এ দেশ কি নব্য ফিলিস্তিন?
তারিখঃ ১৬ আগস্ট, ২০২৩, ০৬:৩৫
বিশ্বের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ মুসলিম দেশ বাংলাদেশে। এ দেশটার নীতি নৈতিকতা আর অপরাজনীতির সীমা কোথায় ছাড়িয়ে গেছে তা অনুমান করা যায় কি?তবে এ দেশ কি আজ ফিলিস্তিন, কাস্মীর আর মায়ানমার হয়ে গেলো?আমি কি সত্যিই ঠিক আছি!রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা স্বাভাবিক বিষয়। প্রতিদ্বন্দ্বীতা ও স্বাভাবিক বিষয়।একটা বিষয় মনে রাখা দরকার যে,রাজনীতি হলো মানুষের কল্যানের জন্য।তবে আজ আমরা মানুষের কল্যানে করতে পারছি কি?আমরা তো আজ মরা লাশের রাজনীতি ও করি!বিরোধী পক্ষের লাশ কে এত ভয়।কবিতার ভাষায়"তব তোমার শরীরে কি রক্ত মাংস নাহি"।আমরা মুল প্রসংগে আসি,এদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট রাষ্ট্র। অথচ আজ কি আমরা স্বাধীন ভাবে ধর্ম পালন করতে পারছি।একটি গোষ্ঠী বলে ধর্মীয় রাজনীতি করা যাবেনা,অথচ তারাই ধর্ম কে পূঁজি করে রাজনীতির ব্যবসা করে।আজ আমরা জানাজা পডার ও অধিকার হারিয়েছি!তবে কি আমরা ফিলিস্তিন এর কথা বলছি?না পাঠক আমরা আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির কথা বলছি।আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ যেন নব্য ফিলিস্তিন হয়ে গেল।অথচ আমরা আবার বায়তুল মাকদাসে হামালার নিন্দা ও জানাই।তাহলে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এ হামলার নিন্দা জানাবে কে?একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রে যেন আমরা মুসলিমরা আজ পরাধীন। তবে আর কতকাল ধৈর্য্য। আসুন আমরা একটু দেখি,কেন নব্য ফিলিস্তিন বললাম,২০২০ সালে হিন্দু সনাতন ধর্মের পূজাকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমানো হয়।মুর্তির পায়ে কোরআন,অতঃপর সাধারণ মুসল্লিদের প্রতিবাদ।আর সে প্রতিবাদের ফল চাঁদপুরে দেখতে পায়।আওয়ামী লীগ এর কি কোন ধর্ম নাহি।কিভাবে তারা ও পুলিশ একসাথে জাতীয় মসজিদের মতো প্রিয় জায়গায় একসাথে হামলা চালায়।স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী কে কেন্দ্র করে ডাকা মাওলানা মামুনুল হকদের কে কিভাবে পরাভূত করা হয়েছে।১৮জন নিথর দেহ পৃথিবী থেকে বিদায় নিল।আহ এ জীবন গুলোর কি কোণ মুল্য নেই।আজ মাওলানা মামুনুল হক কে তথাকথিত আদালতের প্রহসনের শিকার।একজন বীর তেজস্বী নেতা যেন এখন পঙ্গু।
যাই হোক আমাদের বায়তুল মোকাররম এখন ফিলিন্তিন এর মাসজিদুল আকসা।এখানে নামাজ পডা ও যাবেনা।কেননা এখানে জামায়াত শিবির আর হেফাজতরা নামাজ পডে।এখানে নামাজ পডে আজ পুলিশের আক্রমণের শিকার হতে হয়।২০২২ সালে ডিসেম্বর মাসে বিএনপির ডাকা সমাবেশে আসা কিছু লোকজন বায়তুল মোকাররম এ নামাজ পডছিল।তাদের লোকদের কে কিভাবে পিঠানো হলো?পবিত্র মাহে রমজানে ইফতার মাহফিল ও যাকাত শীর্ষক আলোচনা থেকে এখন আমাদের মাতৃভূমি থেকে গ্রেফতার হয়।প্রতিবাদে ইসলামি কানুন বাস্তবায়ন কমিটির মিছিলে রমজান মাসের জুমার নামাজ শেষে ঐ সময়ে পুলিশ কিভাবে রোজাদার মুসল্লীদের কে হামলা চালালো।আজ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনি কি সবচেয়ে আইন ভঙ্গ কারী নয়।
আর কতকাল এই ঘৃন্য আচরণের শিকার হবো আমরা? সর্বশেষে কথায় আছি,আল্লামা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদী রহ.এর মৃত্যু। দীর্ঘ ১২-১৩ বছর কারাভোগ এর পর তার এ দেশে জানাজার অধিকার ও নেই!কেন আজ ঢাকায় জানাজা করতে দেওয়া হবেনা। ডিএমপি কমিশনার কি বলতে চাচ্ছেন,জানাজা পডতে হলে ও অনুমতি নিতে হবে?কেন জানাজার নামাজে হামলা গ্রেফতার! নিহত আহত হতে হয় জানাজা পডতে এসে? মসজিদে এসে এসে দোয়া মাহফিলে বাধা।তবে একথা সত্য একদিন এই জুলুমের অবসান হবে,ইনশাআল্লাহ। সেদিন তাদের জানাজা পডার লোক থাকবে না।মহান আল্লাহ জালিমের জুলুম থেকে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি কে রক্ষা করুন।আমিন...
পরামর্শঃ
[email protected]
মন্তব্য: ১