দাওয়াতি কাজ এখন একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে
তারিখঃ ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ১৫:৫৭

মাত্রাতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহার, মাদকের সহজলভ্যতা, অশ্লীলতা ও অনৈতিকতাকে সামাজিকভাবে বৈধতা দেওয়া, অপসংস্কৃতির প্রবল স্রোতে নৈতিকতা বিবর্জিত একটা প্রজন্ম তৈরি হয়েছে। এ প্রবণতা দিনকে দিন বেড়েই চলছে। এমনকি ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ছেলেটাও হারাম রিলেশনে জড়িত। মাথা থেকে পা পর্যন্ত শালীন পোষাকে আচ্ছন্ন মেয়েটাও হারাম রিলেশন, টিকটকের মতো অশ্লীলতায় নিমজ্জিত। এরা রাসূলুল্লাহ স. কে ভালোবাসে, কিন্তু আদর্শ মানতে রাজি নয়। দ্বীনা আলোচনা, কুরআনের তাফসির বা হাদিসের দারস এদের কাছে অন্তঃসারশূন্য।
শুধু সাধারণ ছাত্ররাই নয়, এমনকি ইসলামী আন্দোলনের অনেক কর্মীদের আচরণও এমন হয়ে গিয়েছে। অনেকটা রোবটিক। অনুভূতিশূন্য।
এমতাবস্থায় দাওয়াতি কাজ, কাজের গতি, গুরুত্ব যদি আগে ১০% থেকে থাকে, এখন তা ১০০% এ রূপ নিয়েছে। আর তাই দায়ী ইলাল্লাহদের জ্ঞান, অধ্যয়ন, অধ্যবসায়, চরিত্র, আমলের মান সবকিছু অনেক উন্নত হওয়া চাই। আগের চাইতেও কমপক্ষে ১০ গুণ স্পৃহা নিয়ে ময়দানে চষে বেড়াতে হবে। প্রতিটি ইঞ্চি জমিনে পায়ের ছাপ ফেলতে হবে। রক্তের চাইতেও এই ময়দানে ঘাম ঝরানোটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জীবনের কুরবানীর চাইতেও সময়ের কুরবানী, মতের কুরবানী, দুনিয়াবি ভোগবিলাসের কুরবানী বেশি জরুরি হয়ে পড়েছে।
দাওয়াতি কাজে উপকরণগত দিকের চাইতে সিনা থেকে সিনা দ্বীনের প্রতি ভালোবাসা, আখিরাতের সফলতা, আল্লাহ ও রসূলের (স.) এর প্রতি আনুগত্যের দিকে বেশি দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে হবে।
তবেই এই সঙ্কট নিরসন সম্ভব।

মন্তব্য: ১