আমাদের নভোযানের কি খবর?
তারিখঃ ৩০ আগস্ট, ২০২৩, ০২:৫২
ভারতের ইসরো চাঁদে সফল হলো। একটা দীর্ঘ্য গবেষণার পর তারা এই সফলতা পেয়েছে। ২০১৯ সালে চন্দ্রযান ২ যখন ব্যার্থ হয়েছিলো, তখন আমরা কি খুশিই না হয়েছিলাম, অথচ ভাবিনাই তাদের তো একটিভ প্রজেক্ট আছে অন্তত। আর আমাদের তো তাও নেই। আমরা বহু চেষ্টা করে একটা স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠালেও আদতে তার ব্যাবহার কতটা করতে পেরেছি সেটা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে না।
আমাদেরও একটা মহাকাশ গবেষণা সংস্থা আছে। নাম স্পার্সো। আমি জানি না তারা মহাকাশ নিয়ে কি গবেষণা করে। তাদের এইম কি, তারা কি মিশন নিয়ে এগুচ্ছে আমার জানা নেই। আমার যদি ক্ষমতা থাকতো, তবে আমি জিজ্ঞাসা করতাম যে তাদের এইম আসলে কি। কাজ যেহেতু মহাকাশ গবেষণা করা, তো তারা মহাকাশে কি নিয়ে গবেষণা করছে? ধরেন ভারত তো চন্দ্র বিজয়ে সফল। তাদের একটা উপলক্ষ্য আছে। আমাদেরটার উপলক্ষ্য কি?
পুরা দুনিয়াকে দেখানোর উদ্দেশ্যে নামে মাত্র একটা সংস্থা বসায় রাখছে। কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।
আসলে আমাদের দেশের ব্যাবস্থা নিয়ে আমি সতিই ফেডাপ। দেশে মেধাবী কারা এই দিকে কোন ভ্রুক্ষেপ নাই, ভ্রুক্ষেপ আছে কে কোন দল করে বা কি পদে আছে এই দিকে।
একটা ঘটনা বলি। তাহলে বুঝবেন আমাদের মনমানসিকতা কেমন। এমন অনেককেই চিনি, যারা রাজণীতি করে। যদিও তাদের দল এখন বাংলাদেশের ক্ষমতায় নেই। দেখলাম সে পদ ধারী নেতা। যথেষ্ট সিনিয়র। আবার ক্ষমতাসীনদের সাথেও তার খুব ভালো সম্পর্ক। আমি ভাই রাজনীতি করি না, রাজনীতি বুঝিও না। দুই দলেই আমার বন্ধু আছে। তো যেই নেতার কথা বলছিলাম, কোন একদিন তার সাথে আমার দেখা হওয়ার সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্য হয়েছিলো। প্রায় দুই বছর আগের ঘটনা এটা। -- বলে রাখি, আমার বন্ধু পদ ধারী নেতা। তো কথায় কথায় জিজ্ঞাসা করলো আমি করি, আমি বললাম যে আমি কম্পিউটার সায়েন্সে গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। তারপর তিনি জিজ্ঞাসা করলেন এখন কি ইচ্ছা। তারপর বললাম যে আমার প্ল্যান দুইটা এর মাঝে যেকোন একটা করবো। হয় রিসার্চ + পেপার পাবলিশ নয়তো জেনারেল মাস্টার্স পাশাপাশি জব। উনি কেমন যেন করে বললেন, "এইসব না কইরা নিজে ব্যাবসা করো। একটা টেবিল নিয়া বসো। সামনে ওয়ার্ড কমিটি দিবো............... বাকিটা থাক।" [উনি আমাকে সাইবার ক্যাফ খুলতে এডভাইস দিসেন!!!!!! এখানে গান ডাউনলোড করা যায় টাইপ!!! ]। আমি আমতা আমতা করলেও সম্মান রেখেই ছোট করে না করে দিয়েছিলাম। পাশাপাশি বলেছিলাম আমার রাজনীতি করার খুব একটা ইচ্ছা নাই। উনি আর কিছু বলেন নাই। তবে এরপর থেকে আমাকে পাত্তা দেন না। আমি কি নিয়ে কাজ করি বা আমার ইন্টারেস্ট.... এইসব দিকে উনার ভ্রুক্ষেপ নেই। উনার ভ্রুক্ষেপ আমি রাজনীতি কেন করবো না। আমি আসলে কোন দলের?
বাংলাদেশে এমনিতেও সরকারি চাকরি পেতে নাকি কোন দলের সমর্থক, কি করে এইসব নিয়ে যাচাই করে কুষ্ঠি বিচার করে তারপর চাকরি দেয়া হয়।
তো এই হলো অবস্থা। আর উনি কিন্তু ভালোই সিনিয়র নেতা। আর এই যদি হয় উনার চিন্তা ধারা, তাহলে আরা আশা কি করবো। উনার দল যদি ক্ষমতায় যায় কোন দিন, তাহলে তো উনি কেমন আচরণ করবেন সেটা স্পষ্ট! তো যাইহোক....
যদি কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে মানুষের এমন চিন্তা ভাবনা হয় তবে চন্দ্র বিজয় বহুত দেরি।
আমি কাউকে ছোট করিনাই। নিজের আক্ষেপ আর পরিস্থিতির যে শিকার হয়েছিলাম সেটাই তুলে ধরলাম। আর কিছু না।

মন্তব্য: ০