Alapon

"পুরুষতন্ত্রের ক্ষতিকর দিক"



পুরুষতন্ত্র ভীষণ বাজে একটা জিনিস। এরা নারী-পুরুষকে পৃথক করে। অথচ নারী যদ্দুর আল্লাহর খলিফা, পুরুষও তদ্দুর আল্লাহর খলিফা। এরা ওয়াজের হক, শিক্ষকতার হক, অফিসার হবার হক, মিস্ত্রি হবার হক, আমলা হবার হক, কামলা হবার হক; সব কিছুই নিজের মধ্যে রেখে দিয়েছে। নারীদেরকে মাঠে-ঘাটে-হাটে, অফিসে-আদালতে ঘরে-বাইরে; সব জায়গায়ই বঞ্চিত করে রেখেছে।

এই যে ইউক্রেনে ব্যাপক যুদ্ধ হচ্ছে, এইখানেও কিন্তু এই পুরুষতন্ত্রই ঘাপটি মেরে মাটি কামড়ে যুদ্ধের ময়দানে পড়ে আছে। তারা এখানেও বীরত্বের বাহাদুরির অধিকার নিজেদের মধ্যে রেখে দিয়েছে। নারীদেরকে বঞ্চিত করে রেখেছে। অথচ নারী পুরুষ উভয়ই সমান। উভয়ই আল্লাহর খলিফা। উভয়ই বীরত্ব আর বাহাদুরি পাবার সমান হকদার। যদি পুরুষতন্ত্র না থাকতো, তাহলে অতি-অবশ্যই এ ময়দানে নারীরাও দলে দলে নেমে গিয়ে যুদ্ধ করতে পারতো।

এই যে কাঠফাটা রোদের মধ্যে পুরুষতন্ত্র একা একা রিক্সা ড্রাইভ করে নিজেকে পরিশ্রমী প্রমাণ করে, এটা কি নারীকে বঞ্চিত করা না? আপনারা কি মনে করেন নারীরা তা পারতো না? অবশ্যই পারতো। কারণ, উভয়ই আল্লাহর সৃষ্টি। অথচ পুরুষতন্ত্র এই পরিশ্রমের বাহাদুরি নিজের দখলে রেখে দিয়েছে।

এই যে উঁচু উঁচু দালানকোঠায় উঠে উঠে ইমারত নির্মাণ করার মতো বিপুল হিম্মতের কাজ, এটাও দেখবেন খুব সুকৌশলে পুরুষতন্ত্র নিজের দখলে রেখে দিয়েছে। যার কারণে সুবিশাল অট্টালিকা বিনির্মাণের রাজসাক্ষী আমাদের আল্লাহর খালিফা নারীকূল হতে পারছে না।

এভাবে অগণিত জায়গায় পুরুষতন্ত্র প্রচণ্ডভাবেই নারীকে সভ্যতা বিনির্মাণের রাজসাক্ষী হওয়া থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে।

অতএব আজকে আমাদেরকে সমাজের / বিশ্বব্যাপী পুরুষতন্ত্রের ধারক বাহকদের হয়তো নারী পুরুষ উভয়ই সমানভাবে আল্লাহর খলিফা— এই বয়ানের আলোকে একে অন্যের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ময়দানে নেমে যেতে হবে। মানে নামার জায়গা করে দিতে হবে। নতুবা পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে নতুন এক তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য আমাদের আমেনা ওয়াদুদ, এলহাম ওমর এবং ফামা-মামা আপ্পোর নেতৃত্বে ময়দানে নামার প্রস্তুতি নিতে হবে।

~রেদওয়ান রাওয়াহা
১৭.০৭.২৩ ইং

পঠিত : ২৭৭ বার

মন্তব্য: ০