Alapon

প্রেমে পড়া বারণ



কথার মাঝে মনের মাধুরী মিশিয়ে ছন্দের বিন্যাস ঘটালে তাহাকে কবিতা বলে। আর যিনি বা যেই ব্যাক্তি এইরুপ ছন্দের বিন্যাস ঘটান তাহাকে কবি বলে।
লোকমুখে বলিতে শুনিয়াছি যে, মানুষ প্রেমে পড়িলে নাকি ছন্দের তালে কবিতা লিখে। এখন তুমি যদি আমার কলমের নিব দিয়া প্রবাহিত মনের আবেগের ছন্দকে কবিতা বলিয়া স্বীকার করিয়া লও তাহা হইলে আমিও একজন কবি। কারন কিছুকাল পূর্বে তুমি আমার নাম করন করিয়াছিলে "ভাবের কবি"। আর যদি আমি কবি হই তাহা হইলে নিশ্চিত আমি প্রেমে পড়িয়াছি। কিন্তু কাহার প্রেমে পড়িয়াছি? যাহার জন্য আমার কবিতার প্রতিটি ছন্দ বিন্যাসিত হয়, উল্লাসিত হয় তাহার প্রেমে। যাহার কাজল কালো দুটি চোখ দেখিলে মন আমার আনন্দে ভাসিতে চায়। যাহার ছবি দেখিলে ভিতর থেকে ৬/৭ বৎসরের জমানো আবেগ উচ্ছ্বাসিত হয়ে ছন্দের মাধ্যমে বেড়িয়ে আসিতে চায়, আর সে হচ্ছে আমার চন্দ্রমুখী, আমার ছন্দের নায়িকা "তুমি"।
আমি নিশ্চিত আমি প্রেমে পড়িয়াছি। কারন এরকম আবেগ মাখা কথা এর আগে কখনোই আমার ভেতর থেকে বাহির হয় নাই। তুমি আমার আবেগের ছন্দের উত্তরণ করিয়াছ। আর আমার নিত্য কর্মের ছন্দের পতন ঘটাইয়াছ। তুমি মোহনিয় করেছ আমায়। এখন উপায় কি বলো? আর এর উপায় তুমিই জানো। এর উপায় একমাত্র তুমার কাছে। তুমিই আমার এ রোগের একমাত্র মহৌষধ। "তুমি" নামক আবেগ যেদিন আমার ভিতরে প্রবেশ করিয়াছে সেইদিন হইতে আমার মধ্যে ব্যপক সব পরিবর্তন আসিয়াছে।
আমি অনুধাবন করিতে পারিতেছি তোমার অস্তিত্ব আমার আমিতে। এখন আর এড়িয়া যাইতে পারিবে না আমায়। কারন তখন আমি বিদ্রোহী হইব।

১৬/১১/১৯ ইং
শামীম

পঠিত : ২৬৮ বার

মন্তব্য: ০