Alapon

আজকের শিক্ষা ব্যবস্থা হচ্ছে অবাধ যৌনতার রণতরী!




দাজ্জালের আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা হচ্ছে আজকের শিক্ষা ব্যবস্থা। এটা হচ্ছে অবাধ যৌনতার রণতরী। এই বিষয়টা নিয়ে আজকে লিখব। লেখাটা বড় হতে পারে, এখানে এমন কতিপয় ঘটনা আনা হবে যা অন্ধকূপ থেকেও ভয়াবহ। তাই ধৈর্য ধারণ করে পড়বেন বলে আশা করি।

- হঠাৎ করেই কথিত দ্বীনি লেবাসধারী মেয়েরা এই আধুনিক যৌনাচারের শিক্ষা ব্যবস্থাকে নরমালাইজেশন করতে উঠে পড়ে লেগেছে। তাদের যুক্তি— অল্পকিছু মেয়েদের নষ্টামির কারণে সবাইকে খারাপ বলতে পারেন না। বাহ! কী নরমালাইজেশন। এ যেনো আপনি ৯৯% খারপ মানুষের জন্য এক ব্যবস্থা খারাপ বলতে পারেন না এই টাইপের সিম্পেথি৷ কিন্ত কী ঘটছে এই শিক্ষার নামে৷ আজকে শেয়ার করবো আমি সামনে ঘটে যাওয়া কিছু অন্ধকূপ নিয়ে।

- ভার্সিটিতে প্রথম যেদিন এডমিশন দিতে আসি। খালেদা জিয়া হলের গেস্টরুমে গিয়েছিলাম ওয়াশরুমের জন্য। মূলত গেস্ট রুমগুলা হয়ে থাকে অভিভাবক, মেহামান ইত্যাদি দেখা করার জন্য। কিন্তু অবাক করার বিষয় হলো এখানে অনেক গার্ডিয়ান বসে আছে তাদের মেয়েদের এডমিশন দিতে আসায়। সবার সামনেই ছেলে মেয়েগুলা বাজেভাবে খারাপ কাজ শুরু করে দেয়। লজ্জায় আমার মাথা হেঁট হয়ে যায়। অবাক হয়ে দেখলাম যে মেয়েদের অভিভাবকগুলা এডমিশনের দিনই কত নোংরামি চোখে দেখেও মেয়েদের ভর্তি করে রেখে যায়।

- আমার এক বন্ধু হুজুর। ওর বান্ধবীও হুজুর। ওদের দুইজনের বাবাই বড় আলেম। এক ক্লাসের সুবাধে ফ্রি-মিক্সিং। এখানেই শেষ নয়। ওরা এক পর্যায়ে দিনে দুপুরে শারিরীক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে ৷পরে স্থানীয় লোকজন তাদের আটকে ফেলে। পরে ভার্সিটির প্রক্টরিয়াল বডি মুচলেকা দিয়ে তাদের উদ্ধার করে।

- আমি একটা কটেজে (মেস) থাকতাম। শুক্রবারের দিন। সবাই নামাজে চলে যায়। আমার দেরি হয়ে যায়। আমি যখন শেষের দিকে মসজিদে রওনা দিচ্ছি তখনই আমার পাশের রুমেই একটা ছেলে মেয়ে নিয়ে রুমে ঢুকে যায়। বাকিটা ইতিহাস। বিভিন্ন মেসে এ পর্যন্ত কত মেয়ে ঢুকেছে তা হিসাবের বাইরে।

- ভার্সিটির সেন্ট্রাল লাইব্রেরীর পেছনটা অন্ধকার ও গহীন। একদিন আমার পরিচিত এক ছেলে একটা কাজের জন্য যায়। গিয়ে দেখে সবাই উলঙ্গ হয়ে মেলামেশায় লিপ্ত। এটা এসব কাজের জন্য বিখ্যাত। যার ভার্সিটিতে পড়ে এটা ওপেন সিক্রেট।

- ভার্সিটির বোটানিক্যাল গার্ডেন ও পাম বাগান। এদিক সেদিক তাকালেই পরিত্যক্ত কনডম ও পেপার দিয়ে বিছানা বানিয়ে রাখা হয়েছে। দিনে দুপুরে এখানে শারিরীক মেলামেশা হয়। বিস্তারিত বলার কিছু নাই। সব ওপেন সিক্রেট।

- প্রতিবছর রমজান আসলে সবাই বাড়িতে চলে যায়। কিন্তু থেকে যায় যাদের টিউশন আছে এবং যারা প্রেম করে। রমজানের সময় যখন সমস্ত ক্যাম্পাসে তারাবিহ নামাজ হয়। এই ফাঁকা সময়ে ক্যাম্পাসে শারিরীক সম্পর্কে জড়িয়ে যায় ব্যাপক হারে। এইসব স্পটগুলাতে স্থানীয়রা গরুর গোবর দিয়ে রাখে এসব কাজ থেকে দূরে রাখতে। রমজানে সবাই চলে গেলেও অধিকাংশ কাপল থেকে যায় শুধু নষ্টামি করার জন্য।

- ভার্সিটিগামী শাটল ট্রেন। প্রকাশ্যে হাতাহাতি চুম্বন ওপেন সিক্রেট। এমনকী মাগরিবের অন্ধকারে যখন শাটল ছাড়া হয় তখন ওপেন সেক্সে জড়িয়ে পড়ে সবার সামনেই। এমন শত ঘটনা স্বাভাবিক। শাটলে ওপেন সেক্স না করতে কত পোস্ট বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারে করা হয়। কিন্তু তাতে কিছু আসে যায় না। কত শত ওপেন সেক্স হচ্ছে এগুলার স্ক্রীনশট প্রকাশ করার দরকার নেই।

- ভার্সিটির অনেকে দলবেঁধে ১০/১২ জন করে হোটেলে যায় পতিতার সাথে খারাপ কাজ করতে। আমার একটা বন্ধু ছিলো সে মুখে কথা রাখতে পারতো না। তাই সে হু হু করে হেসে বলে ফেললো একটু পর আমরা সবাই যাবো। কেউ যাইতে গেলে বলিস। ২০০ টাকা দিলেই চলবে। আর বিশেষ করে পার্বত্য এলাকায় পোলাপান বেশি যায় উপজাতি নিয়ন্ত্রিত কিছু পতিতালয়ে। এমনকী ভার্সিটির ক্যাম্পাসেই অনেক পতিতালয় আছে। যেগুলোতে ভার্সিটির মেয়েরাই জড়িত।

- ভার্সিটির প্রত্যেকটা ডিপার্টমেন্টে ছেলেদের আলাদা চ্যাট (সেক্স রিলেটেড) গ্রুপ থাকে। কী বলবো বর্ণনার বাইরে। এই চ্যাট গ্রুপগুলার আলোচ্য বিষয় থাকে ফ্রি মিক্সিং করে কয়টা মেয়েকে হাতাহাতি করেছে, কোন মেয়ে কার সাথে রিলেশন করে, এবং ওদের গার্লফ্রেন্ড এর নগ্ন ছবি দেয়। এক ধরণের প্রতিযোগিতা কে কাকে বেশি ভোগ করেছে। আর বলার ভাষা নাই। এটা নিয়ে বিস্তারিত পোস্ট দিয়েছিলাম।

অবাক করার বিষয় যে হাত পা মোজা পড়া মেয়ে, আলেমার শারিরীক মেলামেশার ভিডিও যখন আমার এক বখাটে বন্ধু সবাইকে দেখিয়ে বেড়াচ্ছে। ও ভোগ তো করছেই এবং সবাইকে দেখাচ্ছে। এমন হাত-পা মোজা মেয়েদের নগ্নদেহের ছবি আজ বয়ফ্রেন্ড নামক অবৈধ স্বামীর হাতে৷ অথচ এগুলাই এসে বলবে আপনি কয়েকজন মেয়ের জন্য সবাইকে খারাপ বলতে পারবেন না।

- হাটহাজারী টু নিউমার্কেগামী একটি বাসে ভার্সিটির মেয়েকে শ্লীলতাহানি করে হেল্পার। এই ঘটনার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসের মেয়েরা প্রতিবাদ করে। অবাক করার বিষয় যে এখানে অধিকাংশ মেয়ে হেল্পারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে কিন্তু তারাই আবার প্রেমের নামে নিজের দেহকে ভোগ করতে দিচ্ছে। তাদের এই ভণ্ডামি নিয়ে ভার্সিটি গ্রুপে লিখি। এ যেনো লঙ্কা কাণ্ড! শত শত ছেলে মেয়ে আকাশ থেকে ভেঙ্গে পড়েছে। বয়ফ্রেন্ডের সাথে মেলামেশা মানে স্বামীর সাথে মেলামেশার মত বৈধ ৷আমার কথায় তারা ক্ষেপে গেছে। আমি এই বলেই লেখা ডিলিট করলাম যে শেষ জামানায় অবৈধ জ্বিনাকে বৈধ মনে করা হবে। এর চাইতে বলার কিছু নাই।

- আমার এক নেশাখোর বন্ধু। পুরো মাদকাসক্ত বললে যা হয় আরকি। কিন্তু সে একমাত্র আমার কথাগুলাই ধৈর্য ধরে চাতক পাখির মত শুনে। সে নিজেই বলে একমাত্র আমার কথা ছাড়া কারো কথা সে শুনতে চায় না। যা হোক সে আফসোসও করে। অনুতপ্ত হয়। কিন্তু সে এমন ভয়াবহ কথাগুলা বলে, যা আকাশ থেকে ভেঙ্গে পড়ার মত। সে নিজেই বলে সে ১০/১২ টা মেয়ে ভোগ করেছে। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। অবাক করার বিষয় যে, সে অধিকাংশ মেয়ের সাথে শারিরীক সম্পর্ক করেছে যেগুলা ব্যাপক ধার্মিক। এরা এতই ধার্মিক যে তাদেরকে মা-বাবা, আত্মীয়, সহপাঠী সবাই ধার্মিক বলে জানে। এসব মেয়েগুলা বেশ মিথ্যাবাদী হয়। কেননা ওদের মা বাবা যদি জানে ওরা প্রেম করে তাহলে স্টোক করবে ৷ অথবা সে নিজেই সুসাইড করবে। কেননা যে মেয়েকে কেউ দেখেনি বলে সবাই জানে এই মেয়ে যদি প্রেম করে তাহলে কোন ফ্যামিলি ঠিক থাকবে? তাও আবার নম্র ভদ্র কোনো ছেলের সাথে নয় মাদকাসক্ত বখাটের সাথে জ্বিনায় জড়িয়ে পরে। এরা বাধ্য হয়ে যায় মিথ্যা বলতে। এমনকি কসম খেটেও নিজের পাপ ঢাকে। এ ছাড়া কিছুই করার নেই। আমি নিজ প্রত্যক্ষদর্শী, এক আলেমা (দাওরা হাদীস সম্ভবত) বখাটের সাথে প্রেমে জড়িয়ে যায়। এমনকি অন্তরঙ্গ ছবি ওই ছেলের কাছে। কিন্তু এই প্রস্তাব আসে তাও আমার কাছে। (নাউজুবিল্লাহ)

- আমার অনেক হাফেজ, মাওলানা, হুজুর বন্ধু আছে। ওরা ক্যাম্পাসে প্লে বয়। প্রকাশ্যেই জ্বিনা ব্যভিচার করে। এবং বিভিন্ন মসজিদের খতিব। বিভিন্ন মাদ্রাসার মুহতামিম। এবং চট্টগ্রামে ব্যাপক খতমে তারাবির চাহিদা থাকায় তারা তারাবি পড়ায়। কিন্তু তাদের ভেতরের খবর জানি ৷আমার এক হাফেজ বন্ধুকে বলি আকারে ইঙ্গিতে বন্ধু এসব বাজে কাজ করো না। তোমার মাথায় ৩০ পারা কুরআন আছে। যা হোক ক্যাম্পাসে আমার দেখা হাফেজ/কওমী ছেলের ভালোর সংখ্যা ১০% হবে কিনা সন্দেহ। এটা আমার ব্যাক্তিগত দেখা ক্যাম্পাসের। সারা দেশের কথা বলছি না।

- এমন কত শত শত কাহিনি বলবো। বলে কি শেষ করা যাবে। একেকটা ভার্সিটি একেকটা পতিতালয়। কিন্তু কে কাকে বুঝাবে ৷ আজকে সহ-শিক্ষা নিয়ে কথা বললে যেগুলা ইসলামের ঝাণ্ডাবাহী সাজে। তাদের কথায় বিভ্রান্ত হবেন না। আমি নিজে জানি কয়টা হিজাবী মেয়ে সতী আছে।? ( আমার ক্যাম্পাসের কথা) এগুলা টাইমলাইন সেভাবে সাজায়, কল্পনার বাইরে। এগুলা বললেই এরা আয়েশা ( রা) এর অপবাদের যুক্তি আনে। ধারণা করা ভালো নয় বলে। ধারণা বাদ দেন আমি সরাসরি প্রত্যক্ষদর্শী এইগুলা লিখেই শেষ করা যাবে না।

সবচেয়ে হাস্যকর কী জানেন? এরা যে আয়েশা (রা) এর অপবাদের যুক্তি আনে। অথচ আয়েশা ( রা) ঘরে বসে পর্দার অন্তরালে হাদীস শুনাতেন লিপিবদ্ধ করার জন্য। রাসূল (স) এর স্ত্রীদেরকে আমাদের মা বলা হয়েছে। অর্থাৎ তাঁরা উম্মতের জন্য মা। তাই তাদেরকে আম্মাজান বলা হয়। তারা আম্মাজান হয়েও যখন হাদীস বলতেন তখন মুখে হাত দিয়ে চেপে হাদীস বলতেন। তাতে আয়েশা (রা) এর কণ্ঠ কর্কশ ও বিকৃত হতো। অর্থাৎ আয়েশা ( রা) এর রিয়েল কণ্ঠ তারা শুনতো না। অথচ তারা আজ সহ-শিক্ষায় এসে আম্মাজান আয়েশার যুক্তি আনে। চিন্তা করুন এরা কতটা ভণ্ড হতে পারে।

কী বলবো আজকের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে। এই শিক্ষা ব্যবস্থায় বেরিয়েছে মানে দাজ্জালের জন্য বেরিয়েছে। কিন্তু এই কথিত দ্বীনিগুলা এসব মানতে নারাজ। তারা ঘরে থেকে পিছিয়ে যাবে ৷জ্ঞান সমৃদ্ধ লাগবে। ডাক্তার লাগবে। কত যুক্তি। আফসোস ছাড়া কিছুই করার নেই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই। খুব ভয়াবহ বিপর্যয়। মানুষ আজ জাহান্নামে যাওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা করছে।

পঠিত : ৪৫৩ বার

মন্তব্য: ০