কুরবানি দাতার কাছ থেকে আল্লাহ তাআলা কী চায়?
তারিখঃ ২৮ জুন, ২০২৩, ০৫:৪৪
একদিন পরেই আমাদের মাঝে উপস্থিত হচ্ছে পবিত্র ইদুল আযহা। এই দিনটি আমাদের মুসলিম সমাজের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর কারণ, কুরবান। ইবরাহিম এবং ইসমাইল আলাইহিস সালামের ত্যাগের অনুপম দৃষ্টান্তকে স্মরণীয় করে রাখতে এইদিন আল্লাহ তাআলা আমাদের সামর্থ্যবানদের উপর পশু জবাই করে কুরবানি দেয়াকে ওয়াজিব করে দিয়েছেন।
কুরবানির জন্য আমরা জবেহ করি বড় বড় গরু, মহিষ, ছাগল ইত্যাদি। এই জবাইকৃত পশুর গোশতো আমরা ভক্ষণ করি। বিতরণ করি আত্মীয়-স্বজন, পাড়াপড়শি এবং গরিব মিসকিনদেরকেও। কিন্তু আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআলা কী চায় আমাদের এই কুরবানি থেকে?
পবিত্র কুরআন মাজিদে লক্ষ্য করলে দেখতে পাই, আল্লাহ তাআলা বলেন-
এগুলোর (কুরবানি পশু) গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, বরং তাঁর কাছে পৌঁছে তোমাদের মনের তাকওয়া। (সূরা হজ্ব, আয়াত:৩৭)
অর্থাৎ, আল্লাহ তাআলা আমাদের মনের বিষয়টি দেখতে চায়। তিনি দেখতে চান আমরা কি তাঁর সন্তুষ্টির জন্য কুরবানি করছি, না মানুষকে দেখানোর জন্য, মানুষের প্রশংসা পাওয়ার জন্য, না কুরবানি না করলে মানুষ কী বলে সেই দিক বিবেচনা করে কুরবানি করি, তাই আল্লাহ তাআলা দেখতে চান।
হাদিস শরিফে এসেছে-
রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তোমাদের চেহারা ও সম্পদের দিকে তাকান না। বরং তিনি তাকান তোমাদের অন্তর ও আমলের দিকে। (সহীহ মুসলিম)
পবিত্র কুরআনের অন্যত্র আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমার রবের জন্য সালাত আদায় করুন এবং কুরবানি করুন। (সূরা কাউছার, আয়াত:২)
সূরা আনআম’র ১৬২ নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, বলুন! নিশ্চয় আমার নামাজ, আমার কুরবানি, আমার জীবন, আমার মরণ সবকিছু বিশ্ব প্রতিপালক আল্লাহর জন্য।
সুতরাং আমাদের কুরবানি করতে হবে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর হুকুম পালন এবং তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন করার জন্য। নচেৎ আল্লাহ তাআলার কাছে এই কুরবানি গৃহীত হবে না।
~জাহেদুল ইসলাম
ই-মেইল:
[email protected]

মন্তব্য: ০