Alapon

জাহান্নাম


জাহান্নাম বিষয়ক সকল আল-কোরআনের আয়াত সমূহ (রেফারেন্স সহ) লিখিত আকারে তুলে ধরা হলোঃ

1️⃣ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ জাহান্নামে প্রবেশ করবে। জাহান্নামীদের সংখ্যার আধিক্য বর্ণনা করতে গিয়ে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, হাজারে নয়শত নিরানব্বই জন মানুষ জাহান্নামে প্রবেশ করবে। এর পরেও আল্লাহ তা‘আলা জাহান্নামীদেরকে বিশাল আকৃতির দেহ দান করবেন। যেমন- তাদের এক একটি দাঁত হবে উহুদ পাহাড়ের সমান, এক কাঁধ থেকে অপর কাঁধের দুরুত্ব একজন দ্রুতগামী অশ্বারোহীর তিন দিনের পথ, চামড়া হবে তিন দিনের পথ পরিমান মোটা, যা জাহান্নামীদের দেহ অবয়ব অধ্যায়ে আলোচনা করব ইন্‌শাআল্লাহ। এতো বিশালাকৃতির হাজারে নয়শত নিরানব্বই জন মানুষ জাহান্নামে প্রবেশ করলেও তা পূর্ণ হবে না। শেষ পর্যন্ত আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নিজের পাঁ জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন। আল্লাহ তা‘আলা জাহান্নামকে বলবেন: ‘সেদিন আমি জাহান্নামকে জিজ্ঞেস করব, তুমি কি পূর্ণ হয়ে গেছ? জাহান্নাম বলবে, আরও কিছু আছে কি?’
সূরা ক্বাফ: ৩০

এই উত্তর শুনে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নিজ পাঁ জাহান্নামের মধ্যে প্রবেশ করাবেন। এ সম্পর্কে হাদীছে এসেছে, আনাস ইবনে মালেক (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, জাহান্নামে অনবরত (জ্বিন-মানুষ) কে নিক্ষেপ করা হবে। তখন জাহান্নাম বলতে থাকবে, আরো অধিক কিছু আছে কি? এভাবে ততক্ষণ পর্যন্ত বলতে থাকবে, যতক্ষণ না আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নিজ পাঁ প্রবেশ করাবেন। তখন জাহান্নামের একাংশ অপর অংশের সাথে মিলে যাবে এবং বলবে, তোমার মর্যাদা ও অনুগ্রহের কসম! যথেষ্ট হয়েছে, যথেষ্ট হয়েছে।

আরো বলা হয় যে, জাহান্নাম এসে পাপীদের দেখে একটি ভয়াবহ চিৎকার করবে। অনএ হাদিসে এসেছে এই চিৎকার জদি জাহান্নাম আগে কখনো দেয়/দিতো তাহলে মহাপ্রলয়ের জন্য/কেয়ামতের তথা পুরো কায়নাত ধংসের জন্য সুধু এই চিৎকারই যথেষ্ট ছিলো।
কারন জাহান্নাম তখন থাকবে ভয়াবহ হিংস্র ও খুধার্থ।এই দিনের জন্য তো জাহান্নামের সৃষ্টি।
( আল্লাহু আকবার )

➡️ জাহান্নামের জ্বালানীঃ↙️
আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা কর, যার ইন্ধন হবে মানুষ এবং পাথর, যাতে নিয়োজিত আছে নির্মমহৃদয়, কঠোরস্বভাব ফিরিশতাগণ, যারা অমান্য করেনা তা, যা আল্লাহ তাদেরকে আদেশ করেন। আর তারা যা করতে আদিষ্ট হয় তাই করে’।
সূরা আত-তাহরীম: ৬

আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ‘তোমরা এবং আল্লাহর পরিবর্তে তোমরা যাদের ইবাদত কর সেগুলি তো জাহান্নামের ইন্ধন; তোমরা সকলে উহাতে প্রবেশ করবে’।
সূরা আম্বিয়া: ৯৮

মানুষ আল্লাহ তা‘আলাকে বাদ দিয়ে যে সকল ব্যক্তি বা বস্তুকে মা‘বুদ হিসাবে গ্রহণ করেছে, আল্লাহ তা‘আলা জাহান্নামের জ্বালানী হিসাবে মানুষ এবং পাথরের সাথে সে সকল মা‘বুদদেরকেও জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তোমরা এবং আল্লাহর পরিবর্তে তোমরা যাদের ইবাদত কর সেগুলিতো জাহান্নামের ইন্ধন, তোমরা সকলে তাতে প্রবেশ করবে। যদি তারা ইলাহ হতো তবে তারা জাহান্নামে প্রবেশ করত না, তাদের সকলেই তাতে (জাহান্নামে) স্থায়ী হবে’।
সূরা আম্বিয়া: ৯৮-৯৯

আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আর বাম দিকের দল, কত হতভাগ্য বাম দিকের দল! তারা থাকবে তীব্র গরম হাওয়া এবং প্রচন্ড উত্তপ্ত পানিতে, আর প্রচন্ড কালো ধোঁয়ার ছাঁয়ায়, যা শীতলও নয়, সুখকরও নয়’
সূরা ওয়াকি‘আহ: ৪১-৪৪

অত্র আয়াত সমূহ থেকে প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহ তা‘আলা ক্বিয়ামতের দিনের প্রচন্ড তাপ থেকে মানুষকে ঠান্ডা করবেন তিনটি বস্তু দ্বারা, তা হল: ১- পানি ২- বাতাস এবং ৩- ছাঁয়া, যার সামান্যটুকুও জাহান্নামীদেরকে দেয়া হবে না।
আল্লাহ তা‘আলা জাহান্নামের আগুনের প্রখরতা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি তাকে নিক্ষেপ করব সাকার-এ, তুমি কি জান সাকার কি? উহা তাদেরকে জীবিতাবস্থায় রাখবে না এবং মৃত অবস্থায়ও ছেড়ে দেবে না, ইহা তো গাত্রচর্ম দগ্ধ করবে’
সূরা মুদ্দাছছির: ২৬-২৯

আর জাহান্নামের আগুনের তাপ কখনো প্রশমিত হবেনা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘অতঃপর তোমরা আস্বাদ গ্রহণ কর, আমি তো তোমাদের শাস্তিই শুধু বৃদ্ধি করব’
সূরা নাবা: ৩০
তিনি অন্যত্র বলেন, ‘যখনই উহা (জাহান্নামের আগুন) স্তিমিত হবে আমি তখনই তাদের জন্য অগ্নিশিখা বৃদ্ধি করে দেব’
সূরা বানী ইসরাঈল: ৯৭
যার কারণে জাহান্নামীরা কখনো সামান্যটুকু বিশ্রামের অবকাশ পাবে না এবং তাদের থেকে শাস্তির কিছুই কমানো হবে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘সুতরাং তাদের শাস্তি লাঘব করা হবে না এবং তারা কোন সাহায্যপ্রাপ্ত হবে না’
সূরা বাক্বারহা: ৮৬
নিশ্চয়ই ইহা তাদেরকে পরিবেষ্টন করে রাখবে দীর্ঘায়িত স্তম্ভসমূহে’
সূরা হুমাযাহ্: ১-৯

➡️ জাহান্নামের প্রহরীঃ↙️
মহান আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামীন নির্মমহৃদয়, কঠোরস্বভাব ফেরেশতাগণকে জাহান্নামের প্রহরী নিযুক্ত করেছেন যারা আল্লাহর আদেশ পালনে সদা প্রস্তুত থাকে, কখনোই তা অমান্য করে না। এ সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলার বাণী, ‘হে মু’মিনগণ তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা কর, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর, যাতে নিয়োজিত আছে নির্মমহৃদয়, কঠোরস্বভাব ফেরেশতাগণ, যারা অমান্য করে না আল্লাহ তাঁদেরকে যা আদেশ করেন তা পালনে। আর তাঁরা যা করতে আদিষ্ট হয় তাই পালন করে’
সূরা আত-তাহরীম: ৬
আর জাহান্নামের প্রহরী হিসাবে নিয়োজিত ফেরেশতাগণের সংখ্যা ১৯ জন। আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন: ‘আমি তাদেরকে নিক্ষেপ করব সাকার-এ। তুমি কি জান সাকার কি? উহা তাদেরকে জীবিত অবস্থায় রাখবে না এবং মৃত অবস্থায়ও ছেড়ে দেবে না। ইহা গাত্রচর্ম দগ্ধ করবে। সাকার-এর তত্ত্বাবধানে রয়েছে উনিশজন প্রহরী’।
সূরা মুদ্দাছছির: ২৬-৩০
আয়াতে উল্লেখিত সংখ্যা দ্বারা আল্লাহ তা‘আলা কাফিরদেরকে পরীক্ষায় ফেলেছেন। কারণ, তারা ধারণা করে যে, এই অল্প সংখ্যক ফেরেশতার শক্তির সাথে বিপুল পরিমাণ জাহান্নামীদের বিজয়লাভ সম্ভব। কিন্তু তারা জানেনা যে, একজন ফেরেশতার শক্তি দুনিয়ার সকল মানুষের চেয়েও বেশী। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আমি ফেরেশতাগণকে জাহান্নামের প্রহরী নিযুক্ত করেছি, কাফিরদের পরীক্ষাস্বরূপই আমি তাদের এই সংখ্যা উল্লেখ করেছি যাতে কিতাবীদের দৃঢ় প্রত্যয় জন্মে, বিশ্বাসীদের বিশ্বাস বৃদ্ধি হয় এবং বিশ্বাসীরা ও কিতাবীগণ সন্দেহ পোষণ না করে’
সূরা মুদ্দাছছির: ৩১

➡️ জাহান্নামীদের খাদ্য-পানীয় এবং পোষাক-পরিচ্ছদঃ↙️
জাহান্নামীদের খাদ্য হবে যাক্কুম এবং কাঁটাযুক্ত এক প্রকার গাছ। আর পানীয় হবে রক্ত-পুঁজ মিশ্রিত গরম দূর্গন্ধময় পানি। আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র কুরআন মাজীদে ইরশাদ করেন, ‘তাদের জন্য খাদ্য থাকবে না কাঁটাযুক্ত ফল ব্যতীত, যা তাদেরকে পুষ্ট করবে না এবং তাদের ক্ষুধা নিবৃত্তি করবে না’
সূরা গাশিয়া: ৬-৭
জাহান্নামীদের খাদ্য হিসাবে নির্ধারিত যাক্কুম সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই যাক্কূম বৃক্ষ হবে পাপীদের খাদ্য, গলিত তামার মত তাদের উদরে ফুটতে থাকবে ফুটন্ত পানির মত’।
সূরা দুখান: ৪৩-৪৬
আর যাক্কুম-এর আকৃতি উল্লেখ করে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আপ্যায়নের জন্য কি ইহাই শ্রেয় না যাক্কুম বৃক্ষ? যালিমদের জন্য আমি ইহা সৃষ্টি করেছি পরীক্ষাস্বরূপ, এই বৃক্ষ উদগত হয় জাহান্নামের তলদেশ হতে, ইহার মোচা যেন শয়তানের মাথা, তারা ইহা হতে ভক্ষণ করবে এবং উদর পূর্ণ করবে ইহা দ্বারা। তদুপরি তাদের জন্য থাকবে ফুটন্ত পানির মিশ্রণ। আর তাদের গন্তব্য হবে অবশ্যই প্রজ্জ্বলিত অগ্নির দিকে’
সূরা ছাফফাত: ৬২-৬৮
অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘অতঃপর হে বিভ্রান্ত অস্বীকারকারীরা! তোমরা অবশ্যই আহার করবে যাক্কুম বৃক্ষ হতে এবং উহা দ্বারা তোমরা উদর পূর্ণ করবে, পরে তোমরা পান করবে উহার উপর গরম পানি, আর পান করবে পিপাষিত উটের ন্যায়। ক্বিয়ামতের দিন ইহাই হবে তাদের আপ্যায়ন
সূরা ওয়াকিয়াহ: ৫১-৫৬

আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আমার নিকট আছে শৃংখল ও প্রজ্জ্বলিত অগ্নি, আর আছে এমন খাদ্য, যা গলায় আটকিয়ে যায় এবং মর্মন্তুদ শাস্তি’।
সূরা মুযযাম্মিল: ১২-১৩

আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘এবং যাদেরকে (জাহান্নামী) পান করতে দেয়া হবে ফুটন্ত পানি যা তাদের নাড়িভূঁড়ি ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করে দিবে’
সূরা মুহাম্মাদ: ১৫

আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ‘অতএব এই দিন সেথায় তার কোন সহৃদ থাকবে না এবং কোন খাদ্য থাকবে না ক্ষত নিঃসৃত স্রাব ব্যতীত, যা অপরাধী ব্যতীত কেহ খাবে না’।
সূরা হাক্কাহ: ৩৫-৩৭

আল্লাহ আরো বলেন, ‘ইহা সীমালংঘনকারীদের জন্য। সুতরাং তারা আস্বাদন করুক ফুটন্ত পানি ও পুঁজ। আরও আছে এইরূপ বিভিন্ন ধরনের শাস্তি’
সূরা ছাদ: ৫৭-৫৮

জাহান্নামীদের পানীয় হিসাবে আল্লাহ তা‘আলা আরো নির্ধারণ করেছেন গরম পানি। তিনি ইরশাদ করেন: ‘এবং যাদেরকে (জাহান্নামী) পান করতে দেয়া হবে ফুটন্ত পানি যা তাদের নাড়িভূঁড়ি ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করে দিবে’
সূরা মুহাম্মাদ: ১৫

আল্লাহ অন্যত্র বলেন, ‘তারা পানীয় চাইলে তাদেরকে দেয়া হবে গলিত ধাতুর ন্যায় পানীয়, যা তাদের মুখমণ্ডল দগ্ধ করবে, ইহা নিকৃষ্ট পানীয় ও অগ্নি কত নিকৃষ্ট আশ্রয়’
সূরা কাহফ: ২৯

আল্লাহ অন্যত্র বলেন, ‘তাদের প্রত্যেকের জন্য পরিণামে জাহান্নাম রয়েছে এবং প্রত্যেককে পান করানো হবে গলিত পুঁজ, যা সে অতি কষ্টে গলাধঃকরণ করবে এবং উহা গলাধঃকরণ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে। সর্বদিক হতে তার নিকট আসবে মৃত্যু যন্ত্রণা কিন্তু তার মৃত্যু ঘটবে না এবং সে কঠোর শাস্তি ভোগ করতেই থাকবে’
সূরা ইবরাহীম: ১৬-১৭

অতএব, উল্লেখিত আয়াত সমূহ থেকে প্রতীয়মাণ হয় যে, জাহান্নামীদের পানীয় হিসাবে আল্লাহ তা‘আলা চার প্রকারের বস্তু নির্ধারণ করেছেন। যেমনঃ↙️

গরম পানি যার উত্তপ্ততা শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে, যার পরে অধিক গরম করা সম্ভব নয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, তারা জাহান্নামের অগ্নি ও ফুটন্ত পানির মধ্যে ছুটাছুটি করবে।
সূরা আর-রাহমান: ৪৪

আল্লাহ আরো বলেন, তাদের পান করানো হবে ফুটন্ত ঝর্ণা থেকে।
সূরা গাশিয়াহ: ৫

আয়াতে তাপের শেষ পর্যায়কে বুঝানো হয়েছে যার পরে অধিক গরম করা সম্ভব নয়।
➡️ জাহান্নামীদের শরীর হতে গড়িয়ে পড়া রক্ত পুঁজ মিশ্রিত গরম তরল পদার্থ। অথবা বলা হয়ে থাকে যেনাকারী মহিলাদের লজ্জাস্থান হতে দুর্গন্ধযুক্ত যা বের হয় তা।
➡️ জাহান্নামীদের গোশত এবং চামড়া নিঃসৃত পুঁজ।
➡️ গলিত তামা।
আর পোষাক হিসাবে আল্লাহ তা‘আলা জাহান্নামীদের জন্য আগুনের তৈরী পোষাক নির্ধারণ করেছেন। যেমন-
????আল্লাহ বলেছেন, ‘যারা কুফরী করে তাদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে আগুনের পোষাক, আর তাদের মাথার উপর ঢালা হবে ফুটন্ত পানি’
???? সূরা হাজ্জ: ১৯☝️????
????আল্লাহ আরো বলেন, ‘সেই দিন তুমি অপরাধীদেরকে দেখবে শৃংখলিত অবস্থায়, আর তাদের জামা হবে আলকাতরার এবং অগ্নি আচ্ছন্ন করবে তাদের মুখমণ্ডল’
???? সূরা ইবরাহীম: ৪৯-৫০☝️????
????আল্লাহ তা‘আলা জাহান্নামীদের জন্য কঠিন থেকে কঠিনতর বিভিন্ন প্রকার অত্যন্ত ভয়ংকর শাস্তি নির্ধারণ করেছেন, যা থেকে জাহান্নামীরা জীবনের সবকিছুর বিনিময়ে মুক্তিলাভের চেষ্টা করবে। কিন্তু তাতে কোন লাভ হবে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ‘যারা কুফরী করে এবং কাফিররূপে যাদের মৃত্যু ঘটে তাদের কারো নিকট হতে পৃথিবী পূর্ণ স্বর্ণ বিনিময়-স্বরূপ প্রদান করলেও তা কখনও কবুল করা হবে না। এরাই তারা যাদের জন্য মর্মন্তুদ শাস্তি রয়েছে, এদের কোন সাহায্যকারী নাই’
???? সূরা আল-ইমরান: ৯১☝️????
???? আল্লাহ আরো বলেন, ‘যারা কুফরী করেছে ক্বিয়ামতের দিন শাস্তি হতে মুক্তি লাভের জন্য পণ-স্বরূপ দুনিয়ায় যা কিছু আছে তাদের তার সমস্তই থাকে এবং তার সহিত সমপরিমাণ আরও থাকে তবুও তাদের নিকট হতে তা গৃহীত হবে না এবং তাদের জন্য মর্মন্তুদ শাস্তি রয়েছে’
???? সূরা মায়িদা: ৩৬☝️????

➡️ অপরাধ অনুযায়ী শাস্তির তারতম্যঃ↙️✍️
1️⃣ আল্লাহ তা‘আলা তাঁর কোন বান্দার উপর যুলুম করবেন না, বিধায় তিনি জাহান্নামকে বিভিন্ন স্তরে ভাগ করেছেন এবং স্তরভেদে আযাবের তারতম্য সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই মুনাফিকদের স্থান জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে’
???? সূরা নিসা: ১৪৫☝️????
????আল্লাহ্ অন্যত্র বলেছেন, ‘এবং যেদিন ক্বিয়ামত ঘটবে সেদিন বলা হবে ফিরআউন সম্প্রদায়কে নিক্ষেপ কর কঠিন শাস্তিতে’
???? সূরা মু’মিন: ৪৬☝️????
???? আল্লাহ্ অন্যত্র বলেছেন, ‘যারা কুফরী করে এবং আল্লাহর পথে বাধাদান করে, আমি তাদের শাস্তির উপর শাস্তি বৃদ্ধি করব। কারণ, তারা অশান্তি সৃষ্টি করে’
???? সূরা নাহল: ৮৮☝️????
2️⃣ জাহান্নামীদের গাত্রচর্ম দগ্ধকরণঃ
????আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ‘যারা আমার আয়াতকে প্রত্যাখ্যান করে তাদেরকে অগ্নিতে দগ্ধ করবই, যখনই তাদের চর্ম দগ্ধ হবে তখনই তার স্থলে নতুন চর্ম সৃষ্টি করব, যাতে তারা শাস্তি ভোগ করে। আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়’
???? সূরা নিসা: ৫৬☝️????
3️⃣ মাথায় গরম পানি ঢেলে শাস্তি প্রদানঃ
????আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘যারা কুফরী করে তাদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে আগুনের পোষাক, আর তাদের মাথার উপর ঢালা হবে ফুটন্ত পানি, যা দ্বারা তাদের পেটে যা আছে তা এবং তাদের চর্ম বিগলিত করা হবে’
???? সূরা হাজ্জ: ১৯-২০☝️????
4️⃣ আল্লাহ তা‘আলা সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসাবে কিন্তু যারা আল্লাহ তা‘আলার উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন না করে তাঁর নাফরমানী করবে তাদের মুখমণ্ডলের মর্যাদাকে ধুলায় ধুসরিত করে সর্বপ্রথম মুখমণ্ডলকেই জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।
????আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ‘যে কেহ অসৎকর্ম নিয়ে আসবে, তাকে অধোমুখে নিক্ষেপ করা হবে অগ্নিতে এবং তাদেরকে বলা হবে, তোমরা যা করতে তারই প্রতিফল তোমাদেরকে দেয়া হচ্ছে’
???? সূরা নামল: ৯০☝️????
????আল্লাহ্ অন্যত্র বলেছেন, ‘হায়! যদি কাফিরেরা সেই সময়ের কথা জানত যখন তারা তাদের সম্মুখ ও পশ্চাৎ হতে অগ্নি প্রতিরোধ করতে পারবে না এবং তাদেরকে সাহায্য করাও হবে না’
???? সূরা আম্বিয়া: ৩৯☝️????
???? আল্লাহ অন্যত্র বলেছেন, ‘অগ্নি তাদের মুখমণ্ডল দগ্ধ করবে এবং তারা তথায় থাকবে বীভৎস চেহারায়’
???? সূরা মু’মিনুন: ১০৪☝️????
????আল্লাহ অন্যত্র বলেছেন, ‘তাদের জামা হবে আলকাতরার এবং অগ্নি আচ্ছন্ন করবে তাদের মুখমণ্ডল’
???? সূরা ইবরাহীম: ৫০☝️????
???? আল্লাহ অন্যত্র বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ক্বিয়ামতের দিন তার মুখমণ্ডল দ্বারা কঠিন শাস্তি ঠেকাতে চাইবে, সে কি তার মত যে নিরাপদ? সীমালংঘনকারীদেরকে বলা হবে, তোমরা যা অর্জন করতে তার শাস্তি আস্বাদন কর’
???? সূরা যুমার: ২৪☝️????
????আল্লাহ্ অন্যত্র বলেছেন, ‘যেদিন তাদের মুখমণ্ডল অগ্নিতে উলট পালট করা হবে সে দিন তারা বলবে, হায়! আমরা যদি আল্লাহর আনুগত্য করতাম এবং রাসূলের আনুগত্য করতাম’!
???? সূরা আহযাব: ৬৬☝️????
????আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ‘যারা অস্বীকার করে কিতাব ও যা সহ আমার রাসূলকে প্রেরণ করেছি তা, শীঘ্রই তারা জানতে পারবে যখন তাদের গলদেশে বেড়ি ও শৃংখলিত থাকবে, তাদেরকে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে ফুটন্ত পানিতে, অতঃপর তাদেরকে দগ্ধ করা হবে অগ্নিতে’
???? সূরা মু’মিন: ৭০-৭২☝️????
????আল্লাহ্ অন্যত্র বলেছেন, ‘ক্বিয়ামতের দিন আমি তাদেরকে সমবেত করব তাদের মুখে ভর দিয়ে চলা অবস্থায় অন্ধ, মুক ও বধির করে। আর তাদের আবাস স্থল জাহান্নাম, যখনই উহা স্তিমিত হবে আমি তখন তাদের জন্য অগ্নিশিখা বৃদ্ধি করে দেব’
???? সূরা বানী ইসরাইল: ৯৭☝️????
????আল্লাহ্ অন্যত্র বলেছেন, ‘অপরাধীরা বিভ্রান্ত ও বিকারগ্রস্ত, যেদিন তাদেরকে উপুড় করে মুখের উপর ভর করে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে জাহান্নামের দিকে, সে দিন বলা হবে, জাহান্নামের যন্ত্রণা আস্বাদন কর’
???? সূরা ক্বামার: ৪৭-৪৮☝️????
???? আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ‘সেদিন কতক মুখ উজ্জ্বল হবে এবং কতক মুখ কালো হবে, যাদের মুখ কালো হবে তাদেরকে বলা হবে, ঈমান আনয়নের পর কি তোমরা সত্য প্রত্যাখ্যান করেছিলে? সুতরাং তোমরা শাস্তি ভোগ কর, যেহেতু তোমরা সত্য প্রত্যাখ্যান করতে’
???? সূরা আল-ইমরান: ১০৬☝️????
????আল্লাহ্ অন্যত্র বলেছেন, ‘যারা মন্দ কাজ করে তাদের প্রতিফল অনুরূপ মন্দ এবং তাদেরকে হীনতা আচ্ছন্ন করবে, আল্লাহ হতে তাদেরকে রক্ষা করার মত কেউ নাই, তাদের মুখমণ্ডল যেন রাত্রির অন্ধকার আস্তরণে আচ্ছাদিত। তারা অগ্নির অধিবাসী, সেথায় তারা স্থায়ী হবে’
???? সূরা ইউনুস: ২৭☝️????
????জাহান্নামীরা আবদ্ধ থাকবে আগুনের বেষ্টনীতে
কাফিরগণ যারা জাহান্নামের চিরস্থায়ী অধিবাসী, তাদের পাপ যেমন তাদেরকে বেষ্টন করে আছে, তেমনি জাহান্নামের আগুন তাদের চারিদিক থেকে ঘিরে ধরবে। সেখান থেকে তাদের পালানোর কোনই পথ থাকবে না। যেমন- আল্লাহ তা‘আলা ইহুদীদের কথার জবাবে বলেন, ‘হাঁ, যারা পাপকার্য করে এবং যাদের পাপরাশি তাদেরকে পরিবেষ্টন করে তারাই অগ্নিবাসী। সেখানে তারা স্থায়ী হবে’
???? সূরা বাক্বারাহ: ৮১☝️????
???? আল্লাহ্ অন্যত্র বলেছেন, ‘তাদের শয্যা হবে জাহান্নামের এবং তাদের উপরের আচ্ছাদনও (হবে জাহান্নামের)’
???? সূরা আ‘রাফ: ৪১☝️????
অর্থাৎ জাহান্নামের আগুন জাহান্নামীদের উপর এবং নীচ হতে আচ্ছাদন করবে।
যেমন- আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘সেদিন শাস্তি তাদেরকে আচ্ছাদন করবে উপর এবং পাঁয়ের নীচ হতে এবং তিনি বলবেন, তোমরা যা করতে তার স্বাদ গ্রহণ কর’
???? সূরা আনকাবুত: ৫৫☝️????
???? আল্লাহ অন্যত্র বলেছেন, ‘তাদের জন্য থাকবে তাদের উপর দিকে অগ্নির আচ্ছাদন এবং নীচের দিকেও আচ্ছাদন’
???? সূরা যুমার: ১৬☝️????
অতএব জাহান্নামীগণ তাদের চতুর্দিক হতে আগুন দ্বারা বেষ্টিত থাকবে। যেমন- আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘জাহান্নাম তো কাফিরদেরকে বেষ্টন করে আছে’
???? সূরা তাওবা: ৪৯☝️????
আল্লাহ সোবহানাহ্ তাআ'লা অন্যত্র বলেনঃ
‘আমি সীমালংঘনকারীদের জন্য প্রস্তুত রেখেছি অগ্নি, যার বেষ্টনী তাদেরকে পরিবেষ্টন করে থাকবে। তারা পানীয় চাইলে তাদেরকে দেয়া হবে গলিত ধাতুর ন্যায় পানীয়, যা তাদের মুখমণ্ডল দগ্ধ করবে; ইহা নিকৃষ্ট পানীয় ও অগ্নি কত নিকৃষ্ট আশ্রয়’
???? সূরা কাহফ: ২৯☝️????
????আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ‘আমি তাকে নিক্ষেপ করব সাকার-এ, তুমি কি জান সাকার কি? উহা তাদেরকে জীবিতাবস্থায় রাখবে না ও মৃত অবস্থায় ছেড়ে দেবে না। ইহা তো গাত্রচর্ম দগ্ধ করবে’
???? সূরা মুদ্দাছছির: ২৬-২৯☝️????
আল্লাহ তাআ'লা অন্যত্র বলেছেনঃ ‘কখনও না, সে অবশ্যই নিক্ষিপ্ত হবে হুতামায়, তুমি কি জান, হুতামা কি? ইহা আল্লাহর প্রজ্জ্বলিত হুতাশন, যা হৃদয়কে গ্রাস করবে’
???? সূরা হুমাযাহ: ৪-৭☝️????

জাহান্নামীদেরকে গলায় লোহার শিকল দিয়ে আগুনের মধ্যে বেঁধে রাখা হবে
আল্লাহ তা‘আলা জাহান্নামবাসীদেরকে তাদের গলায় লোহার শিকল দিয়ে এমনভাবে বেঁধে রাখবেন, যেখান থেকে তারা পালাতে পারবে না।
????আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ‘আমি অকৃতজ্ঞদের জন্য প্রস্তুত রেখেছি শৃংখল, বেড়ী ও লেলিহান অগ্নি’।
???? সূরা দাহার: ৪☝️????
????আল্লাহ অন্যত্র বলেছেন, ‘আমার নিকট আছে শৃংখল, প্রজ্জ্বলিত অগ্নি, আর আছে এমন খাদ্য যা গলায় আটকিয়ে যায় এবং মর্মন্তুদ শাস্তি’।
???? সূরাহ মুযযাম্মিল: ১২-১৩☝️????
আয়াতে বর্ণিত হয়েছে বেড়ীর কথা, যা গলায় পরানো হয়। যেমন- পশুর গলায় বেড়ি পরানো হয়। যেমন- আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ‘আমি কাফিরদের গলদেশে শৃংখল পরাব। তাদেরকে তারা যা করত তারই প্রতিফল দেয়া হবে’
???? সূরা সাবা: ৩৩☝️????
????আল্লাহ অন্যত্র বলেছেন, ‘যখন তাদের (জাহান্নামীদের) গলদেশে বেড়ি ও শৃংখল থাকবে, আর উহাদেরকে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে’। (যেমন এক পশুকে রাখা হয়)
???? সূরা মু’মিন: ৭১☝️????
????আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ‘এবং উহাদের জন্য থাকবে লোহার মুদগর। যখনই উহারা যন্ত্রণা-কাতর হয়ে জাহান্নাম হতে বের হতে চাইবে তখনই তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়া হবে উহাতে, আর তাদেরকে বলা হবে, আস্বাদন কর দহন যন্ত্রণা’।
???? সূরা হজ্জ: ২১-২২☝️????
জাহান্নামীরা এবং তাদের মা‘বুদরা একত্রে জাহান্নামে অবস্থান করবে
কাফির-মুশরিকগণ আল্লাহ তা‘আলাকে বাদ দিয়ে যেই মা‘বুদদের সম্মান করে, তাদের ইবাদত করে এবং তাদের পথেই নিজেদের জান-মাল বিলিয়ে দেয়। ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে এবং তাদের ইবাদতকারীদেরক এক সঙ্গে জাহান্নামে নিক্ষেপ করে তাদের অপমানিত ও লাঞ্চিত করবেন এবং তাদের অক্ষমতা প্রমাণ করবেন। তখন তারা জানতে পারবে যে, তারা দুনিয়াতে ছিল পথভ্রষ্ট এবং তারা এমন কিছুর ইবাদত করত যারা কোন উপকার বা ক্ষতি কিছুই করতে সক্ষম নয়।
????আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ‘তোমরা এবং আল্লাহ তা‘আলার পরিবর্তে তোমরা যাদের ইবাদত কর সেগুলি তো জাহান্নামের ইন্ধন, তোমরা সকলেই উহাতে প্রবেশ করবে, যদি উহারা ইলাহ হতো তাহলে উহারা জাহান্নামে প্রবেশ করতনা, তাদের সকলেই উহাতে স্থায়ী হবে’।
???? সূরাহ আম্বিয়া: ৯৮-৯৯☝️????
অতএব, জাহান্নামীদেরকে কঠিন শাস্তি দেওয়ার জন্য আল্লাহ তা‘আলা ক্বিয়ামতের দিন শয়তানগণ অর্থাৎ তারা যাদের ইবাদত করত তাদের সাথে এক সঙ্গে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।
????আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি দয়াময় আল্লাহর স্মরণে বিমুখ হয় আমি তার জন্য নিয়োজিত করি এক শয়তান, অতঃপর সেই হয় তার সহচর। শয়তানরাই মানুষকে সৎপথ হতে বিরত রাখে, অথচ মানুষ মনে করে তারা সৎপথে পরিচালিত হচ্ছে। অবশেষে যখন সে আমার নিকট উপস্থিত হবে, তখন সে শয়তানকে বলবে, হায়! আমার ও তোমার মধ্যে যদি পূর্ব ও পশ্চিমের ব্যবধান থাকত। কত নিকৃষ্ট সহচর সে। আর আজ তোমাদের এই অনুতাপ তোমাদের কোন কাজে আসবে না, যেহেতু তোমরা সীমালংঘন করেছিলে, তোমরা তো সকলেই শাস্তিতে শরীক’
????সূরা যুখরুফ: ৩৬-৩৯☝️????

আল্লাহ সোবহানাহ্ তাআ'লা আমাদের সবাইকে জাহান্নামের ভয়াবহ আজাব থেকে রক্ষা করুক। আমিন ❤️

???? বিঃদ্রঃ ইসলাম প্রচার করা রাসুলুল্লাহ সাঃ এর হুকুম। আমাদের সবাইকেই পার্টটাইম ইসলামের দায়ী হতে হবে। এর জন্য আপনাকে আলেম বা বিজ্ঞ হতে হবে ব্যাপারটা তা মোটেও নয়। তবে শর্ত হলো ইসলামের যাই আপনি প্রচার করেন না কেনো, সহীহ্ নিয়তে একমাএ আল্লাহর রাজিখুশির জন্য করবেন।

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেনঃ↙️✍️
❤️ কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে, প্রত্যেকে তার সমান সাওয়াবের অধিকারী হবে। তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সাওয়াবেও কোন কমতি হবে না। ( সহীহ্ মুসলিমঃ ২৬৭৪ )
❤️ হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ "অবশ্যই প্রচার করো,যদি একটি মাএ আয়াতও হয়।আর যে করে,কে হতে পারে তার হতে উওম আল্লাহর নিকট"। ( সহীহ্ বুখারীঃ ৩৪৬১)
ইসলাম প্রচারে সয়ং আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ↙️✍️
وَمَنْ أَحْسَنُ قَوْلًا مِّمَّن دَعَا إِلَى اللَّهِ وَعَمِلَ صَالِحًا وَقَالَ إِنَّنِي مِنَ الْمُسْلِمِين
“তার কথার চেয়ে উত্তম কথা আর কোন ব্যক্তির হতে পারে, যে মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকে, নেক কাজ করে এবং বলে আমি মুসলমান”
???? সূরাহ হা'মীম সেজদাহ্ঃ ৪১:৩৩☝️????
#ব্যাক্তিগত_মতামতঃ আমার কোন কথা বা উপরোক্ত লিখিত উক্তি যদি কেরআন ও সহীহ্ হাদিসের বিপরিতে যায় দয়াকরে তা ছুড়ে ফেলে দিন এবং যেগুলো সহীহ্ হাদীস নিজে যাচাই-বাছাই করে তারপর গ্রহন ও আমল করুন, যাচাই-বাছাই ব্যাতিত নয়। কারন আমিও আদম সন্তান, তাই ভুলের উর্ধে নই। জাজাকাল্লাহ খাইরান ❤️
আল্লাহু আকবার☝️????

কপি পোস্ট

পঠিত : ২৯০ বার

মন্তব্য: ০