Alapon

ফ্যাসিবাদের ক্রমশঃ দৃশ্যমান দালালগোষ্ঠী




পনেরো বছরের হাসিনার ফ্যাসিস্ট শাসনকালে জাতীয় পার্টি, মেনন, ইনু, দিলিপ বড়ুয়া, নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী মার্কা দালাল সহযোগীদের জাতি আশা করি ইতিমধ্যে চিনেছে। এর বাইরে চরমোনাই’র পীরের দলও শেখ হাসিনার শাসন টিকিয়ে রাখতে সাধ্যমতো সাহায্য করেছে। ইসলামী দলের লেবাসে এই সুবিধাবাদি গোষ্ঠী প্রতিটি ভুয়া নির্বাচনে নানা রকম ফন্দিফিকিরের অবতারণার মাধ্যমে অংশ নিয়ে জালিম শাসককে বৈধতা দেয়ার জন্য সর্বপ্রকারে সচেষ্ট থেকেছে। এর বিনিময়ে তারা অবৈধ সরকারের কাছ থেকে কি কি সুযোগসুবিধা নিয়েছে সেটা তারাই অবগত আছেন। ভবিষ্যতেও নজিবুল বশর এবং ইসলামী আন্দোলনের চরিত্র পরিবর্তনের কোন প্রত্যাশা আমি করি না। সময়ে সময়ে সরকারবিরোধী চটকদারি কথাবার্তা নিয়ে জনগণের সামনে হাজির হলেও, এরা ফ্যাসিবাদের সহযোগীরূপেই দুনিয়ায় এবং আখেরাতে আল্লাহতায়ালা নির্ধারিত পরিণতি ভোগ করবে। ইসলামের লেবাস ব্যবহার করে পৌত্তলিকতার পূজারী ও দিল্লির দালাল শেখ হাসিনাকে সহযোগীতার ইসলামনির্ধারিত সাজা সম্পর্কে পীরের দাবিদার, আলেম-ওলামা এবং কোরান-হাদিস সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞদের জ্ঞান আমার চেয়ে নিশ্চয়ই অনেক বেশি। আমি বলতে গেলে এ সব বিষয়ে কোন জ্ঞানই রাখি না। তবে এটুকু বুঝি, জালিমের সাথে আপস ইসলাম অনুমোদন করে না। আমার সোজাসাপটা বক্তব্য পীর সাহেবদের মুরিদদের অসন্তুষ্ট করলেও বাংলাদেশের নব্বই শতাংশ মুসলমান জনগোষ্ঠীর মধ্যে সচেনতনা সৃষ্টি ইসলাম ও রাষ্ট্রের বৃহত্তর স্বার্থে অধিকতর প্রয়োজনীয়।

প্রধানত: পশ্চিমা বিশ্বের ইসলামোফোবিয়াকে পুঁজি করে এবং দিল্লির কার্যকর সমর্থনে ২০১৪ সালে শেখ হাসিনা একদলীয় নির্বাচনের তামাশা করেও পার পেয়ে গিয়েছিলেন। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে বেগম খালেদা জিয়াকে আওয়ামি আদালতের যোগসাজসে ভুয়া মামলায় বন্দি করার প্রেক্ষিতে, বিএনপি নেতৃত্বের বিভ্রান্তি ও সিদ্ধান্তহীনতার সুযোগ নিয়ে, ডিসেম্বরে নিশিরাতের সফল ভোটডাকাতি বিশ্বের একমাত্র নারী স্বৈরশাসককে ২০২৩ পর্যন্ত আরো পাঁচ বছর ফ্যাসিস্ট শাসন দীর্ঘায়িত করার সুযোগ দিয়েছে। শেখ হাসিনা প্রায়ই উন্মাদের মত আচরণ করলেও এবারের সার্বিক পরিস্থিতি যে অনেকাংশেই ভিন্ন সেটা তিনি ভাল করেই বোঝেন। দিল্লিও তাকে জানিয়েছে যে, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের কৌশল এবার কাজে দিচ্ছে না।

পশ্চিমা রাষ্ট্রসমূ্হে, বিশেষত ইউরোপের অনেক দেশেই, ইসলামোফোবিয়া বিদ্যমান থাকলেও, তাদের সমষ্টিগত রাজনৈতিক কৌশল এবং অগ্রাধিকারে পরিবর্তন ঘটেছে। তারা প্রেসিডেন্ট বুশ আর তার “British Poodle Blair” এর অনুসৃত “ইসলামের বিরুদ্ধে অনন্ত যুদ্ধের প্রকাশ্য নীতি থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছে। গত বছর জাতিসংঘে ১৫ মার্চকে “International Day to Combat Islamophobia” ঘোষণা করার মাধ্যমে ওয়াশিংটন তার নীতিগত অবস্থান পরিবর্তনের গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সমর্থন ছাড়া জাতিসংঘের ঐ আন্তর্জাতিক দিবসের ঘোষণা আসা সম্ভব ছিল না। এই কারণেই র‍্যাব-পুলিশের নতুন নতুন বায়বীয় ইসলামী জঙ্গী কার্ড এখন ভারত ও বাংলাদেশের ইসলামবিদ্বেষী মিডিয়া ব্যতিত দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মহলে বিরক্তি ও অবজ্ঞার বস্তুতে পরিণত হয়েছে। শেখ হাসিনার অধীনে কোনরকম নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করবার সুস্পষ্ট, রাজনৈতিকভাবে সঠিক এবং আগাম ঘোষণার মাধ্যমে বিএনপি নেতৃত্ব ফ্যাসিস্ট শাসন ব্যবস্থার খুঁটি আলগা করার পাশাপাশি দলীয় “আস্তিনের সাপ”দের উদ্যত ফনা অনেকটাই পাকড়ে ফেলেছে। পরিস্থিতির চাপে বাধ্য হয়েই শেখ হাসিনাকে সম্ভবত: পরিকল্পিত সময়ের বেশ খানিকটা আগেই রাজনীতিতে গিরগিটির মত রং বদলানো, ফ্যাসিবাদের আশ্রয়ে লুকিয়ে রাখা দালালদের এখন একে একে মঞ্চে নামাতে হচ্ছে। এদের সম্পর্কে জনগণকে সতর্ক করাটাই আজকের সম্পাদকীয় লেখার লক্ষ্য।

প্রথমেই মরহুম নাজমুল হুদার প্রসঙ্গে বলতে হয়। এই লোকটি ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তৎকালিন জোট সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রি ছিলেন। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির ভয়াবহ সব অভিযোগ ছিল। এক এগারোর সরকার তাকে এবং তার স্ত্রী সিগমা হুদাকে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতারও করেছিল। সিগমা হুদার আপন বোন হলেন বাংলাদেশে হিন্দুত্ববাদের দোসরদের অন্যতম, তথাকথিত নারীনেত্রী খুশী কবির। ওদিকে নাজমুল হুদা, শেখ হাসিনার অতি ঘনিষ্ঠ এবং প্রভাবশালী উপদেষ্টা, সালমান রহমানের ভাতিজা। সালমান রহমানের পিতা এবং নাজমুল হুদার পিতামহ সহোদর ভাই ছিলেন। এত সব সম্পর্কের সুবাদে, শেখ হাসিনার ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের পর মোক্ষম সুযোগ দেখে নাজমুল হুদা স্বপরিবারে ফ্যাসিস্ট শাসকের পায়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ে সকল মামলা থেকে উদ্ধার পেয়ে যান। বিনিময়ে তাকে বিএনপি ভাঙ্গার দায়িত্ব দেয়া হয়। বিএনপি’র এই “আস্তিনের সাপ” তৃণমূল বিএনপি গঠন করলে তাকে “ডিজিএফআই”সহ সকল সরকারী সংস্থা সর্বরকম সহায়তা প্রদান করে। কিছুদিন আগে নাজমুল হুদা মৃত্যুবরণ করলে এখন দলের দায়িত্ব স্ত্রী সিগমা হুদা এবং কন্যা অন্তরা হুদার কাঁধে চেপেছে। নাজমুল হুদার মৃত্যুশোক ভুলে গত সপ্তাহে

মা-মেয়ে ঘটা করে দলসংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনও করে ফেলেছেন। আমরা নিশ্চিত থাকতে পারি যে, ডিসেম্বরের পূর্বেই শেখ হাসিনার পতন না ঘটলে, আগামী পাতানো নির্বাচনে কথিত “তৃণমূল বিএনপি” ধানের শীষের মত অনেকটা দেখতে গমের শীষ প্রতীক নিয়ে অংশ নেবে। তবে মা অথবা মেয়ে শেষ পর্যন্ত সংসদ সদস্য হতে পারবেন কিনা সেটা নির্ভর করবে সালমান রহমানের উপর। সালমান রহমান এবং নাজমুল হুদা গোষ্ঠী ঢাকার দোহার-নবাবগঞ্জের একই আসনের অধিবাসী। ফ্যাসিবাদের এই দালাল দলকে চিনে রাখুন।

ধুমকেতুর মত ছাত্র রাজনীতিতে আবির্ভূত নুরুল হক নুর ডাকসু’র ভিপি নির্বাচিত হয়ে দেশবাসীকে চমকে দিয়েছিলেন। অনেকেই তাকে বর্তমান জামানার শেখ মুজিবও ভাবতে শুরু করেছিলেন। তাকে আত্মপ্রচারেও বেশ দক্ষ মনে হচ্ছিল। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বায়বীয় তৃতীয় শক্তির খোঁজে ব্যাকুল শ্রেণি মনে করতে থাকলেন, এবার বোধহয় এতদিনের প্রত্যাশা মিটলো। টকশো’তে নুরের নিয়মিত এবং সরব উপস্থিতি, বিদেশী দূতাবাসসমূহেও তিনি নিয়মিত দাওয়াত পেতে থাকলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিহাস অসচেতন, বই-পুস্তকবিমূখ তরুন প্রজন্ম নুরু ভাই বলতে অজ্ঞান। একসময় রেজা কিবরিয়াকে আহবায়ক করে তার নতুন রাজনৈতিক দলও আত্মপ্রকাশ করলো। ড: জাফরুল্লাহকে নুরের দলের অনেকটা “Friend, Philosopher and Guide” এর দায়িত্বে দেখা গেল। রেজা-নুরের দলের রাজনৈতিক বোলচালও ফ্যাসিবাদবিরোধী। আলেম-ওলামা এবং জামাতের পক্ষেও নুরের বক্তব্য শুনতে পাওয়া যায়। অতএব, এরাও সন্তুষ্ট। এক সময় দেখা গেল দলটি ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে কিছুটা অনাগ্রহ দেখিয়ে হাসিনা’র “পুতুল ইসিতে” নিবন্ধনের পিছনে ছুটছে। অনেক বিশ্লেষকই মনে করলেন, নিবন্ধন প্রচেষ্টায় তো কোন ক্ষতি নাই। ওরা তো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন করবে না বলেই দিয়েছে। সকল বিরোধী দল যদি নির্বাচনে যায় তাহলেই তারা শুধু অংশ নেবে।

এ পর্যন্ত স্ক্রিপ্ট ঠিকই ছিল। গোল বাঁধলো দুবাইতে নুরের কে এক জায়নিষ্ট এবং সম্ভবত ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ সংশ্লিষ্ট মেহেদি সাফাদির সাথে গোপন সাক্ষাৎ মিডিয়াতে প্রচার হয়ে যাওয়ায়। রাজনীতিবিদদের অসৎ চরিত্র অনুযায়ী প্রথমে অস্বীকার, তারপর স্বীকার-অস্বীকারের মাঝামাঝি রহস্য সৃষ্টি এবং অবশেষে স্বীকার। নুরের প্রতি সহানুভূতিশীল জনগণ দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলেন, এবার বুঝি তরুন নেতা জালিম শাসকের নতুন শিকারে পরিণত হয়। অনেকেই তাকে দেশে ফিরতেও মানা করলেন। কারো কারো মনে পড়লো এই একই জায়নিস্ট সাফাদির সাথে দিল্লিতে সাক্ষাতের সূত্র ধরেই চট্টগ্রাম বিএনপির নেতা আসলাম চৌধুরীর সমস্ত পরিবারকে শেখ হাসিনা ধ্বংস করে দিয়েছে। প্রায় এক দশক ধরে এই রাজনৈতিক নেতা জেলে বন্দি। মামলাবাজ সরকার তার এবং পরিবারের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা দিয়েছে। তার সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এখন দেওলিয়া। নুরেরও একই পরিণতির অশংকা ছিল। দুই-একটা মামলাও বোধহয় দায়ের হয়েছিল। সব উপেক্ষা করে “সাহসী নুর” দেশে ফিরলেন। অবাক হয়ে আমরা দেখলাম শেখ হাসিনার মত জালিম নুরকে স্পর্শ করলো না। পুলিশ তাকে দেখেও দেখে না। ফ্যাসিস্ট ডেরাতে অবস্থান করেই নুর পূর্নোদ্যমে এখন রাজনীতি করছেন, দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বেশ খানিকটা মান-অভিমানের নাটক করে নুর সম্প্রতি মান্না-সাকির জোট ছেড়ে নিজের শক্তিমত্তা দেখানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রেজা কিবরিয়ার সাথেও বেশ কিছুদিন ধরে তার দ্বন্দ চলছে বলেই আমরা বিভিন্ন সূত্র থেকে খবর পাচ্ছি। সরকার কেন তার প্রতি নমনীয় প্রসঙ্গে নুরের একটি ব্যাখ্যা কদিন আগে মানবজমিন পত্রিকার ক্লিপে শুনলাম। বক্তব্য শুনে আমার মনে হলো, পাতানো নির্বাচন করতে শেখ হাসিনা শেষ পর্যন্ত সক্ষম হলে নুর সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবার পথ খোলা রাখতেই আগ্রহী। আর হাসিনা ব্যর্থ হলে, তরুন নেতা আবার লড়াকু রূপে আবির্ভূত হবেন। একেই তো বলে “Win-Win Situation”। নাজমুল হুদার “তৃণমূল বিএনপি”র পর ফ্যাসিবাদের দ্বিতীয় ক্রমশ: দৃশ্যমান দালাল দলকে আমরা আশা করি চিনতে শুরু করেছি।

এবার এ বি পার্টি নিয়ে আলোচনা। এই দলের অনেকেই আমার পূর্ব পরিচিত। জামাতে ইসলামী থেকে দলছুট এ বি পার্টির প্রধান সোলায়মান চৌধুরী আমলা ছিলেন। প্রধান সমন্বয়কারি, মুজিবর রহমান মঞ্জুকে দিগন্ত টিভির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সাবেক শিবির নেতা হিসেবে চিনতাম। প্রধান উপদেষ্টা ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক দেশে থাকা অবস্থায় আমার শতাধিক মামলার কয়েকটিতে আইনজীবী ছিলেন। ২০১০ সালে আদালত অবমাননার দুটি মামলার মধ্যে একটিতে তিনি আমার ডিফেন্স ল’ইয়ার হিসেবে চমৎকার সব আইনের ধারা উত্থাপন করেছিলেন। অন্য মামলাটিতে আমি নিজেই আত্মপক্ষ সমর্থন করেছিলাম। দলটির আরো দুই নেতা এডভোকেট তাজুল এবং ডা: মিনারও পূর্ব পরিচিত। তারা কেন বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থায় মূল দল থেকে বেরিয়ে গিয়ে নতুন দল গঠন করেছেন তার কারণ উদ্যোক্তারা এবং জামাত নেতারা ভাল জানেন। তবে দলটির ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গণ আন্দোলনে সম্পূর্ণভাবে মনোনিবেশের পরিবর্তে নিবন্ধন প্রাপ্তিতে মনোযোগ দেয়াকে সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখার যুক্তিসংগত কারণ আছে। যে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে আমরা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্বীকার করি না, তার সৃষ্ট ইলেকশন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করাকে আমি অবৈধ ইলেকশন কমিশনকে স্বীকৃতি দেয়া এবং সুবিধাবাদি নীতি হিসেবে বিবেচনা করি। এই কট্টর নীতির কারণেই আমি কখনও রাজনীতিবিদ হওয়ার চেষ্টা করি নাই। একটি চরম ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ব্যবস্থায় নুরের দল এবং এ বি পার্টি যে কোন বিশেষ হয়রানি ছাড়াই তাদের কার্যক্রম চালাতে পারছে এর পিছনের কারণ হিসেবে দল দুটির রাষ্ট্র কিংবা সরকারের কোন না কোন অংশের সাথে যোগসাজসের কেউ সন্দেহ করলে তাকে একেবারে উপেক্ষা করা যাবে না। এই লেখার মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করছি, ডিজিএফআই কিংবা অন্য কোন সরকারী গোয়েন্দা সংস্থার খপ্পরে একবার পড়লে তার জাল থেকে আর বার হওয়া সম্ভব হয় না। সম্ভাব্য পাতানো নির্বাচনে ফ্যাসিবাদি সরকারের তৃতীয় দালাল রূপে এ বি পার্টি অবশেষে আবির্ভূত হলে রাজনীতিতে অভিজ্ঞ ব্যক্তিগত শুভানুধ্যায়ীরা বিস্মিত না হলেও এ বি’র নেতাদের আদর্শচ্যূতিতে মর্মাহত হয়ত হবে। তৃণমূল, নুর এবং এ বি’র বাইরে আরো অসংখ্য দালালরা কিছু অর্থকড়ির লোভে ইসির বারান্দায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেদিন পত্রিকায় দেখলাম উচ্চ আদালতের আওয়ামী জোকার বিচারকরা কি এক “ইনসান পার্টি”কে (নামে ভুল হলে নিজ গুনে মাফ করবেন) নিবন্ধন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে এবং ইসি সেই নির্দেশ পালনও করে ফেলেছে। ইনসানের দেখাদেখি জানোয়ারদেরও এবার নিবন্ধন নেয়ার পালা। তাদেরও তো হাসিনার খোয়াড়ের এমপি হওয়ার খায়েশ হতে পারে।

যাই হোক, শেখ হাসিনার বাঁচামরার লড়াইয়ের প্ল্যানের মধ্যে জামাতে ইসলাম এবং হেফাজতে ইসলামও রয়েছে। সেই সম্পর্কে আগামী সম্পাদকীয়তে লেখার ইচ্ছা পোষণ করে আজ সমাপ্তি টানছি।

লেখক: মাহমুদুর রহমান
সম্পাদক, আমার দেশ
১১/০৫/২০২৩

পঠিত : ৬৭৫ বার

মন্তব্য: ০