎপিপাসা সহ্য করে অসহ্য গরমের মধ্যেও আমরা সিয়াম পালন করি? এই যে বছরে টানা ত্রিশ দিন বা একমাস আমরা রোজা রাখি, এই রোজা থেকে আমরা কী শেখতে পারি? কী অর্জন করতে পারি আমরা? কোন কোন শিক্ষা গ্রহণ করা উচিৎ, রমাদানের রোজা থেকে? কোন কোন পাঠ নেওয়া উচিৎ আমাদের—কখনো ভেবেছেন কি? হয়তো কেউ কেউ ভেবেছেন,কিংবা কেউ সুযোগ পাননি ভাবতে। তবে আমি মনে করি রমাদানে আমরা মোটাদাগে দুটো বিষয়ের পাঠ খুব সুন্দরভাবেই গ্রহণ করতে পারি। সেগুলো হচ্ছে –

০১- আত্মনিয়ন্ত্রণ বা সংযম। আর অন্যটি হচ্ছে –

০২- যেকোনো মূল্যে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর বিধানের পরিপূর্ণ অনুসরণ।


যেমন দেখুন, একজন মুসলিমের রমাদানের দিনের বেলায় ক্ষুধায় পেটটা যতো চোঁ চোঁ-ই করুক না কেন, আর পিপাসাটা যতো অধিক আর তীব্রই হোক না কেন, তখন সামনে পুরো দুনিয়ার যতো বৈধ তথা হালাল খাবারই থাকুক, বা যতো সুমিষ্ট পানীয়ই থাকুক না কেন, পকেট-ভর্তি যতো অর্থকড়িই থাকুক না কেন, তিনি সেগুলোর দিকে কোনো ভ্রুক্ষেপই করেন না।

এই কাঠফাটা রোদে পিপাসায় যখন কলিজাটা শুকিয়ে যাবার অবস্থা, তখন তিনি চাইলেই কিন্তু এক গ্লাস শীতল পানি পান করে ফেলতে পারেন। ক্ষুধার তীব্রতায় যখন পেটের নাড়িভুঁড়ি চোঁ চোঁ করছে, তখন তিনি ইচ্ছে করলেই প্লেট ভরে তৃপ্তিসহকারে কয়েক প্লেট ভাত কিংবা কয়েকটা রুটি খেয়ে ফেলতে পারেন। বাসার ফ্রিজে থরে থরে সাজানো ফলমূল থেকে দুয়েকটা আপেল বা বেদনা খেয়ে নিতে পারেন। কিন্তু তিনি খান না। তিনি ইচ্ছে করলে তাবত দুনিয়ার সকল মানুষের চোখের আড়াল হয়ে, সকলের দৃষ্টিকে ফাঁকি দিয়ে পানাহার করতে পারেন। কিন্তু তিনি করেন না।

নিজের বৈধ হালাল স্বামী /স্ত্রীর সাথে একত্রে থাকার পরও দিনের বেলায় নিজেকে সংযমের চূড়ান্ত চূড়ায় নিয়ে যান। নিজের মন এবং দেহের সর্বোচ্চ দাবি থাকার পরেও নিজের বৈধ এবং হালাল জীবনসঙ্গী/ জীবনসঙ্গিনীর কাছ থেকেও নিজেকে হেফাজত করে রাখেন । এই যে এক প্রবল আত্মনিয়ন্ত্রণ, এই আত্মনিয়ন্ত্রণের এক প্রবল প্রশিক্ষণই নিয়ে থাকি আমরা পুরো রমাদান মাসব্যাপী।

এবার আসুন, যেই আমি পুরো রমাদানব্যাপী নিজের আত্মাকে নিয়ে করে থাকি, নিজের নফসের লাগাম টেনে ধরে রাখি, সেই আমি কি রমাদান অতিক্রম হবার পরেও নিজের নফসকে বা নিজের আত্মাকে সেভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি? চিন্তা করুন, কেউ একজন আপনাকে গালি দিয়েছে, কেউ একজন আপনার অধিকার নষ্ট করেছে, বা কেউ একজন আপনার মেজাজ বিগড়ে যায়, মন খারাপ হয়ে যায়, জেদ এবং ক্ষোভ সৃষ্টি হয় এমন কিছু কথাবার্তা বলেছে। কিন্তু তখন রাগে-ক্ষোভে শরীরটা গরগর করে কাঁপছে আপনার। এক্ষুনি হয়তো মন চাচ্ছে তাকে চট করে কয়েকটা থাপ্পড় লাগিয়ে দিতে, কিংবা মনের ঝাল মিটিয়ে কয়েকটা গালি বা বকা দিতে। এই যে আপনার মন চাচ্ছে কোনো একজন মানুষকে গালি দিতে, কিন্তু আপনি যদি নিজের আত্মনিয়ন্ত্রণ করেন, আপনি যদি গালি না দিয়ে ধৈর্য ধারণ করেন বা চুপ থাকতে শেখেন, চিন্তা করুন তাহলে আপনি কোন ধরনের মানুষে পরিণত হয়ে যাবেন ধীরে ধীরে? যে ব্যক্তিটি আপনাকে অপমান করেছে, যাকে দেখলেই আপনার পিষে ফেলতে মন চায়, যাকে দেখলেই আপনার জেদ ওঠে, যাকে সবসময়ই এড়িয়ে চলতে চান, ঠিক সেই আপনিটিই যদি এসব ক্রোধ জেদকে সংবরণ করে উক্ত মানুষের সাথে দেখা হবার পর পরই একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে আগ বাড়িয়ে নিজ থেকে ভালোবাসার হাতটা বাড়িয়ে দেন, খোঁজ খবরটা জানতে শুরু করেন, তাহলে চিন্তা করুন, এই বিষয়টা আপনার ব্যক্তিত্বকে, আপনার শাণ ও মানকে কোন পর্যায়ে পৌঁছে দেবে?

আপনি বাহিরে থেকে ভীষণ ক্লান্তি সমেত ঘরে ফিরেছেন, ফিরেই যদি দেখেন ঘরের সবই এলোমেলো। লণ্ডভণ্ড। অগোছালো। এসেই যদি দেখেন আপনার ভাই নিয়ে এসেছে এক অভিযোগ, বোন নিয়ে এসেছে আরেক অভিযোগ, স্ত্রী নিয়ে অন্য আরেক অভিযোগ। মা-বাবা ফেদে বসেছে আরো কয়েক ঢালি অভিযোগ। আবার সন্তান তুলে ধরেছে অন্য অপ্রাসঙ্গিক কিছু আবদার। তখন এসব দেখে বা শুনে নিশ্চয়ই আপনার মন মেজাজ ফুরফুরে আর সতেজ হয়ে থাকবে না। নিশ্চয়ই আপনার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে চুরচুর হয়ে যাবে। আচ্ছামতন তাদেরকে কিছু না কিছু বলতে ইচ্ছে করবে, কিছু না কিছু শুনিয়ে দিতে মন চাবে! তাই না? হ্যাঁ, অবশ্যই মন চাবে। কারণ আপনি তো মানুষ, রোবট কিংবা যন্ত্র না। আর এহেন পরিস্থিতিতেও যদি আপনি নিজেকে কন্ট্রোল করে পরিস্থিতি ঠান্ডা মাথায় নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, ওই যে রমাদানে মারাত্মক পিপাসায়ও যেভাবে আপনি পানি না করে নিজের আত্মাকে নিয়ন্ত্রণ করে রেখেছেন, এখন যদি পারিবারিক জীবনে বা জীবনের অন্যান্য পর্যায়েক যদি এভাবেই আপনি আপনার মন-মেজাজ -মানসিকতা, নফসও আত্মাকে নিয়ন্ত্রণ করে চলতে পারেন; তাহলে চিন্তা করুন, আপনার জীবনটা তাহলে কী এক অপূর্ব সুন্দর প্রস্ফুটিত ফুলের জীবন হয়ে উঠবে!!

কথা হলো আমরা রমাদানের শিক্ষাটা ধরে রাখি না। সেই শিক্ষাটা বাস্তব জীবনে খুব একটা কাজে লাগাই না। যদি কাজে লাগাতাম বা লাগিয়ে চলতে পারতাম, তাহলে আমাদের সকলের জীবনটা, এবং আমাদের এই সমাজটা সোনালি সমাজ হয়ে যেতো। আমাদের ব্যক্তিগত-পারিবারিক-সমাজিক ও সার্বিক জীবনটা প্রস্ফুটিত ফুলের মতো সুভাসিত ও সুরভিত হয়ে যেতো। আমাদের জীবন থেকে ফুলেল সৌরভ ছড়াতো। যে সুভাসে পৃথিবীর সবাই মুগ্ধ হতো!

দ্বিতীয় যেই পয়েন্টটি, সেটি হচ্ছে যেকোনো মূল্যে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর বিধানের পরিপূর্ণ অনুসরণ করা। এখানে স্বভাবতই আত্মনিয়ন্ত্রণের বিষয়গুলোও চলে আসে। তবুও আলাদাভাবে উল্লেখ করা এজন্য যে, দীনের মূল শিক্ষাটা যেনো আমাদের সামনে সপ্রতিভ থাকে। ব্যক্তিগত আত্মনিয়ন্ত্রণের শিক্ষার ভিড়ে যেনো আমাদের রবের আনুগত্যের শিক্ষাটা আড়াল হয়ে না যায়, সে জন্য।

দেখুন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লার পক্ষ থেকে এই মাসে তাঁর বান্দাদের প্রতি নির্দেশ হচ্ছে সুবহে সাদিক থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো হালাল পানীয় তুমি গ্রহণ করতে পারবে না। এবার তোমার যতো ক্ষুধাই লাগুক, পিপাসা যতো বেশিই লাগুক, তোমার খেতে যতো ইচ্ছেই হোক , তোমার নিজের বিবাহিতা স্ত্রী একেবারে যতো নিকটেই থাকুক না কেন; আল্লাহর নির্দেশ হচ্ছে তুমি সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত এই বৈধ জিনিসগুলোর স্বাদ আস্বাদন করতে পারবে না। আর মুমিনগণও আল্লাহর সেই নির্দেশ পরিপূর্ণভাবেই পালন করে যায়।

আল্লাহর বান্দা এবং তাঁর রাসুলের (সা.) সত্যিকারের উম্মতেরা সহজীকরণের নামে, একটু ছাড়ের নামে, কিংবা ক্রিটিক্যাল থিংকিংয়ের নামে আল্লাহর বেঁধে দেওয়া নির্ধারিত সময়ের সামান্যতম কিছু সময় আগেও ইফতার করে না। এবং সাহরির সময় শেষ হবার একেবারে সামান্য পরেও পানাহার আর যৌনতায় অংশগ্রহণ করে না!

এছাড়া রমাদানের এই রোজার বাহিরেও তো আল্লাহর অগণিত ফরজ আদেশ এবং নিষেধ আছে। আমরা যদি সেগুলোও পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ করতে চেষ্টা করি, তাহলে চিন্তা করুন, আল্লাহর বান্দা হিসেবে, আল্লাহর গোলাম হিসেবে, একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের মানটা কোন জায়গায় গিয়ে পৌঁছবে?

একটু খেয়াল করুন, রমাদানে মানুষ নিজের বিবাহিত হালাল এবং বৈধ জীবনসঙ্গী/ জীবনসঙ্গিনীর সাথে একান্ত ঘনিষ্ঠ হওয়া থেকে দূরে থাকতে যেভাবে আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন, আল্লাহ সেভাবে ঠিক অন্যান্য মাসেও, অন্যান্য সময়েও আমাদেরকে হারাম সম্পর্ক থেকে, হারামভাবে, বিবাহ ছাড়া পরনারী/পরপুরুষের সাথে মেলামেশা থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। একইভাবে গীবত, চোগলখোরি, খাদ্যে ভেজাল দেওয়া, ওজনে কম দেওয়া, অন্যের নামে মিথ্যে অপবাদ দেওয়া, কুটসা রটনা করা, সুদ-ঘুস খাওয়া, অবৈধ উপার্জন করা, অন্যের অধিকার নষ্ট করা, অপরকে কষ্ট দেওয়া, জুলুম করা, বেপর্দা চলাফেরা করাসহ ইত্যাদি হরেকরকম বিষয় আশয় না করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এখন আমরা যদি রমাদানের মতোই অন্যান্য সময়েও অন্যান্য সকল বিষয়ে আল্লাহর পরিপূর্ণ আনুগত্য, রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরিপূর্ণ অনুসরণ করতে পারি বা করার চেষ্টা করি, তাহলেই তো আমাদের জীবনটা সত্যিকারের এক সার্থক জীবন হয়ে উঠবে। রমাদানের সিয়াম যে কারণে ফরজ করা হয়েছে, সেই কারণ এবং সেই উদ্দেশ্যটাও পরিপূর্ণ হবে। তাই না?

এখন প্রশ্ন উঠতে পারে রমাদানের সিয়াম কেন ফরজ করা হয়েছে? এ বিষয়ে আমার কোনো কথা যুক্ত করার দরকার নেই। আমরা আল্লাহর কুরআনের দিকেই দৃষ্টি রাখতে পারি, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা স্বয়ং নিজেই তাঁর কালামে হাকিমের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাচ্ছেন যে,
“ হে ঈমানদারগণ, তোমাদের ওপর সিয়াম ফরজ করা হয়েছে। যেমন ফরজ করা হয়েছিলো তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর । যাতে তোমরা তাকওয়ার গুনাবলি অর্জন করতে পারো। ” (আল কুরআন : সুরা বাকারা-১৮৩)
এখন জানার বিষয় হচ্ছে, আয়াতে কারিমায় যে তাকওয়ার কথা বলা হয়েছে, তাহলে তাকওয়া কী?

এখন আসুন দেখি, তাকওয়া কী?
তাকওয়া মানে বিরত থাকা, বেঁচে থাকা, সচেতন থাকা, নিজেকে রক্ষা করা।
শার’ঈ পরিভাষায় তাকওয়ার মানে কী, তা আমরা রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবিদের থেকে শেখবো ইন শা আল্লাহ। আল্লাহর রাসুলের বিখ্যাত সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন,
‘নিজেকে শিরক, কবিরা গুনাহ, অশ্লীল কাজকর্ম ও কথাবার্তা থেকে বিরত রাখাটাই হচ্ছে তাকওয়া’


এছাড়াও একবার আল্লাহর রাসুলের সাহাবি উবাই ইবনে কাব (রা.)-কে খলিফাতুল মুসলিমীন, আমিরুল মু’মিনীন উমর (রা.) তাকওয়ার স্বরূপ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। তখন জবাবে তিনি বলেছেন,
‘হে উমর, পাহাড়ের দুই ধারে কাঁটাবন, মাঝখানে সরু পথ। এমতাবস্থায় কীভাবে পথ চলতে হবে?’ সাঈয়িদুনা উমর (রা.) জবাব দিলেন, ‘এমন সাবধানে পথ চলতে হবে, গায়ে যেনো কাঁটা না লাগে।’ উবাই ইবনে কাব (রা.) বললেন, হে উমর ‘এটাই হচ্ছে তাকওয়া।’


তাকওয়ার একটা সুন্দর সংজ্ঞা দিয়েছেন উমর ইবনে আব্দুল আজীজ রহিমাহুল্লাহ। তিনি বলেন,
‘রাত-জেগে সালাত পড়া আর দিনভর সাওম আদায় করার পর হালাল হারামকে মিশিয়ে ফেলার নাম তাকওয়া নয়। তাকওয়া হলো, আল্লাহর আবশ্যকীয় বিধান মেনে-চলা এবং তার নিষিদ্ধ কাজসমূহ থেকে বেঁচে থাকা। এর পাশাপাশি কোনো (নেক) আমল করলে, সেটা তো আরো ভালো।’


সোজা কথায় এই পুরো রমাদানটা কিন্তু ব্যক্তি হিসেবে আমার ইচ্ছে, আমার চাহিদা, আমার আকাঙ্ক্ষা সব রব্বুল আলামিনের নির্দেশের কাছে বিসর্জন দিতে শেখায় ! আমার আমিত্বকে বিসর্জন দিয়ে আল্লাহর একজন সত্যিকারের গোলাম হতে শেখায়। গোলামি বা দাসত্ব তো আমরা সবাই করি। সবচেয়ে বেশি গোলামি ও দাসত্ব করি আমরা আমাদের উদ্গ্র নফসের। আর রমাদান ঠিক গোলামির এই জিঞ্জিরেই লাগাম টানতে শেখায়। কারণ নফসের এই দাসত্ব, নিজ আত্মার এই গোলামিটাই এক সময় আমাদেরকে আরো বড়ো গোলামির দিকে ধাবিত করে। আমরা তখন সার্বিকভাবে হয়ে পড়ি পরাধিন। কিন্তু সব কিছুর দাসত্ব আর গোলামিকে পরিহার করে যখন আর যেদিন মানুষ কেবলি আল্লাহর দাস হয়ে উঠতে শিখবে, সেদিন থেকেই মানুষ পৃথিবীর সবকিছুর দাসত্ব আর গোলামি থেকে মুক্তি পাবে। মানুষ স্বাধীন বলতে যা বুঝায়, ঠিক সেটাই হয়ে উঠবে সেদিন। সম্ভবত ইমাম ইবনে তাইমিয়া বলেছিলেন,
আল্লাহর দাসত্ব দুনিয়ার যাবতীয় সকল বিষয়ের দাসত্ব থেকে মানুষকে মুক্তি দেয়।


আসুন, রমাদানের এই শিক্ষাটাকে কাজে লাগিয়েই আমরা বাকী ১১ মাসের সব কাজকর্ম আল্লাহর বিধানমত চালাবার দীপ্ত শপথ করি। নিজে নফস এবং সমস্ত গাইরুল্লাহ’র গোলামি পরিহার করে আমরা মহান মালিক আল্লাহ সুবহানাহু ও’তাআলার সত্যিকারের গোলাম হিসেবেই গড়ে উঠি। আল্লাহ আমাদের জীবনটা রমাদানের রঙ্গে রাঙ্গাবার তাওফিক দান করুন। আ-মী-ন।

~রেদওয়ান রাওয়াহা
১০.০৪.২২ ইং

পঠিত : ২২২ বার

মন্তব্য: ০